somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে মৃত তারারা

২৩ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পৃথিবীর সামনে মহাবিপদ। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে এ গ্রহটি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়। না, এখানে কোনো জঙ্গি হানার আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে না। এমনকি পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর যুদ্ধের সম্ভাবনায় পৃথিবী ধ্বংসের কারণও ঘটেনি। তাহলে বিষয়টি কি? বিজ্ঞানীরা একটা মহাজাগতিক প্রলয়ের আশঙ্কায় দিন গুনছেন। অর্থাৎ এই আক্রমণ সংঘটিত হতে পারে পৃথিবীর বাইরে যে কোনো জায়গা থেকে। আর মহাজাগতিক এই প্রলয় যেদিন ঘটবে সেদিন আর রক্ষা নেই কারোর। সবকিছু ধূলিসাৎ হয়ে যাবে মুহূর্তে। নিমেষে নিশ্চিহ্ন হবে মানবসভ্যতার যাবতীয় অহংকার।

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন বহিঃশত্রুর এই দলটিকে। দ্রুত এরা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এই শত্রুরা আসলে মরে যাওয়া তারাদের দেহের ছিন্নবিচ্ছিন্ন অংশ। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, লাখ লাখ বছর আগেই এই তারাগুলো মরে গেছে। এখন এদেরই টুকরো টুকরো অংশ মহাকাশের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। মৃত তারাদের দেহের কিছু অংশ এবার পৃথিবীর দিকে দ্রুতগতিতে ছুটে আসছে। ভূপৃষ্ঠের মাটিতে একবার আছড়ে পড়লে আর রক্ষা নেই। স্থলভাগে পড়লে মুহূর্তে মাইলের পর মাইল এলাকায় তৈরি হবে গহ্বর। আর জলভাগে অর্থাৎ সমুদ্রপৃষ্ঠে পড়লে ফুলেফেঁপে উঠবে বিশাল জলরাশি। আর এই জলরাশি সুনামির চেয়েও ভয়ঙ্কর উন্মত্ততায় আছড়ে পড়বে স্থলভাগের ওপর। মুহূর্তে সবকিছু চলে যাবে পানির তলায়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা এসব মৃত তারাকণার একেকটির পরিধি কয়েকশ' কিলোমিটার। তাহলেই একবার এর ধ্বংস করার ক্ষমতার কথা ভাবুন। তবে এত বিপদের মধ্যেও একটা আশার কথা তারা শুনিয়েছেন। ধেয়ে আসা এসব তারার দেহাংশ পৃথিবী থেকে এখনো ৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ফলে হাতে এখনো দু-এক বছর সময় আছে। তাই বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বহিঃশত্রুদের গতিবিধি কোনোরকম ঠেকানো না গেলে মানবসভ্যতার অস্তিত্বই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এখন কি করে এসব তারাকণার পথ আটকানো যায় তা নিয়ে বিস্তর মাথা ঘামাচ্ছে নাসা। তারা অন্য দেশগুলোকেও আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে। নাসা পরিকল্পনা করেছে বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এসব তারার টুকরোগুলোকে মহাকাশের পথে ধ্বংস করে ফেলা যায় কিনা। আর তা না সম্ভব হলে ওদের পৃথিবীমুখো গতিপথ একটু অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া যায় কিনা সে ভাবনাও চলছে।
আমিন রহমান নবাবপৃথিবীর সামনে মহাবিপদ। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে এ গ্রহটি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়। না, এখানে কোনো জঙ্গি হানার আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে না। এমনকি পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর যুদ্ধের সম্ভাবনায় পৃথিবী ধ্বংসের কারণও ঘটেনি। তাহলে বিষয়টি কি? বিজ্ঞানীরা একটা মহাজাগতিক প্রলয়ের আশঙ্কায় দিন গুনছেন। অর্থাৎ এই আক্রমণ সংঘটিত হতে পারে পৃথিবীর বাইরে যে কোনো জায়গা থেকে। আর মহাজাগতিক এই প্রলয় যেদিন ঘটবে সেদিন আর রক্ষা নেই কারোর। সবকিছু ধূলিসাৎ হয়ে যাবে মুহূর্তে। নিমেষে নিশ্চিহ্ন হবে মানবসভ্যতার যাবতীয় অহংকার।

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন বহিঃশত্রুর এই দলটিকে। দ্রুত এরা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এই শত্রুরা আসলে মরে যাওয়া তারাদের দেহের ছিন্নবিচ্ছিন্ন অংশ। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, লাখ লাখ বছর আগেই এই তারাগুলো মরে গেছে। এখন এদেরই টুকরো টুকরো অংশ মহাকাশের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। মৃত তারাদের দেহের কিছু অংশ এবার পৃথিবীর দিকে দ্রুতগতিতে ছুটে আসছে। ভূপৃষ্ঠের মাটিতে একবার আছড়ে পড়লে আর রক্ষা নেই। স্থলভাগে পড়লে মুহূর্তে মাইলের পর মাইল এলাকায় তৈরি হবে গহ্বর। আর জলভাগে অর্থাৎ সমুদ্রপৃষ্ঠে পড়লে ফুলেফেঁপে উঠবে বিশাল জলরাশি। আর এই জলরাশি সুনামির চেয়েও ভয়ঙ্কর উন্মত্ততায় আছড়ে পড়বে স্থলভাগের ওপর। মুহূর্তে সবকিছু চলে যাবে পানির তলায়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা এসব মৃত তারাকণার একেকটির পরিধি কয়েকশ' কিলোমিটার। তাহলেই একবার এর ধ্বংস করার ক্ষমতার কথা ভাবুন। তবে এত বিপদের মধ্যেও একটা আশার কথা তারা শুনিয়েছেন। ধেয়ে আসা এসব তারার দেহাংশ পৃথিবী থেকে এখনো ৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ফলে হাতে এখনো দু-এক বছর সময় আছে। তাই বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বহিঃশত্রুদের গতিবিধি কোনোরকম ঠেকানো না গেলে মানবসভ্যতার অস্তিত্বই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এখন কি করে এসব তারাকণার পথ আটকানো যায় তা নিয়ে বিস্তর মাথা ঘামাচ্ছে নাসা। তারা অন্য দেশগুলোকেও আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে। নাসা পরিকল্পনা করেছে বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এসব তারার টুকরোগুলোকে মহাকাশের পথে ধ্বংস করে ফেলা যায় কিনা। আর তা না সম্ভব হলে ওদের পৃথিবীমুখো গতিপথ একটু অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া যায় কিনা সে ভাবনাও চলছে।

আমিন রহমান নবাব
LINK
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১
১৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×