ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গুলশানে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হওয়া স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্য পদসহ সকল পর্যায় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বৈঠকের এক পর্যায়ে রাত ৯টার কিছু আগে যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ব্যারিস্টার হুদাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি জানান।
তিনি বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে তিনি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। তাই বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৫ (ঘ) ধারা অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার হুদার প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে তার একান্ত সচিব শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্যার বাইরে গেছেন। পরে ফোন করেন।’
এদিকে রাত সোয়া ৯টার দিকে দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলটির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা দীর্ঘ দিন দেশের গণমাধ্যমে নিজের ইচ্ছামাফিক বক্তব্য প্রদান করছেন, যা দলের স্বার্থ ও শৃঙ্খলাবিরোধী। এর আগেও দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকা ও গঠনতান্ত্রিক বিধিবিধান মেনে চলার জন্য তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করে তিনি সংগঠন বিরোধী অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ব্যারিস্টার হুদার এসব কর্মকাণ্ড দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তাই দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫ (ঘ) ধারা অনুযায়ী বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাকে (ব্যারিস্টার হুদা) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, রোববারের বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও বেঠকের সভাপতি খালেদা জিয়ার কাছে নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। খালেদা জিয়া নাজমুল হুদার বিষয়ে বৈঠকে সবার মতামত জানতে চাইলে উপস্থিত সবাই নাজমুল হুদাকে বহিষ্কারের পক্ষে মত দেন।
বৈঠকে উপস্থিত স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যরা বলেন, নাজমুল হুদা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো নিয়ম কানুন মানেন না। বেশ কয়েকবার সতর্ক করার পরও তিনি এ বিষয়ে কথা শোনেননি। তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত।
সবার মতামতের ভিত্তিতে নাজমুল হুদাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিগত বিএনপি সরকারের আমলে তথ্যমন্ত্রী ও পরে যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ব্যারিস্টার হুদা বিভিন্ন সময়ে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে বিতর্কিত ব্যক্তিগত মন্তব্য করে আলোচিত হন।
দলের সিদ্ধান্তের বাইরে মন্তব্য করে এর আগেও তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।
সম্প্রতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ‘মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা’র ব্যানারে দুই নেত্রীকে এক করার জন্য জনমত তৈরিতে দেশ-বিদেশে প্রচারাভিযান চালাচ্ছিলেন। তার এই কর্মকাণ্ডে ুব্দ হন খালেদা জিয়া।
এরপর ১৩ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করার পর নাজমুল হুদা মিডিয়াকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের ভুলের কারণেই তাকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে।’
ঈদের আগে হরতাল দিয়ে বিএনপি মোটেই ঠিক করেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি
আলোচিত ব্লগ
ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(
আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
লুঙ্গিসুট
ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=
©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন
সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা
এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।
স্বৈরশাসকের বন্দী
এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন