somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন বর্বরতার কারণে জন্ম নিচ্ছে বিকলাঙ্গ শিশু: জাতিসংঘ কি শাক্ষী গোপালের ভূমিকা পালন করছে?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইরাক ও আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে সম্প্রতি বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ভয়ংকর বা বিকৃত চেহারার শিশু জন্ম গ্রহণ করছে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক অধ্যাপক এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এ দুটি দেশে স্বল্প মাত্রায় সমৃদ্ধ বা দুর্বল ইউরেনিয়াম যুক্ত বোমা ব্যবহার করায় এখন যেসব শিশু জন্ম নিচ্ছে তার অধিকাংশই শারীরিক দিক থেকে অপূর্ণাঙ্গ ও ত্রুটিযুক্ত এবং এ দুটি দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে।মার্কিন ওই সাবেক অধ্যাপক ড.ডেভিড মিরাকি এ বিষয়ে আরো বলেছেন,যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে স্বল্প মাত্রার ইউরেনিয়াম বোমা ব্যবহার করার ফলে তা গর্ভবতী মহিলাদের ভ্রুনের ওপর এর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অর্থাৎ ভ্রুণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এমন সব বিকলাঙ্গ ও অদ্ভুত চেহারার শিশু জন্ম নিচ্ছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি।ইরানের ফার্স বার্তা সংস্থাসহ অন্যান্য বার্তা সংস্থা এ সংক্রান্ত খবরে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র স্বল্প মাত্রার ইউরেনিয়ামযুক্ত বোমা ব্যবহার করার কারণে ইরাক ও আফগানিস্তানে জন্ম নেয়া এসব শিশুর অনেকের মাথা নেই অথবা বিশাল আকৃতির মাথা ও ক্ষুদ্রাকৃতির দেহ নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। আবার অনেক শিশু বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নিচ্ছে।
ইরাক ও আফগানিস্তানে বিক্ষুব্ধ মানুষকে নির্মূল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন ধরনের মরণাস্ত্র ব্যবহার করছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এসব অস্ত্রের ক্ষতিকারক প্রভাবের বিষয়টি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরো বোঝা যাবে। বিষ্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, বিকৃত ও বিকলাঙ্গ এসব শিশুর ছবি দেখে যে কেউ ব্যথিত না হয়ে পারেনা, অথচ মানবাধিকারের দাবিদার সংগঠনগুলো মার্কিন এসব অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে টু শব্দটি পর্যন্ত করছে না ।
আমরা আজ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনের উদাহরণ দেয় কথায় কথায়। এখন মনে হচ্ছে জাতিসংঘ শাক্ষী গোপাল ছাড়া কিছু নয়। পরাশক্তিধর দেশসমূহ এ ধরনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ না করে, মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র কর্তৃক আফগানস্থান এবং ইরাকে হামলা চালানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এসেছে। আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য কি মুসলীম নিধন নাকি জঙ্গীদের মোকাবেলা করা। নাকি আফগানস্থান এবং ইরাকের ভবিষ্যত প্রজন্মদের মেধাশূণ্য করা।
বিশ্বে মোট ১৯৬টি রাষ্ট্র রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি মুসলীম রাষ্ট্র রয়েছে। এরমধ্যে পাকিস্থান এবং ইরানের কাছে পারমানবিক বোমা রয়েছে বলে বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট। আর এ দুটো রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার জন্য কত না উদ্যোগ গ্রহণ করছে ইহুদিবাদী ঈজরাইল এবং তার মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমরা জানি, বাদশাহ হারুনুর রশীদের খেলাফতের সময় মুসলমানের জ্ঞানবিজ্ঞানে এগিয়ে ছিল। সকল প্রযুক্তি তাদের হাতে ছিল। কিন্তু আজ মুসলমানেরা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে রয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মে যাতে কোন মেধাবী মুসলীম আফগানস্থান এবং ইরাকে জন্মগ্রহণ না করতে পারে সে জন্য মার্কিন বাহিনী অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে সে দেশগুলোর নারী, শিশুদের ওপরে। আজকে ইরাকে হাজার হাজার মুসলীম নারী পতিতাকে জীবিকা নির্বাহ হিসেবে বেছে নিচ্ছে। অথচ মাত্র ৯০দশকে ইরাকের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই ভাল ছিল।
যে সব শিশু বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্ম নিয়েছে তাদের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাদের মেধাকে শূণ্য করার জন্য ভয়াবহ মরণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ওদের বিচার সাধারণ মানুষ বা মুসলীম দেশের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবে এ পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা যিনি তিনিই একসময় করবেন। তাছাড়া আমাদের ঘৃণা করা ছাড়া আর কিছু নেই। তবে আমরা চাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানস্থান এবং ইরাক থেকে দ্রুত তাদের বাহিনীকে সরিয়ে আনুক। যাতে সেখানে শান্তি ফিরে আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী সরিয়ে না আনা পর্যন্ত সেখানে শান্তি আসবে না।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×