somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপরাধীদের অভয়াশ্রমের দেশ ও নতুন নতুন আইনের কচকচানী

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


স্বাধীনতার এতো বছর পরও আজ আমাদের মাঝে উৎকণ্ঠার শেষ নেই। একটু স্বস্তির নিঃশ্বাষ ফেলার এখনও সুজোগ হয় নাই বাংলাদেশের মানুষের। খুন, ছিনতাই, রাহাজানি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, অস্ত্রবাজীসহ সকল অপরাধ যেন পাল্লা দিয়েই যেন বেড়ে চলছে প্রতি নিয়ত। আমরা সবাই এর বিরুদ্ধে কথা বলি। কিন্তু বাস্তবে কিছুই পরিবর্তন নাই। বরং বেড়েই চলছে অপরাধ। ভয়ংকর সব অপরাধ এখন সংগঠিত হচ্ছে আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তস্নাত এই বাংলাদেশে। আমাদের অপরাধের চিত্র দেখে বিশ্ব বিবেক নরে উঠে। কিন্তু আমাদের কোন রেক্টিফাই নাই। দেশের কর্তা ব্যাক্তিরা সুন্দর সুন্দর কথা বলেন অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে। এই করবো সেই করবো। কিন্তু বাস্তবে অপরাধীদের তারাই লালন করেন তাদের স্বার্থ হাসিলের আশায়।

অপর দিকে কিছু দিন পর পর ঢাক ঢোল পিটিয়ে নতুন নতুন কঠর আইন তৈরী করা হয়। কয়েক দিন এই নিয়ে মিডিয়াতে চলে আমাদের সুশীল, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক নেতা ও এমপি-মন্ত্রীদের কথার ঝড়। কিছু দিন পর যেই লাউ সেই কদু। আইন হয়। অপরাধ করে অপরাধীরা। আবার আইনের মাধ্যমেই ছাড়া পেয়ে যায় ভয়ংকর সব অপরাধীরা। এক সময় তৈরী করা হলো জন নিরাপত্তা আইন। অপরাধীদের ডিটেনশান দেয়ার ব্যবস্থা হলো। কিন্তু অপরাধও কমেনি। অপরাধীরা সাজাও পায় না। এর পর রিমান্ড এলো রিমান্ড। র্যব গঠন করা হলো। ক্রস ফায়ার দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ফলাফল একই অপরাধ কমে না। অপরাধীরা সাজা পায় না। আর এই সকল আইন তৈরী করা হয় আসলে বিরোধী দলকে দমানোর জন্য অপরাধ রোধের জন্য নয়। এসিডের জন্য আইন, নারী নির্যাতন আইন, যৌতুক আইন করা হলো। কিন্তু এগুলো কমে নাই বরং চক্রকারে দিন দিন বেড়েই চলছে। সরকার যায় সরকার আসে কোনই পারিবর্তন হয় না। সর্ব শেষ ইভ টিজিং নিয়েও ‍আইন হয়েছে। কিন্ত এর এর যথাযথ প্রয়োগ হবে কি না সেই সন্দেহ হতে আমরা মুক্ত নই।

নতুন নতুন আইন করে কি লাভ যদি তার প্রয়োগ না থাকে। আসলে এগুলো আমাদের নেতাদের ভন্ডামি ছাড়া আর কিছুই না। তারা আইন তৈরী করে আবার তারাই অপরাধীদের হেফাজত করে। নতুন আইন তৈরী করে শুধু চমক লাগানো আর পুলিশ, আইনজীবী ও বিচারকদের পকেট ভর্তি করার নতুন ক্ষেত্র তৈরী হয়। আর প্রতি পক্ষকে ঘায়েল করার জন্য।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×