এই মুভিটির মূল কাহিনী হল দু’টি মানুষের মধ্যে একটি অসম বন্ধুত্ব। একজন হল সাশা, সাত বছরের একটি ছেলে, যে মিউজিক স্কুলে বেহালা শেখে। দ্বিতীয়জন হল সার্জেই, যে রাস্তা ঠিক করার ষ্টীমরোলার চালায়।
ঘর থেকে বের হয়ে সাশা’র একটি দিনের নানান কাজ উঠে এসেছে মুভিটিতে। ঘর থেকে বেরিয়েই অন্য ছেলেদের আক্রমণ, দোকানের আয়নায় হরেক প্রতিচ্ছবি দেখে সাশার আনন্দ, মিউজিক স্কুলের পরীক্ষা, স্টীমরোলার চালানো ইত্যাদি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ও কারণে সাশা’র হাসি-কান্না, অন্যকে সাহায্য করার মনোভাব ইত্যাদি মুভিটিকে করে তুলেছে অনবদ্য।
ফিল্মটির ডায়ালগও অসাধারন শিক্ষনীয়। সাশা যখন রাগ হয়ে একটি রুটি রাস্তায় ছুঁড়ে মারে তখন সার্জেই তাকে বলে ‘What if somebody threw your violin on the ground?’ আবার কিছুক্ষণ পরই ভীড়ের মধ্যে সাশাকে হারিয়ে ফেলার পর সার্জেই-এর উৎকন্ঠা লক্ষ্য করার মত।
দুপুরের খাওয়ার সময় সাশা সার্জেইকে বেহালা আর মিউজিকের বিভিন্ন ব্যাপার বুঝায় এবং সার্জেই-এর অনুরোধে সাশা তাকে বেহালা বাজিয়ে শুনায়। এই দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব অসম হলেও এরা একে অপরকে এত গভীরভাবে নাড়া দেয় যে তা এক কথায় অসাধারণ।
ফিল্মটির ক্যামেরার কাজও দারুণ। আয়নায় বিভিন্ন প্রতিচ্ছবি, পানিতে বৃষ্টির ফোঁটা, সাইকেলের বেল গড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি জিনিস খুব সুচারুভাবে উঠে এসেছে ফিল্মটিতে।
মুভিটির ভাষা রাশান। আসল নাম ছিল ‘Katok i skripka’।
আশা করি ভাল লাগবে মুভিটি। আর যদি ভাল নাও লাগে তাহলেও সমস্যা নেই, আপনি গর্বভরে সবাইকে বলতে পারবেন যে আপনি আন্দ্রেই তার্কাভস্কির ডিপ্লোমা ফিল্মটি দেখেছেন। টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করতে চাইলে তা করতে পারবেন এখান থেকে ।
বিঃদ্রঃ আন্দ্রেই তার্কাভস্কির কোন ফিল্মের রিভিউ লেখার যোগ্যতা আমি এখনও অর্জন করতে পেরেছি বলে মনে হয় না, তবুও সাহস করে লিখে ফেললাম। তাই কারও যদি মনে হয় যে কোন কিছু পরিবর্তন দরকার, তাহলে কমেন্টে লিখুন। আপনার কমেন্টটিই আমি মূল লেখায় যোগ করে দিব।
১লা ডিসেম্বর, ২০১০, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৩