এবারে ঈদের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে আমাকে অনেক এ্যাড দেখতে হয়েছে।মনে হয় সারা বছরে যত বাংলা এ্যাড দেখেছি,এই ঈদেই তার থেকে বেশি দেখে ফেলেছি।এতে অবশ্য একটা লাভই হয়েছে।বাংলাদেশের বর্তমানের এ্যাড সম্পর্কে একটা ভালো রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে।
যাই হোক,এবার আসল কথায় আসি।আমি তিনটি এ্যাডে খানিকটা করে ভুল দেখেছি।জানি না সেগুলো আর কেউ খেয়াল করেছে নাকি।এ্যাড তিনটি হচ্ছে,
১)বাংলালিংকের নতুন এ্যাডটা
২)মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলির নতুন এ্যাডটা
এবং ৩)রবির ঘড়ি ছুঁড়ে ফেলার এ্যাডটা
এবার ভুলের বর্ণনা :
১)বাংলালিংকের এ্যাড : আমি এ্যাডটার শেষের দিকের ঘটনার কথা বলছি।শখ যখন একটা ছেলের হাত ধরে ঘুরতে থাকে,তখনই ভুলটা চোখে পড়ে।শখ প্রথম দিকে ছেলেটার হাত ধরে অ্যান্টি-ক্লক ওয়াইজ ঘুরে।পরে যখন ক্যামেরা তার মুখের সামনে চলে আসে তখন দেখা যায় সে ক্লক ওয়াইজ ঘুরছে!ব্যাপারটা অদ্ভুত।
২)মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলির এ্যাড : এটার ভুলটা বেশ মজার।এক্ষেত্রেও এ্যাডের শেষের দিক।সকালবেলা একটা ছেলে যখন ঘুম থেকে উঠে,তখন তাকে দেখে আরেকটা ছেলে হাসতে যায়।ঠিক তখনই ঘটে বিপত্তি।সে তার ঠোঁটের কারণে হাসতে পারেনা,কারণ তার ঠোঁট প্রচন্ড টানটান হয়ে আছে।তখন তাকে প্রথম ছেলেটা মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি দেয়।সাথে সাথে দ্বিতীয়জন বিশাল হাসি দেয়।দেখে মনে হল তার ব্যথা হাওয়া হয়ে গেছে জেলিটা ছুঁয়ার সাথে সাথে!
মজার,তাই না?এমন হলে মানুষ আর জেলি কিনবে না,খালি মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি ছুঁয়ে চলে আসবে।ব্যস,কেল্লা ফতে।সব ব্যথা উধাও হয়ে যাবে ।
৩)রবির এ্যাড : এক্ষেত্রে অবশ্য কোন ভুল নেই,তবে একটা ব্যাপার দেখে অবাক হয়েছি।পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে যখন হাতের ঘড়ি ফেলতে লাগল,তখন ছিল সকালবেলা।এরপর তারা হাঁটতে হাঁটতে যখন ক্লাবে পৌছাল,তখন রাত্র হয়ে গেছে!
এখন প্রশ্ন হল,তারা ঘড়ি ফেলে এতটাই খুশি হয়ে গেল যে সবাই হেঁটে এত দূরত্ব অতিক্রম করে ফেলল?
আমার ভুল ধরা শেষ।এগুলো অবশ্য হতেই পারে,তবে মেকিং এর ক্ষেত্রে আরেকটু সচেতন হলে ভালো হয়।
অবশেষে সামুকে অভিনন্দন।আমাদের সামুর এমন অর্জনে আমি খুশি হয়েছি এবং গর্ব বোধ করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩১