somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আদিম মানুষ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কুড়ি লাখ বছর বা তার চেয়েও বেশি আগে আদিম মানুষ গুহায় বাস করতো৷ শিকার করার পরে কী ভাবে মানুষ সেই খাবার খেতেন ? সেই সময় আমাদের পূর্বপুরুষরা সব্জি, ফলমুল, বাদাম, নানা রকম শেকড়বাকর এবং মাংস খেয়ে বেঁচে থাকতেন৷ আদি পৃথিবী ছিল ভীষন উত্তপ্ত।এটি ছিল এক প্রচন্ড উত্তপ্ত গোলক পিন্ড।প্রায় ১০ হাজার বছর আগে ছিল কৃষিকাজের একেবারে প্রাথমিক যুগ৷ ১ লক্ষ বছর আগে থেমে যাওয়া জনৈক আদিম মানবের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছিল ভারতবর্ষের প্রথম জনপদ না হলেও শৈলাশ্রয় বা যাকে বলে রক-শেলটার ।বর্তমান বাংলাদেশকে এখন আমরা যেমন দেখি- পাঁচ কি দশ হাজার বছর আগে সেই প্রাগৈতিহাসিক সময়ে বাংলার ভৌগোলিক অবস্থা ঠিক এ রকম ছিল না। থাকা সম্ভবও ছিল না। তার কারণ, বাংলার অর্ধেক ভূখন্ডই তো হিমালয় থেকে উত্থিত হওয়া নদীগুলির পলি পড়ে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে।

আদিম মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে অসংখ্য আলোর বিন্দু দেখে বিস্মিত হয়ে রচনা করেছে তাদের মনগড়া কল্পকাহিনী। কিছু আলোর বিন্দুকে ঘুরতে দেখে তাদের নাম দিয়ছে প্লানেট বা ভ্রমনকারী।প্রথম রকেট ব্যবহার হয় চীন দেশে। ১২৩২ খৃস্টাব্দে মোঙ্গলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বন্দুকের বারুদ পুরে বানানো রকেট ব্যবহার করে চীনারা।আদিম যুগের মানুষেরা এক গুহা থেকে আরেক গুহায় যাওয়ার সময় কখনোই যানবাহন ব্যবহার করত না। তারা হেঁটে হেঁটে, গায়ে হাওয়া লাগিয়ে যেত। আজ থেকে ৪০০০ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের পাড় ছিল ঢাকার শ্যামলীর আদাবরের কাছে!বুনো যুগের বৈশিষ্ট্য হল আগুনের আবিস্কার, তীর ধনুক দিয়ে শিকার করা ও মৃৎশিল্পের ব্যবহার। বর্বর পর্যায়ে আদিম মানুষ পশুপালন করতে শেখে, কৃষিকাজও শুরু হয় এই পর্যায়েই। সেই সঙ্গে ধাতু শিল্পর ব্যবহারও জানে আদিম মানুষ । সভ্যতায় বর্ণমালা ও লেখনিই হয়ে ওঠে সমাজের মূল বৈশিষ্ট্য।

পৃথিবীর আদিমতম সম্পর্কটির নাম ভালোবাসা।মানুষের মন থেকেই ধর্মের জন্ম, ঈশ্বর নামক অদৃশ্য অলীক ব্যক্তিটির গর্ভপাত। তারপরও মানুষ তার অ-মানুষ স্তর থেকে মানুষের অবস্থায় বিবর্তিত হওয়ার কালে কেন বা কি করে ধার্মিক হয়ে উঠলো এবং আজ পর্যন্তই বা কেন ধর্মবিশ্বাসকে আগলে রেখেছে।তীর ধনুক আদিমযুগের মানুষের জীবন রক্ষার একমাত্র অবলম্বন বললে বোধ হয় ভুল হবে না। ধারনা করা হয় যে, পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি সময় পূর্বে তীরধনুকের প্রচলন ঘটেছিল। আদিমযুগের মানুষ বিভিন্ন গুহা, পাহাড়-পর্বত ও বনজঙ্গলে থাকতো। তাই বিভিন্ন হিংস্র প্রাণীদের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হতো। এই বাঁচার তাগিদেই মানুষ আবিস্কার করলো তীর ধনুক।মিশরের প্রাচীন অস্ত্রের তালিকায় ছিল এই তীর ধনুক। গ্রীক পুরানে যে সব দেব-দেবীদে যেমন বন্যপ্রাণী ও মিকারের দেবী আর্টেমিসদের কথা আছে, তাদের অনেকেই তীরধনুক ব্যবহার করেন। ভারতবর্ষে দুই মহাকাব্য রামায়ন ও মহাভারতে তীর ধনুকের ব্যবহার লক্ষ্য করার মতো।

আদিম যুগে মানুষ শীত থেকে আত্মরক্ষার কোনো উপায় জানত না। কারণ উদোম শরীরে সারাদিন বনে বনে সংগ্রহে ঘুরে বেড়াত। প্রচণ্ড শীতে ঠাণ্ডা পাথরের গুহাভ্যন্তরে জড়ো হয়ে কোনোরকমে কষ্টের রাতগুলো কাটাত! বস্ত্র তৈরি তো দূরের কথা কোনো কিছু চাপা দিয়ে দীর্ঘ শীতের রাত কাটানোর মতো উপকরণও তাদের হাতের কাছে ছিল না। এমনই অসহায়ভাবে বছরের পর বছর কাটানোর পর তারা পা দিল নতুন প্রস্তর যুগে। এবার তারা পাথর কেটে কেটে সুতীক্ষ্ন অস্ত্র তৈরি করতে শিখল। সদ্য তৈরি পাথরের অস্ত্র নিয়ে এবার বন্য পশুর পেছনে ছুটে বেড়াতে লাগল। আয়ত্ত করল পশুশিকার পদ্ধতি। মৃত পশুকে তারা এবার দুভাবে ব্যবহার করতে শিখল। তাদের কাঁচা মাংসে উদরপূর্তি আর লোমশ চামড়ায় নিবারণ করত ঠাণ্ডা। প্রথমদিকে চামড়াকে কোনো রকমে গায়ে জড়িয়ে শীত মোকাবিলার চেষ্টা করত। তারপর পশুর চামড়াকে পোশাকের মতো করে নিল। এটি গায়ে জড়িয়ে শিকারের পেছনে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করতে তখন আর তেমন অসুবিধা হতো না। আরও সহজ উপায়ে তারা নলখাগড়া, শন এবং গাছের তন্তু দিয়ে পোশাক তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করল।

পৃথিবীতে কত ভাষা আছে? তিন হাজার না তার চেয়ে বেশি? পৃথিবীর এই হাজার হাজার ভাষা আর তাদের অসংখ্য উপভাষাগুলোর উদ্ভব কি একটি আদিম ভাষা থেকে? ওইসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষা কোনগুলো, তাদের বয়স কত, কোন আদিম ভাষা কখন কোন অঞ্চলে কোন মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল? এসব প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর আমরা দিতে পারব না, কারণ অনেক অনুসন্ধান করেও সব কথা জানা যায়নি। কত ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কে জানে? আর তার সঙ্গে সঙ্গে কত মানুষের কত চিন্তা, কত ভাবনা, কত অভিজ্ঞতা? সভ্যতার যেমন উত্থান আছে পতন আছে, ভাষারও হয়তো তেমনি। কিন্তু অনেক সভ্যতা, অনেক জাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে অথচ তাদের ভাষা ধ্বংস হয়ে যায়নি, আশ্চর্যজনকভাবে অনেক ধ্বংসপ্রাপ্ত সভ্যতার স্মৃতিকে বহন করে টিকে আছে কোনো কোনো ভাষা, তবে একটি ভাষাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে একটি জাতিও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সম্রাজ্য হল মৌর্ষ সম্রজ্য। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্ষ এ সম্রাজ্যে প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতের প্রথম সম্রাট। বাংলাদেশে কখন মানুষের বসবাস শুরু হয়েছে তার সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে আর্যদের বাংলাদেশে আসার আগে অজয় নদের সভ্যতার কিছু নিদর্শন পাওয়া যায়।বাংলার আদিম অধিবাসীরা ছিলেন প্রাক-দ্রাবিড় গোষ্ঠীর লোক। বাংলার আদিম অধিবাসী ছিল অস্ট্রিক ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী।প্রাচীনকাল থেকেই কিন্তু মহাভারত মানুষের মুখে মুখে আসেনি। মহাভারতের ঘটনাটা আনুমানিক সারে তিন হাজার বছরের আগেরকার__ কৃষ্ণের সময়কার। মহাভারত ও রামায়নে তার উল্লেখ আছে, তা বাল্মীকি রামায়নের নয়, তৎকালীন প্রচলিত রামায়নের গল্প সমন্ধে যা মানুষের মুখে মুখে চলতো।বাল্মীকির রামায়নে রাম দেবী দুর্গার পুজা করেছেন এক'শ আটটা নীলকমল দিয়ে।

৩০ হাজার বছরেরও আগে থেকে কুকুর মানুষের সবচেয়ে সহচর হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।ভেড়া গরু বা ছাগলের মতো প্রাণীদের চেয়ে অনেক অনেক আগে থেকে কুকুর ছিল গৃহপালিত প্রাণী।প্রাচীনকালেও আমাদের পূর্বপুরুষরা নিজেদের রক্ষা ও সঙ্গী হিসেবে কুকুরকেই পছন্দ করতেন। কুকুরই ছিল তাদের নিত্যসঙ্গী।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

**অপূরণীয় যোগাযোগ*

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৮ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:১৯

তাদের সম্পর্কটা শুরু হয়েছিল ৬ বছর আগে, হঠাৎ করেই। প্রথমে ছিল শুধু বন্ধুত্ব, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা গভীর হয়ে উঠেছিল। সে ডিভোর্সি ছিল, এবং তার জীবনের অনেক কষ্ট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাঙ দমনের নেপথ্যে এবং রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭


ব্যাঙ দমনের বাংলায় একটা ইতিহাস আছে,খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কোন সার কেনা হতো না। প্রাচীন সনাতনী কৃষি পদ্ধতিতেই ভাটি বাংলা ফসল উৎপাদন করতো। পশ্চিমবঙ্গ কালক্রমে ব্রিটিশদের তথা এ অঞ্চলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×