আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছি সাড়ে ১০টায়।কলেজ ছুটি,তাই বেশিক্ষণ ঘুমাতে বাধা নেই।বাধাটা অবশ্য কলেজের তরফ থেকে নেই,তবে বাসার তরফ থেকে আছে।তাই ৯টা না বাজতেই ডাকাডাকি শুরু হয়ে গিয়েছিল।এমনকি ঘুমটা পর্যন্ত ভেঙেছে মার বড় এক ধমক খেয়ে।ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে আমার মন এমনিতেই কিছুটা খারাপ থাকে,তার উপর মার ঐ বিরাট ধমক খেয়ে মন আরো বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল।তাই সকালবেলাটা কেটে গেছে বিরক্তির সাথে।
এরপর দুপুরে বিরক্তি লাগল ইমন আর কুসুমের অভিনিত ছায়াছবি 'গহীনে শব্দ' দেখে।কারণ পরিচালকের গল্প বলার ঢঙ আমার মোটেও পছন্দ হয় নি।তিনি প্রায়ই অপ্রাসঙ্গিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের কথা টেনে আনছিল,যা দেখে আমার যথেষ্ট বিরক্তি লেগেছে।এর পাশাপাশি আবার কোথা থেকে ভাষা আন্দোলনের কাহিনী,ঊনসত্তের গণঅভুত্থান এসব নিয়ে টানাটানি করতে লাগল।তাছাড়া বড়লোকের ছেলের সাথে ভিখিরির মেয়ের ভালোবাসার গল্প,ভিখিরিদের জীবন কাহিনী,শ্বশুরের প্রতি বৌমার অন্যায় আচরণ প্রভৃতিও ছিল।সবকিছু দেখে আমার কাছে সিনেমাটা জগাখিচুরির মত মনে হয়েছে।পরিচালক একই সিনেমার মধ্যে সবকিছু ঢুকানোর চেষ্টা করেছেন,তাই কোন কিছুই ভালো ভাবে ফুটে উঠেনি।একারণে আমার সেটা ভালোও লাগেনি।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের দেশে কম সিনেমা হয়নি।কিন্তু সার্থক সিনেমা হয়েছে কয়টা?যখন দেখি মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে পরিচালকেরা ইচ্ছেমত ছবি বানাচ্ছে,তখন খুব খারাপ লাগে।
সন্ধ্যা বেলা সিনেমাটা শেষ হবার পর আমার মা আর বোন বলল যে তাদের কাছে সিনেমাটা ভালো লেগেছে।আমি তখন কিছু বলিনি।
যাই হোক,বিকেলবেলা নেট ব্রাউজ করতে এসে দেখি স্পিড একদম কম।মাথা তাই আরো গরম হয়ে উঠে।তখন মনে হচ্ছিল জিপির মডেমটা ছুঁড়ে ফেলে দিই।ফালতু একটা জিনিস!
অনেক দিন পর আজকে মুরগির মাংস খেয়েছি।কিন্তু তাতে লবণ কম ছিল।তাই খেতে তেমন ভাল লাগেনি।
বিধর্মী বলে আজ আমার বন্ধুরা আমাকে দাওয়াত দেয়নি।তাই ঘরের মধ্যে আমার সারাটা দিন কেটেছে।
কিছুক্ষণ আগে সামুতে ঘোরাঘুরি করছিলাম,এমন সময় কারেন্ট চলে গেল।কেমন লাগে বলুন ত?বিরক্তির শেষ নেই আজ।
আজ চরম বাজে একটা দিন গেল বা যাচ্ছে।মেজাজ চরমে পৌঁছে আছে।এই মুহূর্তে যদি আবার এই জিপি মডেম ডিস্টার্ব দেয়, তাহলে খুনোখুনি হয়ে যাবে কিন্তু!
চলি।