somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

তসলিমা নাসরিন

২৬ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ তসলিমা নাসরিন।আমার দেখা অসাধারন মানুষদের মধ্যে একজন।একটা দেশের আত্মা হলো- সেই দেশের কবি সাহিত্যিকেরা।কিছু কুৎসিত মানুষের জন্য আমাদের দেশের আত্মা আজ আমাদের দেশে নেই।তসলিমা নাসরিন সত্য কথা বলতে কখনও ভয় পাননি।সত্য কথা বলার জন্য আজ আমার প্রিয় মানুষটি দেশে নেই।তসলিমা নাসরিন কোন অপরাধ করেননি।সত্য কথা বলা কোন অপরাধ না।এই দেশের কিছু জঘন্য মানুষ অনেক বড় বড় অপরাধ করে মাথা উচু করে চলা-ফেরা করছে।

এই সরকারের উচিত যোগ্য সম্মান দিয়ে তসলিমা নাসরিনকে দেশে ফিরিয়ে আনা।আর তার কাছে ভুল স্বীকার করা।তসলিমা নাসরিন আমাদের এই দেশকে অনেক ভালোবাসেন।দেশের জন্য তিনি প্রতিটা মুহুর্ত চোখের জল ফেলেন।এখানে একটা ব্যাপার আমি উল্লেখ করতে চাই- বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক নারী ভাস্কর্য শিল্পী(মেধাবী,দুঃসাহসী,রহস্যময়ী)নভেরা আহমেদ।১৯৫৭ সালে হামিদুর রহমানের সাথে জলাধার-অলংকরনে বৃক্ষ ও পত্র পল্লবের সমারোহসহ তিনি যেভাবে শহীদ মিনারের প্রকৃত নকশা দিয়েছিলেন তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। নভেরা অভিমান করে সেচ্ছা নির্বাসন নেন।চলে যান প্যারিসে।১৯৬০ সালের পর নভেরা আর বাংলাদেশে ফেরেননি।কারো সাথে কোন যোগাযোগও রাখেননি।এমনকি যখন ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার ভাস্কর্যে অবদান স্বরুপ নভেরা আহমেদকে একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করেন,তখন সেই পুরস্কার নিতেও তিনি দেশে আসেননি।এই মহান শিল্পীর জন্ম ১৯৩০ সালে চট্রগ্রামে।)

যারা তসলিমা নাসরিনকে ঠিক করে জানেন না, বুঝেন না-এমনকি তার লেখা কোন বইও পড়েননি, তারাই বড় বড়(মিথ্যা)কথা বলেন।আপনারা আগে সত্য টা জানুন।তারপর মন্তব্য করুন।হুজুগে মাতবেন না।এমনও হতে পারে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও পেতে পারেন তসলিমা নাসরিন।

আমি একটা ব্যাপার বুঝি না,এই দেশে এখনও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো না,তারা এখনও বড় বড় কথা বলে বেড়ান।আর তসলিমা নাসরিন...!তাহলে কি এই দেশে সত্য কথা বলা যাবে না?কবি সাহিত্যিক'রাই তো তাদের লেখায় দেশের ভালো মন্দ তুলে ধরবেন।সত্য কথা বললেই কি তাদের দেশ থেকে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দিতে হবে?
যারা দেশকে সত্যিকারভাবে ভালোবাসেন,তারা সবাই চান তসলিমা নাসরিন ফিরে আসুক।তিনি এই দেশকে ভালোবাসেন।দেশের মানুষকে ভালোবাসেন।তসলিমা নাসরিনের কিছু কবিতার লাইন পড়লেই বোঝা যায় তিনি দেশকে কত ভালোবাসেন।দেশের জন্য তার বুকের ভেতর কত হাহাকার।

"সারা প্যারিস ঘুমিয়ে যায়,জেগে থাকি সারারাত
সারারাত অপ্রকৃতিস্থ বালিকার মতো বৃষ্টিতে ভিজি,
আসলে,কেউ বোঝে না,মনে মনে ভিজি আমি বহু দূরে রেখে আসা গ্রহন ব্রহ্মপুত্রে।
কিন্তু হৃৎপিন্ডে হাত পড়তেই
হ্যা হৃৎপিন্ডে হাত পড়তেই স্পষ্ট বুঝলো ওরা,কিছু আছে এতে।
রাক্ষুসে দাঁতে নখে ছিঁড়ে দেখলো ভেতরে একটি দেশ,বাংলাদেশ নাম।
আসলে ভাত স্পর্শ করলে ভাত নয়,হাতের মুঠোয় থোকা থোকা বাংলাদেশ উঠে আসে।
বাংলাদেশ শোন,আমি ফিরবো।
আমি ফিরবো- ভালোবাসতে,হাসতে,জীবনের সুতোয় আবার স্বপ্ন গাঁথতে।
যদি মানুষ হয়ে না পারি,পাখি হয়েও ফিরবো একদিন।
সিগাল,তোমার ডানায় করে একদিন খুব ভোরে,চুপ চুপ করে,কেউ জানবে না,
নেবে আমাকে ভূমধ্যসাগর থেকে আমার বঙ্গোপসাগরে একদিন?
এই বাংলার জন্য যত জল আমার দুচোখে আছে দিলাম,
কোনওদিন একদিন যেন উর্বর হয় মাটি,যেন জন্ম নেয় মানুষ,
যেন দুর্ভাগা-বাংলা মানুষের বাসযোগ্য হয় কোনওদিন একদিন।
আমার দেশটি তাকিয়ে তাকিয়ে আমার যন্ত্রনা দেখছে আজ এক যুগেরও বেশি
দূরবীন লাগিয়ে দেখছে,বেজায় হাসছে,
আমার দেশ আগে এমন ছিল না।
আমার দেশে এককালে প্রান ছিল খুব।
এখন কবিকে মাঝরাত্রিরে নিশ্চিন্তে ফাঁসি দিয়ে ফেলে গোটা দেশ,
এক যুগেরও বেশি ঘুম নেই,উন্মাদের মতো দেশ দেশ করে দেশের কিনারে এসে
দেশকে স্পর্শ করতে দু'হাত বাড়িয়ে আছি।
আমি তবু দেশ বলে তোমাকে ডাকি,বড়ো ভালোবেসে ডাকি।
কিছু সত্য উচ্চারণ করেছি বলে আমি দেশদ্রোহী,
আর যা কিছুই থাক বা না থাক,দেশ বলে কিছু থাকতে নেই আমার।
আমার জীবন থেকে,তুমি দেশ,হৃদয় খুঁড়ে নিয়ে গেলে আমারই স্বদেশ।"

আমি চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক আর তসলিমা নাসরিন দেশে ফিরে আসুক।আমি পারলে কবেই এই দুইটা কাজ করে ফেলতাম।আমি অপেক্ষায় আছি।অপেক্ষা করতে আমার ভালোই লাগে।তসলিমা নাসরিনের জন্য এক আকাশ ভালোবাসা আছে থাকবে সারা জীবন।হে ঈশ্বর তুমি আর কত দিন চোখ বুঝে থাকবে?
৫৫টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×