বাংলাদেশ এখনো কেন টিকে আছে, এ প্রশ্ন কারো মনে আসাটা অবান্তর নয়। দূর্নীতি, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, হত্যা-রাহজানি, হরতাল - অবরোধ এখানকার নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা। এখানকার নেতৃত্ব-প্রশাসন সবক্ষেত্রেই দূর্নীতি। এ দেশের নোবেল বিজয়ী ক্ষুুদ্রঋণ (গরীব মারার হাতিয়ার) প্রবক্তা। তিনি দূর্নীতি করেছেন ৬০৮ কোটি নরওইয়ান ডলার। তারপরও বাংলাদেশ এগুচ্ছে। আমি এগুচ্ছেই বলব সেটা যদিও শম্বুক গতিতে হোক।
বাংলাদেশে হরতাল-অবরোধে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়না । আমাদের অর্থনীতি কৃষিপ্রধান তাই
আমাদের অর্থনীতি এখনো টিকে আছে। এদেশের কৃষকেরা হরতালের ধার ধারেনা। তারা ভোরে লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে মাঠে যায়। কঠোর পরিশ্রম করে ফসল । যা আমাদের বড় সাহেবেরা খেয়ে বেঁচে থাকেন।
আমাদের এই কৃষি ব্যবস্থাকে ও ধ্বংস করার পায়তারা নিয়ে মাঠে নেমেছে সা¤্রাজ্যবাদীরা। এ এলাকাকে করে তোলেছে তাদের বীজের বাজার। হাইব্রীড বীজে কৃষক হাইব্রীড মার্কা ধরা খাচ্ছে। সম্প্রতি সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশ টমেটো চাষীরা ২০ কোটি টাকা লোকসান গুনছেন। হাইব্রীড বীজ ব্যবহারের কারণে। তাতে আমাদের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে তথাকথিত আমাদের এ গণমাধ্যম। তারা হাইব্রীডের সুফল(!) বর্ণনা করে কৃষকের গোয়াডা মারেন। দেশের বীজের ঐতিহ্য শেষ। আমরা হারিয়েছি ৪০ হাজার ধানের বীজ।
বাংলাদেশের জাহাজ এখন জার্মানীতে বিক্রি হয়। এটা আমাদের দেশের শ্রমিকদের কল্যাণে। বাংলাদেশের বস্ত্র বিশ্ববাজারে যায় তাও এদেশের শ্রমিকদের কল্যাণে। যদিও তার নাম মাত্র শ্রমমূল্য। এ শ্রমিক শ্রেণীর উপর টিকে আছে আমাদের এ ভূ খন্ডটি। শ্রমিক শ্রেণীকে জানাই লাল সালাম।