ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেছেন যে যুদ্ধাপরাধে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। কথাটি পড়ার পর কয়েক মিনিট হোহোহো করে হাসলাম। উনি আরো বলেছেন এমনকি ধর্মভিত্তিক কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও ইসলামী ব্যাংকের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আরো কিছুক্ষণ হাসলাম। উনি কি খেয়ে যে এই কথাটি বললেন তা বোধগম্য হচ্ছে না। ইসলামী ব্যাংক যে কি তা মনে হয় আমার চাইতে ভাল কেউ আর বুঝবে না। এরা বলে সুদ নেয়না কিন্তু কিভাবে খুব চালাকির মাধ্যমে যে এরা সুদ নেয় সেটা বিস্তারিত ভালই জানা আছে আমার। কোন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের সাথেই এরা "Profit-Loss" share এর মাধ্যমে লেনদেন করেনা। এ যাবত এই ব্যাংক একেবারে ডাহা মিথ্যা কথা বলে আসছে যে এরা নাকি "Profit-Loss" share করে। এটি একেবারে ভুল একটি তথ্য। 'ইসলামী ব্যাংক সরাসরি সুদ না খেয়ে ঘুরিয়ে খায়'_এমন অভিযোগ সম্পর্কে এমডি বলেন, 'আমরা টাকাকে পণ্য বিবেচনা করি না। টাকার কেনা-বেচাও করি না, যে কাজটি অন্য ব্যাংক করে থাকে। আমরা মালের (রিয়েল গুডস্) কেনা-বেচা করি। এক ধরনের অর্থনৈতিক পদ্ধতি হিসেবে এটি এসেছে। এখানে সুদের কোনো বিষয় নেই।' খুব সুক্ষ্ণভাবে এড়িয়ে গেলনে প্রসঙ্গটি। আমি চ্যালেণ্জ দিয়ে দেখাতে পারবো প্রমাণ সহ যে এই ইসলামি ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকেও চড়া সুদের ব্যবসা করে আসছে।
উদাহরণ সরুপ একটি কোম্পানীর ব্যাপারে বলি, সেই কোম্পানী ২০০০ সালে ১২ কোটি টাকা এই ব্যাংক থেকে নিয়েছিল। এর মধ্যে কোম্পানী আর্থিক সমস্যায় পড়ে। তা তে ব্যাংকের কিছুই যায় আসে নি। "Profit-Loss" share করার কথা যে বলে সেটাও করে নি। তার পরেও সেই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে ব্যাংককে টাকা দিয়েছে। আর গত কয়েক বছর ধরে ১ টাকা কেন ১ পয়সাও নেইনি সেই প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে। তারপরেও এই ১২-১৩ বছর পর যখন জানতে চাওয়া হয় লোন কতটুকু আছে, ব্যাংক বলে ১২ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হয় ব্যাংক যেহেতু "Profit-Loss" share এ কাজ করে তাই এ যাবৎ টোটাল ব্যাংক যা দিয়েছে এবং প্রতিষ্ঠান ব্যাংককে যা দিয়েছে তা প্লাস-মাইনাস করলে যেটা হবে সেটাই দেবে কোম্পানী। তা তে হিসেব করে দেখা গেছে ব্যাংক পাবে আর ১ কোটি টাকা। ব্যাংক এখন বলছে ওইসব হিসেবে কাজ হবেনা।
এই হলো ইসলামী ব্যাংকের কাজ!!!!