somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈদুল আযহা ও আমাদের করণীয়

১৫ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/mahbuburrashid_1289828562_1-eid_05_1_.jpg
........মাহবুবুর রশিদ.........

ঈদ আরবি শব্দ । মাত্র দু'টি অরের সমন্বয়ে গঠিত । কিন্তু এর তাৎপর্য অনেক । ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ বা খুশী । প্রত্যেক সমপ্রদায়ের লোকদের কাছে বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাদের নিজ নিজ আনন্দ ও উৎসবের দিন থাকে । তেমনি প্রতি বছর বিশ্বের মুসলমানদের কাছে দু'টি অত্যন্ত আনন্দের দিন আসে -- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা । ইসলামের আনন্দ উৎসবাদির মধ্যে নিহিত রয়েছে ইসলামের মূল শিা,মানবতার সাম্য,শান্তি ও কল্যাণ সাধনের প্রশিণ । তাই প্রত্যেক মুসলমানদের কাছে দু'ঈদের আনন্দ সংযমের ও আনুগত্যের। ঈদ মুসলমানদের জাতীয় পর্ব । ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার পৃথক পৃথক পটভূমি রয়েছে । ঈদের খুশী প্রত্যেক মুসলমানের প্রাণকে আলোড়িত করে তোলে। দু'টি ঈদের দিন পত্যেক মুসলমানগণ হিংসা,বিদ্বেষ,ভুলে গিয়ে ধনী-গরীব নির্বিশেষে এক কাতারে সমবেত হয় । এ যেন মুসলমানদের এক মহান মিলনমেলা । ঈদের দিন থেকে আমরা এ শিা পাই যে,প্রত্যেক মুসলমান একে অন্যের ভাই ভাই । ঈদুল ফিতরের আনন্দ শেষ হতে না হতেই জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ খুশীর সওগাত নিয়ে আবার আমাদের মাঝে হাজির হয় ঈদুল আজহা বা কুরবানীর ঈদ । জিলহজ্ব মাসের ১০হতে ১৩ তারিখ পর্যন্ত কোরবাণী আদায় করে আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টি কামনা করেন বিশ্বের মুসলিম জনতা । ঈদুল আযহার অনেক তাৎপর্য রয়েছে । হযরত ইব্রাহীম(আঃ) কে মহান আল্লাহ তাআলা স্বপ্নে তার সর্বাপো প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর নামে কুরবাণী করার জন্য তাগিদ দেন । হযরত ইব্রাহীম(আঃ) অনেক চিন্তা,ভাবনার পর স্থির করলেন যে,তাঁর স্নেহের পুত্র হযরত ইসমাইল(আঃ) ব্যাতীত প্রিয় বস্তু আর কিছুই নেই । আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হযরত ইব্রাহীম(আঃ) তাঁর প্রাণ প্রিয় পুত্রকে আল্লাহর নামে কুরবানী করতে নিয়ে যান । কঠিন পরীায় হযরত ইব্রাহীম(আঃ) উত্তর্ীণ হন । আল্লাহ তাআলা,ইব্রাহীম(আঃ)এর প্রভূভক্তির জন্য সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাইলের পরিবর্তে দুম্বা স্থাপন করেন । দুম্বা কোরবানী হয়ে যায় । সেদিন থেকে মহান আল্লাহ ইব্রাহীম(আঃ) এর উপর সন্তুষ্ট হয়ে মুসলমানদেরকে ঈদুল আযহা উপহার দিয়েছেন এবং কুরবাণী করার নির্দেশ দিয়েছেন । আর তাই প্রত্যেক বছর জিলহজ্ব মাসের ১০-১৩ তারিখ বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকে । কবি বলেছেন---------
ঈদুজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ
এলো আবার দুসরা ঈদ
কোরবাণী দে কোরবাণী দে
শোন খোদার ফরমান তাগিদ ।
কোরবাণী মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে একটি ইবাদত । নামায,রোজা,হজ্ব,ইত্যাদি যেমন আল্লাহ ছাড়া কারো উদ্দ্যেশ্য হয়না,তেমনি কুরবাণী ও আল্লাহ ছাড়া কারো জন্য নয় । আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন যে,আপনার প্রতিপালকের উদ্দ্যেশ্য নামাজ ও কোরবাণী করুণ (সূরা কাওসার) । তাই মুসলমানদের যাদের সামর্থ্য আছে তাদের কোরবানী করা অবশ্যই কর্তব্য । রাসুল(সাঃ) বলেন-অর্থ্যাৎ যাদের কোরবাণী দেওয়ার সমতা আছে,কিন্তু কোরবাণী দেয়,না,সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবতর্ী না আসে । ঈদুল ফিতরের মত ঈদুল আযহার দিন ও ঈদগাহে ইমাম সাহেব ঈদুল আযহার খুৎবা পাঠ করেন । খুৎবায় ঈদুল আযহার তাৎপর্য,উদ্দ্যেশ্য ইত্যাদি বয়ান করে থাকেন । খুৎবা শেষে মোনাযাত করা হয় । মোনাজাত শেষে বাড়ীতে এসে কুরবাণী পশু কুরবাণী করা হয় । কোরবাণীকৃত পশুর গোস্ত গরীব,এতিম,মিসকিনদের মধ্যে বন্টন করা হয় । আমাদের দেশে অনেক ধনী ব্যক্তি আছে যারা কুরবাণীর গোস্ত গরীবদের মধ্যে বন্টন না করে ফ্রিজে সংরণের জন্য রেখে দেয় । কিন্তু মনে রাখতে হবে এরাও আমাদের ভাই । ধনী ব্যাক্তিদের উপর এদের ও একটা প্রাপ্য আছে । সাহাবা (রাঃ) এর প্রশ্নের জবাবে রাসুল(সাঃ) বলেন, কুরবাণীর পশুর প্রত্যেকটি লুমে একটি করে সওয়াব লিখিত হয় । তবে কুরবাণী হতে হবে আল্লাহকে খুশী করার নিয়তে । কোরবাণীর পশু নিয়ে হিংসা,বিদ্বেষ করা চলবেনা । অনেকে বেশী দাম দিয়ে পশু ক্রয় করে পত্র পত্রিকায় নিজেদের নাম ফলাও করে প্রকাশ করে । আল্লাহ অহংকারীদেরকে পছন্দ করেন, না । ঈদ মুসলসানদের মন থেকে হিংসা,বিদ্বেষ, অহংকার,ঘৃণা,উঁচু,নিচু,ভেদাবেদ দূর করে। ফলে তাদের অন্তরে দয়া,সহানুভূতি,ত্যাগ, ও দানশীলতার উন্নেষ ঘটে । মুসলমানদের প্রত্যেকটি দিনই হোক ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনের মতো । কবির ভাষায়------------
ওরে হত্যা নয় আজ সত্যাগ্রহ
সত্যোর উদ্বোধন ।

লেখকঃ মাহবুবুর রশিদ,সাংবাদিক ও শিাথর্ী
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×