আজ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সেনাবাহিনী কর্তৃক খালেদাকে লাঞ্ছিত করার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এতে খালেদা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করে গত কাল সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
খালেদার নারী নির্যাতন মামলা করা উচিৎ।
সেনা বাহিনী তার এই অভিযোগ অসীকার করে বলেন খালেদাই সেচ্চায় সজ্ঞানে সেনাবাহিনীর সাথে বাড়ীথেকে বের হয়ে পালিয়ে চলে এসেছেন।
বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, তাঁকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে আমি অপমানিত, লাঞ্ছিত, লজ্জিত বোধ করছি। এর বিচারের ভার আমি আল্লাহ ও দেশবাসীর কাছে ছেড়ে দিলাম।’
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন খালেদা জিয়া। এতে ঢাকা সেনানিবাসের ইজারা দেওয়া বাড়ি থেকে কীভাবে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার বর্ণনা দেন তিনি। কথা বলার সময় খালেদা জিয়া বারবার চোখ মুছছিলেন। কয়েকবার তিনি মাথা নিচু করে কাঁদেনও।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘খুবই দুঃখভরা মন নিয়ে আপনাদের কাছে দুটি কথা বলতে এসেছি। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে আমাকে উচ্ছেদ করা হলো। দীর্ঘদিনের সংসারের মালামাল ছেড়ে আমাকে এক কাপড়ে বেরিয়ে আসতে হলো। আমার কোনো জিনিসপত্র আনতে দেওয়া হয়নি। এমনকি যেসব জিনিসপত্র রেখে দেওয়া হয়েছে, তার আইনসম্মত কোনো তালিকাও করা হয়নি।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি প্রায় ৪০ বছর এই বাড়িতে বাস করে আসছি। এই বাড়িতে জড়িয়ে আছে আমার সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার অনেক স্মৃতি। জিয়াউর রহমান দেশের জন্য জীবন দেওয়ার পর এসব স্মৃতি এখন আমার কাছে আরও বেশি জোরালো হয়ে উঠেছে।’
বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, ‘বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে আমি অপমানিত, লাঞ্ছিত, লজ্জিত বোধ করছি। তারা আমার পরিবারের সদস্যদের গায়ে হাত তুলতেও কুণ্ঠা বোধ করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিরোধীদলীয় নেত্রী, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশের বৃহত্তম দলের নেত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, সাবেক সেনাপ্রধানের স্ত্রী, স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী। আমার সঙ্গে এই আচরণ করতে পারলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা, তা সহজেই অনুমেয়।’
খালেদা জিয়া দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে মূল ফটকের নেট কেটে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। ঘরের কাজের লোকেরা দরজা খুলে দিলে তাঁর শয়নকক্ষের দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন তাঁরা। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে তাঁরা ভেতরে ঢুকে তাঁকেও বাড়ি থেকে বের করে আনেন।
বাংলাদেশে ইভটিজিং এর জেড় খুব খারাপ পর্যায়ে চলে এসেছে। শেষ পর্যন্ত খালেদাকে ও ইভটিজিং এর সীকার হতে হলো।