somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহবু১৫৪
জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার আশা করাটা বোকামী। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়েই আসতে হয় কাংক্ষিত লক্ষে। এই পথ এত সোজা নয়। অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে সেই পথ চলায়। হয়তো আরো অনেক কোথিন হবে সামনের পথ টুকু। তারপর ও হার মেনে নেয়ার পক্ষে আমি নই। জয়ী যে আমাকে হতেই হবে।

ভুলের মাশুল

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ চলে যাচ্ছি তোমাকে ছেড়ে। সব কিছু পিছনে ফেলে। কোন বন্ধন, হ্রদ্যতা আজ আমাকে বেধে রাখতে পারেবে না। দুনিয়ার কোন অশুভ শক্তি আমাকে ধরে রাখতে পারবে না। জানি তুমি বার বার আমাকে মনে করবে আমি চলে গেলে কিন্তু এখন সেটা তুমি বুঝবে না। আরো পরে যখন তোমার কাছে কেউ থাকবে না, যখন তিলে তিলে কষ্ট করবে নিজের ভুল শোধরানোর জন্য তখন আমাকে তুমি মনে করবে একবারের জন্য হলেও।

ভালই তো ছিলাম আমি। কেন তুমি আমার জীবনে আসলে আমার সেই মধুর সময় গুলোতে। যখন আমার জীবনটাকে ঘুছাতে চেয়েছিলাম সুন্দর করে কোন রকম অসুবিধা ছাড়াই। সেই সময় গুলোকে খুব মিস করি এখন। আর মিস করি কিছু ভাল লোকজনের যাদের সাথে সেই সময় খারাপ ব্যবহার করেছিলাম। কষ্ট লাগে এখন তাদের কথা চিন্তা করলেই। অনেক ছোট হয়ে গিয়েছি এখন তাদের কাছে। প[রিবারিক কোন অনুষ্ঠানে তারা আসলে চেষ্টা করি দূরে থাকতে। আসলে এখন সবার কাছ থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করি। শুধু তোমার কারণে আমি আমার পরিবারের সবাইকে ভুল বুঝেছিলাম। আজ সেটা বুঝতে পারছি। শত অনুতপ্ত আজ আমি। কিন্তু আমার যে কিছুই করার নেই।

জীবনটাকে সাজাতে গিয়ে এখন এলোমেলো হয়ে গেল সবকিছু। পথহারা নাবিকের মত এখন আমি রাস্তা খুজে বেড়াচ্ছি। এক ঘেয়েমী এখন আমার জীবন। টাকা পয়সার অভাব নাই আমার এখন। অথচ এক সময় তুমি আমাকে হেয় করে কত কথাই না বলতে। আমার উপর ভরশা তোমার উঠে গিয়েছিল। আমি তোমাকে শান্ত হতে বললে তুমি রাগ করতে আর মন খারাপ করে বসে থাকতে। তোমাকে বুজিয়েও পারি নি ভুল ভাঙ্গাতে। তোমার পরিবার আমাকে পছন্দ করেনি প্রথমে। আমি জানতাম কেন তারা চায় না আমাকে। তারপর ও মানিয়ে নিয়েছিলাম সব কিছু। মাঝে মাঝে তারা আমার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতো যা আমাকে রাগিয়ে দিত।

তোমাকে আমি সেটা বলতেও পারতাম না। শুধু তোমার সুখের জন্য সব কিছু ঠিক করে নিতাম। তোমাকে এটা বলতে পারি নি কখন ও যে আমার পরিবার তোমাকে পছন্দ করেনি। তারা তোমাকে দেখেই চোখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তারপর ও তোমার উপর আমি আস্থা রেখেছিলাম। আমার পরিবারকে অনেক কষ্টে রাজি করিয়েছিলাম। তোমার কারণে ছাত্র অবস্থায় ঠিক মত পড়াশুনাও করতে পারতাম না। তোমাকে পড়ার সুযোগ দিতাম কিন্তু আমি না পড়ে তোমার পানে চেয়ে থাকতাম। হায়!! কি বোকা ছিলাম আমি। এখন বুঝি, কি ভুল করেছিলাম আমি তখন। এখন যখন সকাল হলেই বের হই হাঁটতে তখন খুব ভাল লাগে শিশির ভেজা বাতাস। মনে চায় সব বাতাস এক করে আমার নিজের কাছে রেখে দেই। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না।

আকাশের যে বিশাল শুন্যতা তেমনি আমার মাঝে আজ তেমনি শুন্যতা। যখন আকাশ কেদে ঊঠে তখন আমি ও সমান তালে কেদে উঠি। জোরে জোড়ে শব্দ করে কাঁদি। জানি কেউ শুনবে না আমার কান্না। বাইরে যে বৃষ্টি পড়ছে। জানো, অনেক দিন পর আজ পুরনো একটা এলবাম পেয়ে খুলে দেখি তোমার ছবি। কেমন যেন রাগ লাগল খুব। নিজেকে ধরে রাখতে পারি নি সেই সময়। এক টানে এলবাম থেকে বের করে নিলাম তোমার হাসি মাখা ছবিটা। চুলার সামনে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলাম। খুব ভাল লাগছিল তোমাকে এভাবে পুড়িয়ে নিঃশেষ করে দিতে। তাই আজকে আমি অনেক খুশি। তুমি অবাক হবে এসব কথা শুনে। কিন্তু এটাই যে বাস্তব। তোমার কারণে আজ আমি সবার থেকে অনেক দূরে। ঠিক করেছি চলে যাব কোন নির্জন যায়গায় যেখানে থাকবো শুধু আমি। আর থাকবে কিছু ব্যথা ভরা কথা, স্ম্রৃতি যা বয়ে বেড়াতে হবে অনন্তকার অবধি।

ভেব না যে তোমাকে মনে করে সারাজীবন কাটাবো!! এতা মনে করলে ভুল করবে। তোমাকে হাড়িয়েছে এতে আমার দুঃখ হয় না। আমার দুঃখ হয় এই কারণে কেন আমি তখন এত সময় নষ্ট করেছিলাম???
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×