somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন কাণ্ডারি চাই- পিশাচের পদতলে সোনার বাংলাকে দেখতে চাই না।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শাহবাগ গন জাগরণ মঞ্চে প্রথম থেকেই বলা হচ্ছে - আমরা কোন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে আন্দোলনে আসি নি। তবুও বিষয় টা এখন পুরোপুরি রাজনৈতিক নেতাদের চক্রান্তের স্বীকার এটা বলাই বাহুল্য। মানুষ কে রাজপথ থেকে তুলে দিয়ে তারা কিভাবে আন্দোলন কে জাগ্রত বলে দাবি করে আমি জানি না! রাজিব হত্যার আগেই প্রধান আহবায়ক ডাঃ ইমরান এইচ সরকার ছাত্রলীগের নেতার সাথে বৈঠক করে আন্দোলন বন্ধের নীল নকশা এঁকে ফেলেন যার প্রথম পদক্ষেপ ছিল সারাদিনের কর্মসূচি উঠিয়ে দুপুর ৩ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেয়া। এর পর রাজিবের হত্যার কারনে মানুষ আবার গর্জে উঠলো- যার ফলশ্রুতিতে বেচারা ইমরান এইচ সরকারকে আবারো সারাদিনের কর্মসূচি পালন করতে হোল/(টাকা হজম করতে কষ্ট হোল)। কিন্তু নির্বোধ মানুষ কে সাত- পাঁচ বুঝিয়ে সরকারের কাছে মিথ্যে আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি পুনরায় শাহবাগ কে খালি করে দিলেন। যার ফলাফল আমরা শুক্রবারের সংঘর্ষের মাধ্যমে পেয়েছি। ধর্মের আশ্রয় নিয়ে সেই সব নারকীয় কীট প্রজ্বলিত হয়েছিল খুনের নেশায়, তাদের এই তাণ্ডব ও আক্রোশের শিকার হতে হয়েছে আমাদের গন মাধ্যম কর্মী ও সাধারন মানুষকে। তারপরের গচিত্রটাও পরিচিত বিনা নোটিশে এক ঝাক তারুণ্য দীপ্ত যোদ্ধা সমবেত হোল শাহবাগে ,চাইল জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে ফেলার- শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলার বিচার। ঠিক সেই মুহূর্তে আবারো নায়কের মুখোশ পরে আবির্ভূত হোল ইমরান এইচ সরকার ঘোষণা দিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে 'আমার দেশ' পত্রিকার সম্পাদক কে গ্রেফতার করতে হবে। এই কথা বলে তিনি আবারো রনেভঙ্গ দিলেন! ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে কিন্তু এখনও 'আমার দেশ' পত্রিকার সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয় নি, তবুও কেন এখন ইমরান এইচ সরকার নীরব!?

শাহবাগের গণআন্দোলন এখন পুরোপুরি নীরব। কথা ছিল, এক কথা এক দাবি - রাজাকারের ফাঁসি দিবি। আজ সেখান থেকে নতুন নতুন আল্টিমেটামের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রথম দাবি কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে , এখন জামায়েত- শিবির নিষিদ্ধ করা বাদ দিয়ে জাগ্রত জনতা নিজেদের আস্তিক - নাস্তিক প্রমানে ব্যাস্ত। আর যেই আল্টিমেটাম গুলো দেয়া হচ্ছে তার বাস্তবায়নে সরকার কে কোন পদক্ষেপ আজ অব্দি আমি নিতে দেখি নি। লাকী আকতার,জিয়াউর রহমান আর আরিফ জেবতিক দিয়ে যদি এই গন অভ্যুত্থান চলত তাহলে আমরা ৫ ই ফেব্রুয়ারিতে কাদের মোল্লার লাশ নিয়ে বিজয় মিছিল করতে পারতাম। কিন্তু তা হয় নাই। এটা সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন এটা কারো ইচ্ছা - অনিচ্ছার উপর ভিত্তি করে চলতে পারে না।

কিছু প্রশ্ন রয়েই যায়- যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সরকার ইচ্ছে করে লেন্দি করা সত্ত্বেও কেন শাহবাগের আহবায়করা চুপ করে আছেন? রাজিব কে শহীদ উপাধি দেয়ার মধ্য দিয়ে কি রাজিবের অধ্যায়ের ইতি হয়ে গেছে? কে বা কারা তাকে খুন করেছে এই বিষয়ে কেন কোন আল্টিমেটাম দেয়া হচ্ছে না ? অরাজনৈতিক আন্দোলন বলা সত্ত্বেও কেন ছাত্রলীগ শাহবাগের মূলমঞ্চে সোচ্চার? পুলিশের সামনে শহীদ মিনার ভাংচুর করা সত্ত্বেও পুলিস কেন নিরব?

বিষয় টা খুব সহজ, আমরা এখন গাধা হয়ে মুলা খাচ্ছি, আর আমাদের মূলার যোগান দিচ্ছে সরকার। ৪২ বছর ধরে যা হয়ে আসছে ঠিক তারই পুনরাবৃত্তি করার সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত করা হয়ে গেছে, এবং আমরা নিজেদের অজান্তেই তাদের সৈন্যতে পরিনত হয়েছি। এটা খুব সহজ একটা সমীকরণ যাহাতে স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত যে, সরকার আমাদের দেশপ্রেমের গায়ে কালিমা লেপে দিচ্ছে, এবং আমাদের সৎ সাহসের সুযোগ নিচ্ছে! প্রশ্ন কিভাবে? উত্তর টা আমরা একটু ভাবলেই দিতে পারি- পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে, শেয়ার মার্কেটে ধস, সাগর-রুনি হত্যা, বিশ্বজিৎ হত্যা ও ডেসটিনির টাকা হাতিয়ে নেবার ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকার পুরোপুরি বেকায়দায় পরে গিয়েছিল, মানুষের এই বিস্ফুরণের মধ্য দিয়ে চাপা পরেছে সব কিছু, সামনে নির্বাচন -আছে অনেক ঠেলা। বি।এন।পি নিজেদের অধিনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছিল এবার আওয়ামীলীগ ও ঠিক তাই করতে চাইতেছে। এবং আমাদের এই দাবি টাকে অস্র করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পিছিয়ে দিয়েছে বিচার করছে নতুন নতুন আইন! ট্রাইব্যুনালের সেই প্রহসনের রায়ও ছিল তাদের পরিকল্পনার একটি বড় অংশ। বি। এন।পি 'র জন্য জনগনের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা শুন্যের কোঠায়। যারা দেশদ্রোহী হিসেবে নিজেদের লক্ষাধিক বার প্রমানিত করেছে তাদের যারা সমর্থন করবে তারাও দেশদ্রোহী। সেই দিক থেকে রাজপথে বি। এন । পি নিতান্তই নোংরা একটি কীট যাদের একূল ও নাই অকুল ও নাই। এই রাজনৈতিক দল টি এখন পর্যন্ত জামায়েত- ইসলামী কে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে নিজেদের পাকিস্তানের দোসর হিসেবে বারবার প্রমানিত করে চলেছেন। ওদের মত নোংরা রাজনৈতিক দলের আলাপ ছেড়ে মূল বিষয়ে আসি। আওয়ামীলীগ ঠিক এই সুযোগ টাই গ্রহন করার চেষ্টা করছে। আমাদের যেই সব সংগ্রামী বন্ধুরা বলছেন তারা মন্ত্রী / এম,পি হওয়ার লোভে ওখানে যান নি কে জানে সমাবেস বন্ধ করে হয়তো তারাই সেই দিবাস্বপ্ন দেখে চলেছেন।

এবার আমার কথা বলি , সংগ্রাম টা আমার কাছে ছিল অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম, চেতনাকে ধারন করে ৪২ বছরের কলঙ্ক মুছে ফেলার সংগ্রাম, কিন্তু হায়, সেখানেও ঢুকে পরেছে কিছু ভাইরাস। রাজনীতির নামে যারা লুটে পুটে খাচ্ছে এই দেশকে। আর তাদের মদদ দিচ্ছে আমাদের সোনার সন্তান রুপী নরপিশাচ ইমরান এইচ সরকার ও তার চ্যালারা। শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ পেইজে হাজার হাজার লাইক পেলেই কিন্তু জনমত পাওয়া যায় না। স্পষ্ট ভাবে একটা কথা বলতে চাই, যেই শকুনের দল আমার সোনার বাংলাকে কলঙ্কিত করেছে তারা বাংলাদেশে থাকতে পারবে না, বাংলার মাটিতে কোন জামায়েত- শিবির বলতে রাজনৈতিক দল থাকবে না, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী অবিলম্বে রাজাকারের ফাঁসি নিশ্চিত করবেন আর যতদিন পর্যন্ত এই দাবি না মানা হবে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। আর আমাদের এই সংগ্রাম কে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য এইসব ইমরান এইচ সরকার রুপী পতঙ্গ কে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। এই দেশ কারো বাপের সম্পদ না, শাহবাগ কেউ গায়ের জোরে দখল করে ফেলে নি, ৩০ লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি এই স্বাধীনতা, কারো অর্থলোলুপ মনের কাছে তাকে মাথা নত হতে দিবো না।।

জয় বাংলা।।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×