আজকে আপনাদের সাথে আমার জীবনের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশা করি ভালো লাগবে পড়ে।
এটা একটি সত্য ঘটনা, এখানে কিছুই বানিয়ে লেখা হয় নাই। আমি পড়াশোনা করা মানুষ, তাই ঝাড়-ফুকে কখনই বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু সেদিনের ঐ রাতের পর এখন গলায় তাবিজ বাধতেও অসুবিধা নেই।
এটা প্রায় এক বছর আগের কথা।
সেবার মনে হয় শীতটা একটু বেশী পড়েছিল। বাসা কেমন যেন ঠান্ডা-ঠান্ডা থাকে সবসময়। ভালোই লাগে, গরমের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে। এটা ভাবলেও আবার খারাপ লাগে যে এই আবহাওয়া অল্প কিছুদিনের জন্য।
আমি রুমের দরজা বন্ধ না করে ঘুমাতে পারি না। এমন কি জেগে থাকা অবস্থাতেও প্রায়ই দরজা বন্ধ থাকে। এবং আমার রুমে কেউ যেন হুট-হাট ঢুকে না পড়ে, সেদিকেও কড়া নির্দেশ আছে।
সারাদিন ঘুরাঘুরি করে টায়ার্ড ছিলাম অনেক। তাও ১২টার বেশী হয়ত বেজে গেছিল। রাতে আমার রুমে এসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। লাইট অফ করে বিছানায় মোড়ামুড়ি করতে করতে কুইল্টের নিচে ঘুম ঘুম ভাবে আছি। কাছেই কোথায় যেন একটা টং টং শব্দ হচ্ছিল, যেটা আমাকে আরো ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছিল। বুঝতে পারছিলাম যে, আমি ঘুমিয়ে যাচ্ছি।
হঠাৎ একটা চিন্তায় আমার ঘুম দৌড়ে পালালো। এই যে আমি টং টং শব্দ শুনছি, এই শব্দ তো হবার কথা নয়। আমার পাশে সব বাড়ী, এত রাতে রডের টং টং শব্দ কেন হবে?
জানালা দিয়ে বাইরে উকি উকি দিলাম, আর যা দেখলাম, তাতে আমার বুকের সমস্ত.....চিন্তা দূর হলো। পাশের বাড়ীতে মেরামত হচ্ছে, তারই কোন টিন হয়ত বাতাসে নড়ে এই শব্দ করছে।
যাক এরপর শুরু হলো আসল মজা। মশার জালায় মশারীর নিচে আমি অঘোর ঘুমে আচ্ছন্ন। বলে রাখা ভালো, আমার আবার ঘুম দিলে হুস থাকে না। তো গভীর রাতে ঘুমের মাঝেই হঠাৎ শুনি আবার আওয়াজ। এবার আর টং টং না, রীতিমত দুম দুম শব্দ। তারপর আমার রুমের দরজাটা আপনা-আপনি খুলে গেল।
আমি চোখ খুলে যে দৃশ্য দেখলাম তা কখনো ভুলতে পারবো না। দেখি মশারীর বাইরে থেকে দুইটা হাত একটা কর্কশ কন্ঠে আমার নাম ডাকতে ডাকতে আমার দিকে আগায় আসতেছে। আমার জানের পানি শুকায় গেল ইনস্ট্যান্ট। আমি দিলাম চিৎকার!!!
আমার চিৎকারে ততক্ষনে বাসার সব বাতি জলে উঠছে। আব্বু এসে দেখে আমার মা আমারে ধরে কান্নাকাটি করতেছে। আর আমি বোকার মতো "এইটা কি হইল" ভাব নিয়ে বসে আছি।
শেষ পর্যন্ত বোঝা গেল, আমার মা রাতে একটা দুঃস্বপ্ন দেখে আমার কাছে এসেছিল। এসে অনেক্ষন ডেকেছে, কিন্তু আমি উঠি নাই, পড়ে দরজাতেও ধাক্কা দিয়েছে দুই-একবার, তাও যখন উঠি না, তখন সে ঘরে ঢুকে পড়ে। অন্ধকারে বুঝে নাই যে মশারী টাঙ্গানো, ওর মধ্যেই আমাকে উঠাতে যায়, তার ঠান্ডায় গলা ভাঙ্গা, আর আমিও তো কি দেখছি সেটা তো বললামই । এরপর থেকে তাবিজ পড়তে ইচ্ছা হয়, যাতে ঘুমটা আর একটু পাতলা হয়।
আলোচিত ব্লগ
শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?
যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।
ছবি - সংগৃহীত।
ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি
শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী
বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?
ছবি সূত্র: গুগল
বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন