আজকে বাসার আলোচিত বিষয় মাত্র ৩ মাস বয়সী মারিয়া (আমার কন্যা) কেন তার মায়ের উপর অভিমান করল এবং কিভাবে তার প্রকাশ ঘটাল। এত ছোট বাবু যে রাগ করতে ও তার প্রকাশ ঘটাতে পারে তা আগে কখনো দেখিনি। আজ বিকেলে বাবুনীকে ঘুমানো দেখে তার চারপাশে ৪টা বালিশের ব্যারিকেড তৈরী করে তার মা গেল দোতলায় তার ভাবীর সাথে গল্প করতে। এদিকে অল্প সময় পরেই বাবুনী ঘুম থেকে উঠে কান্না জুড়ে দিলো। তার মা তো দোতলায় তাই শুনতে পায় নি। আর সকলে মনে করলো বাবুনীর কাছেই মা আছে। অ..নে..ক..ক্ষন পরে যখন কান্না থামে না তখন তার নানী এগিয়ে এলো। নাতনীকে হিসু থেকে পরিষ্কার করে পাঠিয়ে দিলো দোতলায় মায়ের কাছে। এইবার বাবুনীর পালা। সে আর মায়ের দিকে ফিরে না। মা একদিক থেকে ডাকলে সে আরেকদিকে ঘুরে যায়। শেষ পর্যন্ত মা জোর করেই বাবুনীকে কোলে নিলো। পরে আস্তে আস্তে বাবুনীর রাগ কমলে সে মায়ের সাথে আবার হাসি-মজা শুরু করে।
(২৪)
শীতের সময়ে বাবুদের হিসির পরিমান বেড়ে যায়। এর উপরে মায়ের অসুস্থতার সুযোগে ৩ বছরের বড়বাবুটির বিছানায় হিসুর অভ্যাসটা আবার গড়ে উঠে। এখন দুই ভাই-বোন রাতে বিছানাতেই হিসু করে থাকে। তবে বড়টির মুরুব্বীপনা তাতে কমে নি। দিনের বেলা ছোট বাবুনী হিসু করলে সে তাকে উপদেশ দেয়, "বিছানায় হিসু করবা না। আম্মু কষ্ট পাবে। পটিতে হিসু করবা!" ওদিকে আবার আম্মুকে বলে, "বাবু ছোট তো, তাই বিছানায় হিসু করছে। তুমি বাবুকে মারবা না!"
ধ
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৬