somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেখিনি ৫২এর ২১ অথবা ৭১এর মার্চ কিন্তু দেখেছি ২০০৯ এর ২৫ ফেব্রুয়ারি

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৫ ফেব্রুয়ারি .........!! স্বাধীনতার পর এ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণিত, বর্বরোচিত, কলঙ্কিত দিন। ২০০৯ সালের এইদিনে অদৃশ্য এক মহাশক্তির ইশারায় কিছু বিপদ্গামী বিডিআর সদস্য নির্মমভাবে হত্যা করেছিল ৫৭ জন সেনা অফিসার সহ ৭৪ জনকে।
পাকিস্তানীদের সেই হত্যা, লুণ্ঠন আর ধর্ষণের বর্ণনা আজও আমাকে মুক্তিযুদ্ধা হতে অনুপ্রাণিত করে, প্রতিশোধের নেশাই পাগল করে, বেদনায় ভারাক্রান্ত করে, ঘৃণায় অন্ধ করে। কিন্তু বিডিআর বিদ্রোহের সেই নির্মম দৃশ্য ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের কালো রাতের বর্বরতাকে হার মানায়। মানবতা বিরোধী এমন কোন অপরাধ নেই যা ঘটেনি সেদিন। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাইনে দার করিয়ে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে, মায়ের জাতি নারীদের ধর্ষণের পর স্তন কেটে নিয়েছে, সবশেষে আগুনে পুড়িয়ে সবাইকে একসাথে গণকবর দিয়েছে। সেদিনের সেই হৃদয় বিদারক দৃশ্য আজও আমাকে তারা করে বেড়াই, পিলখানার হত্যাযজ্ঞ ছিল অনেক বেশি নারকীয়, অনেক বেশি মরমান্তিক।
অপরাধী (অথবা নিরীহ) বিডিআর বিদ্রোহীদের এখনও বিচার চলছে। বিভিন্নি মিয়াদে শাস্তিও দেউয়া হচ্ছে তাদের। কিন্তু এটা সত্য যে, এদেশের মানুষ আজও জানে না, পিলখনার নারকীয় সেই হত্যাযজ্ঞের আসল খলনায়ক কারা.....?? কে সেই গডফাদার....?? কেন ঘটিয়ে ছিল সেই হত্যাযজ্ঞ......?? কি ছিল তাদের উদ্দেশ্য–অভিলাষ.....?? কেন র‍্যাব এবং সেনাবাহিনীকে সামরিক অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়নি......?? কিভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে হাজার হাজার বিডিআর বিদ্রোহী পিলখানা থেকে পালিয়ে গেল......?? এই সকল প্রশ্নের কোন উত্তর এখনও খুঁজে পাইনি সাধারণ জনগণ।
কিছু কিছু বেদনা আছে, আছে কিছু যন্ত্রণা, যা মানুষ কখনও ভুলতে পারেনা, ভুলেও না। তাকে অহর্নিশ কষাঘাত করে, যাতনা দেই, কাঁতর করে। দাউ দাউ করে আগুণ জ্বালায়। আমার বাবার হত্যা, আমার মায়ের অপমান, আমার কচি বোনটির লাঞ্ছনা কি আমি ভুলতে পারি......?? এ যে রক্তের ঋণ, রক্তেই সুধ দিতে হয়।
রক্ত দিয়েছি ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে, ৬৯ এর গনঅভূদ্যানে, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে। ৩০ লক্ষ তাজা প্রান আর ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অবশেষে পেয়াছী স্বাধীনতা । আজকের এই তরুণ প্রজন্ম ৭১ এর বর্বরতা দেখেনি, শুধু বর্ণনা শুনে গড়ে তুলেছে “প্রজন্ম চত্বর”, রাজাকারদের ফাঁসীর দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেছে বাংলার আকাশ বাতাস, সর্বোপরি স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গোটা জাতী সোচ্চার।
আর আমার নতুন প্রজন্মের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে কেউ কি “প্রজন্ম চত্বর” গড়ে তুলবে না......?? স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করবে না রাজ পথ......?? মাত্র ৪ বছরের কাল স্রোতে ভুলে যাবো এ দেশের জাতীয় সম্পদ, শহীদ সেনাদের কে......??
তাদের সন্তানেরা আজও অনেক ছোট, শুধু বাবা-মার আদরকেই মিস করে, প্রতিশোধ কি জিনিস এখনো বুঝে উঠেনি। তারা যেদিন প্রশ্ন করবে, প্রকাশ্য দিবালোকে আপনার চোখের সামনে আমার বাবা-মার হত্যাকারীদের বিচার আজও হয়নি কেন......?? কি জবাব দিবেন সেদিন মেজর জেনারেল শাকিল, কর্নেল গুলজারের ছেলে মেয়াদের কে......?? মনে রাখবেন মাত্র ৪ বছর পর যদি তা না পারেন, ৪০ বছর পর কিন্তু আপনাকেও বিবেকের কাঠগড়ায় দারাতে হবে ফাঁসীর আসামি হয়ে.......:(
আমরা এই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানায়। এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চাই। “র”, বিএনপি অথাবা ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ যেই হোক না কেন, আমরা সেই খলনায়ক, গদফাদারদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দেখতে চায়। রক্তের ঋণ রক্তে শোধ নিতে চায়............:(
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচলের (সচলায়তন ব্লগ ) অচল হয়ে যাওয়াটই স্বাভাবিক

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬



যেকোন ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর, একটি ভয়ংকর খারাপ খবর; ইহা দেশের লেখকদের অদক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় ও নীচু মানের লেখার সরাসরি প্রমাণ।

সচল নাকি অচল হয়ে গেছে; এতে সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩


১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি বললে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৭

তুমি বললে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

খুব তৃষ্ণার্ত, তুমি তৃষ্ণা মিটালে
খুব ক্ষুধার্ত, তুমি খাইয়ে দিলে।
শ্রমে ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত দেহে তুমি
ঠান্ডা জলে মুছে দিলে, ঊর্মি
বাতাস বইবে, শীতল হবে হৃদয়
ঘুম ঘুম চোখে পাবে অভয়।
তোমার আলপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×