somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তৈরি হও বাঙ্গালী । তৈরি হও (এক সাংবাদিকের ফেবু স্টেটাস)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটু আগে একজনের কল এলো। সাংবাদিকতার কারণে অনেকজনের সাথে সম্পর্ক রাখতে হয়। কল করেই সে বলে যে ঘটনা প্রচন্ড খারাপ। পাকিস্তানী জঙ্গীরা আস্তে আস্তে বাংলাদেশে আসছে। গতকাল ঢাকায় জাতীয় মসজিদে হামলা হয় দুই পাকিস্তানীর নেতৃত্বে। এমনকি চট্টগ্রামে হামলা শুরুর সময় "পাকিস্তান জিন্দাবাদ" বলেই শুরু হয়ে চলতে থাকে। আর নোয়াখালীতে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে বের হয় মিছিলকারীরা। যা দেখে সাধারণ জনতাই ধাওয়া দেয় তাদের। এসব শুনে পরিচিত কয়েকজনের সাথে ফোনে কথা বলে জানতে পারি, ঘটনা সত্যি এবং অনেক গভীরভাবেই পরিকল্পিত। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শহীদ মিনারে হামলা এবং বাঙ্গালীর জাতীয় পতাকা ছেঁড়া হয়। এরপর জানতে পারি বাইরের দেশ থেকে জামাত অতিরিক্ত সাহায্য চাইছে। এখন তারা আন্দোলনকারী সেজে পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে দেয়ারও ঘৃণ্য পরিকল্পনা করেছে।
এই সবকিছু হচ্ছে প্রবাসী জামাতের বিভিন্ন নেতাদের নির্দেশে। এমনকি সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যুদ্ধপরাধীদের বাঁচাতে।
এখনো পর্যন্ত কিন্তু কারো ফাঁসি হয়নি। বাচ্চু রাজাকারের দিলেও সে পলাতক। আর কাদের মোল্লার তো এখনো ফাঁসির দাবী চলছে। কিন্তু সাঈদীর রায় পেছানোই হচ্ছে।
এসবের মধ্যে এখন দেখি পাকিস্তানীদেরকেও এই দেশে আনা হচ্ছে! শিবিরের কাছে জমা হচ্ছে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র। খুব ভালোভাবেই প্রস্তুত হয়ে গেছে জামাত শিবিরের “সুইসাইড স্কোয়াড” এর কর্মীরা। সবকিছু মিলিয়ে এক নতুন করে আবার কিছু একটা করতে চলেছে জামাত শিবির। তার সাথে একাত্ম হচ্ছে অন্যান্য ইসলামী সমমনা দলগুলো। নেজামে ইসলামী পার্টিও এই বাংলাদেশ চায়নি। এখন তারাও এই ঘৃণ্য কাজে সামিল হয়েছে আবার। এখন তারা সকলকিছুর বিনিময়ে শাহবাগ আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে চায়, তারা নিঃশর্তে মুক্তি চায় সকল রাজাকারদের। এর সাথে সমর্থন করছে বিএনপি। এর মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসে সরাসরি রাজাকারদের ফাঁসি দিতে অনুরোধ করল।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জামাত-শিবির শনিবার মসজিদে আগুন দিয়েছে, মসজিদ থেকে ইট মেরেছে, মসজিদ থেকে ককটেল ছুঁড়েছে, মসজিদ থেকে জুতা তুলে উল্লাস করেছে, সাধারণ মুসুল্লিদের নামাজ পরতে দেয়নি, সাংবাদিক কর্মীদের উপর হামলা করেছে, পতাকা ছিঁড়েছে, শহীদ মিনার ভেঙ্গেছে - সুতরাং আমাদের মা বাংলাদেশ এখন নিরাপদ নেই।
২৪ফেব্রুয়ারী রবিবার জামাত শিবিরের নেতৃত্বে ইসলামী দলগুলোর ডাকা হরতালে এই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মৌলবাদী জঙ্গি’দের সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। সব কেমন পরিকল্পিতভাবেই এগোচ্ছে। এমনকি এতোদিন কোনো খবর না থাকলেও ইদানীং ভারতের মিডিয়া এই আন্দোলনের খবর প্রচার করছে মোটামোটি ভালভাবেই। কিন্তু আলজাজিরা করছে জামাতের পক্ষে। সিএনএন ও বিবিসি তেমন কিছু প্রচারে নেই। ইদানীং বিভিন্ন ধর্মীয় পেইজও দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে অনেক বেশী পরিমাণে। আর সবখানে চলছে আপত্তিকর কথাবার্তা। এদিকে এতকিছু চলা সত্বেও বাংলাদেশের গোয়েন্দারা এবং প্রশাসন এমন নীরব ভূমিকাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
এর মধ্যে পাকিস্তানী স্লোগান দেয়া, পাকিস্তানী পতাকা নিয়ে জঙ্গী হামলা, এমনকি পাকিস্তানী ২জন জঙ্গীর নেতৃত্বে জাতীয় মসজিদ থেকে গতকালের তান্ডব, সব কেমন জানি একটা ছকে বাঁধা খেলা। তার মানে শুধু দুই জন না, আরো অনেক পাকিস্তানী তালেবান জঙ্গী আমাদের বাংলাদেশে ঘাঁটি গড়তে শুরু করেছে। আর আমরা যারা এই আন্দোলনে নেমেছি আমরা অনেকেই জানিনা কি হবে। তবে আমাদের অগোচরে হয়ে যাচ্ছে অনেককিছুই যা আমরা অনেকে জানতেই পারছিনা।
গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। এখন প্রশ্ন, আবার কিসের নীল নকশা আঁকা হচ্ছে?
আবার আরেকটা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও বাঙ্গালী।
আমার মাটি আমার মা, পাকিস্তান হতে দেবো না।
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭



অনেক দিন পর আমি আজ এই হোটেলে নাস্তা করেছি। খুব তৃপ্তি করে নাস্তা করেছি। এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা। ঠিকনা: ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডম ভবেরচর, গজারিয়া, মন্সীগঞ্জ। দুইটি তুন্দুল রুটি আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×