somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তাজুল ইসলাম মুন্না
সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ালেখা করছি। পাশাপাশি অনলাইন জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছি দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে। ব্লগে ফেরার ইচ্ছা বহুদিনের। একদিন হয়তো হুট করে আবারও রেগুলার হয়ে যাবো।

টরেন্টগুলারে জিন্দা রাখেন ভাই। এতোটা স্বার্থপর হইয়েন না...

১১ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টরেন্টে এক পিসি থেকে আরেক পিসিতে ডাটা যায়। এটা মূলত দেওয়া নেওয়ার সিস্টেম। এই সিস্টেমের মধ্যে রাখলে টরেন্ট নিয়ে কোনপ্রকার জটিলতা হয়না। কিন্তু কিছু স্বার্থপর গোছের মানুষ আছেন যারা নেওয়ার সময় হাত পাতেন কিন্তু দেওয়ার সময় আর খবর থাকেনা। ফাইল ডাউনলোড ১০০% শেষ, আর সাথে সাথেই তারা সিডিং অফ করে ভদ্র মানুষের মতো চুপচাপ নিজের কাজ করে। ডাউনলোড করা গেইমস্/মুভিটা দেখে। একটা কথা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? যে মুভিটা ডাউনলোড করেছেন সেটা আপনার কম্পিউটারে আরেকজনের পিসি থেকে এসেছে। সে যদি আপনার মতো কাজ করতো তাহলে আপনি কি ফাইলটা পেতেন? আপনার এই স্বার্থপরতার জন্য হয়তো আরেকজন ইউজার ফাইলটি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।

আমাদের দেশের ইন্টারনেট স্পিডের অবস্থা যথেষ্ট মাত্রায় খারাপ! তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। আপনি ডাউনলোডের সময় একই সাথে আপলোডে দিলে আপনার ডাউনলোডের বারোটা বাজবে। তাও জানি। তাহলে একটা কাজ কেন করেননা? ডাউনলোডের সময় স্পিডটা লিমিটেড করে ডাউনলোড কমপ্লিট হয়ে গেলে সিডিং এর সময় যতোটুকু সময় পারেন আপলোড স্পিড আনলিমিটেড করে দিন। আমারতো মনেহয় দেশে বসে যারা ব্রডব্যান্ড/বাংলা লায়ন ব্যবহার করছেন তারা ম্যক্সিমাম আনলিমিটেড প্যাকেজই ব্যবহার করেন নাকি? ব্যান্ডউইথ নিয়ে টানাটানি না পড়লে এই কাজটা করতে বেশি কষ্ট করার কথা না। আপনার পিসিটা যখন আইডল পড়ে থাকে তখন আপনি এই সিডিংয়ের কাজটা সেরে রাখুন। একটা ৭০০ মেগাবাইটের ফাইল নানানজনের পিসি থেকে নিচ্ছেন যখন আপনার দ্বায়িত্বের মধ্যেই পরে মিনিমাম ৫০-১০০মেগাবাইট রিটার্ন করা। যে ফাইলগুলোতে সবসময় সবাই সিডিং করে সেইগুলাকে সিড করতে না পারেন যেগুলো একটু রেয়ার ফাইল মানে সিডার নেই সেগুলোকে সিড করুননা।

আমি গত একমাস ধরে টরেন্ট ব্যবহার করছি। অনেক দেশের মানুষকে দেখেছি পিয়ারস্ লিস্টে। কিন্তু বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা এখন পর্যন্ত এমন কোন বাঙালীকে দেখলাম না যে সিড করছে। যার কম্পিউটার থেকে আমার পিসিতে ডাটা আসছে। ইভেন আজকে একটা গেমস্ ডাউনলোড করলাম ২২মেগাবাইটের। ২২মেগাবাইটের মধ্যে সম্পূর্ণটা আমার পিসিতে আসলো এক আমেরিকানের পিসি থেকে! সবুজের মধ্যে লাল পতাকাটা যখন আপনি কারো পিসি থেকে ডাটা নেন তখন কিন্তু তার ওখানে দেখা যায়। এই সবুজের মধ্যে লাল দাগ দেওয়া পতাকাটা বাংলাদেশকে নির্দেশ করে। বাঙালীদেরকে বিশ্বের সবার সামনে এতোটা স্বার্থপর করে তুলবেন না। নিজের সামর্থে যতোটুকু সম্ভব পারেন ততোটুকু দিন। বিদেশীরা জানে যে আমাদের দেশের ইন্টারনেট স্পিডের কি হাল! যখন আপনি তাদের পিসি থেকে ডাটা নেন তখনই তারা টের পায়। কিন্তু তারা বিরক্ত হয়ে সিডিং বন্ধ করেনা। বরং আপনি যতোক্ষণ ডাউনলোড করবেন ততোক্ষণ আপনাকে তারা ডাটা দিতে থাকবে। আমার ডাউনলোড স্পিড ছিল গেমসের ঐ টরেন্টটায় ৯কেবিপিএস এবং আমেরিকান ভদ্রলোক আমাকে অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে পুরো এক ঘন্টা বসে ফাইলটা দিয়েছেন। তিনি যখন দিতে পারলেন তখন আমরা কেন দিতে পারবোনা। তার দিতে এক ঘন্টা লেগেছে। আমাদের দিতেও কিন্তু এক ঘন্টাই লাগবে। কারণ তখন আমাদের আপলোড স্পিড থাকবে ৯কেবিপিএস।


বাঙালীদেরকে ছোট করে দেখছি না। আমি নিজেও একজন বাঙালী। বাঙালীর নামে কিছু বললে সেটা সবার প্রথমে লাগবে আমার গায়ে। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি, এতোটা স্বার্থপর হবেন না। নিচ্ছেন যখন, কিছু অন্তত দিন ...


আপনার যদি সিডিং করেন তাহলে একটা টরেন্টের চেহারা এরকম হতে পারে:::

Click This Link


আর সিডিং না করলে চেহারা হবে এরকম:::

Click This Link
(আমি পাচঘন্টা ধরে বসে আছি। আর এই ভদ্রলোক বসে আছে সাড়ে চারঘন্টা ধরে। একজনও সিড করছেনা...)



আসুন ভাই। আমরা দিতে শিখি। টরেন্ট থেকে কিছু ডাউনলোড করলে সিডও করুন। একজনের কাছ থেকে উপকার নেবেন। আর উপকার করতে পারবেন না???
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:৫৬
৩৯টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×