somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, আপনি কি করবেন বিচার চাইবেন কি না?? দলবাজী করবেন কি না??

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ কয়েকটি ছোটগল্প লিখব, সম্পুর্ন বানানো কিংবা কারও লেখার সাথে সাদৃশ্য থাকতে পারে, তবে তা নিতান্তই অনাকাংখিত। গল্পগুলো মনোযোগ দিয়ে না পড়লে নিশ্চিত আমাকে গালি দিবেন, তাই বলছি পড়লে মনো্যোগ দিয়ে পড়ুন, তারপর ভদ্র ভাষায় মন্তব্য করুন, আর তা না পারলে দূরে থাকুন। ;);)
গল্প ১
দু’ভাই রাস্তা দিয়ে হাটাহাটি করার সময় একজনের পায়ে মানুষের বর্জ্য লাগল। তারপর ছোটভাই পা ধুয়ে বাসায় গেল। রাতে খাওয়ার টেবিলে অপর ভাই বলল, তোর পায়ে গুয়ের গন্ধ, ছিঃ ছিঃ এই বিটকাল গন্ধ নিয়ে এসেছিস, থু থু থু।X((X((
একথা শুনার পর মা বমি করে দিলেন। বমি করতে করতে একপর্যায়ে মা মারা গেলেন।/:)
তারপর ছোটভাইকে বড়ভাই বলল তোর কারনেই মা মারা গেল। মায়ের মৃত্যুর জন্য তুই দায়ী।X((
ছোটভাই বলল, ভাইয়া আমিতো ঐ বর্জ্য সেখানেই ধুয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু তুমিই সে কথা মায়ের সামনে বলেছিলে, তাই মা মারা গেল। সতরাং মা এর মৃত্যুর জন্য তুমি দায়ী।।
মায়ের মৃত্যু গৌন হয়ে তারা পরস্পর ঝগড়াতে লিপ্ত হয়। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজীর কছে গেল।(
কাজী বললেন, ছোটভাইয়ের রাস্তায় চলাফেরার সময় রাস্তা দেখে চলা উচিত ছিল, তাহলে সে বর্জ্যতে পা দিত না। ফলে তার শাস্তি হবে।X((
বড়ভাইকে বললেন, ছোট ভাই ভুল করেছে, তাকে তুমি নিজেই চড়-থাপ্পড় দিয়ে শাষন করতে পারতে। খাওয়ার সময় তোমার ঐ কথা বলা উচিত হয় নি। কারন কার্য, সময় ইত্যাদি বিবেচনা করে কথা বলতে হয়। কাজেই তুমি বড় ভাইয়ের দায়ীত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছ, তোমারও শাস্তি হওয়া উচিত ।

মূলকথাঃ
যে নাস্তিক মারা গেছে তার কাজতো সেখানেই থেমে গেছে। কিন্তু তার লেখাগুলোকে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে তাতে রাস্তার বর্জ্যকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার মতই মনে হচ্ছে।:|
যে নাস্তিক মারা গেছে বা যে গুটিকয়েক নাস্তিকের বিচারের জন্য আন্দোলন করছেন তাদের উচিত ছিল আগেই এদের ভুলের শাস্তি দেওয়া। এখন এদের বিচার চাওয়া মানে ঐ সমস্ত যুদ্ধাপরাধীর বিচার বাঞ্চাল হওয়ার সু্যোগ সৃষ্টি হওয়া।
নাস্তিকের বিচার সবার আগে করা উচিত ছিল। কিন্তু সেই সময়ে আমরা বড় ভাইয়ের দায়ীত্ব ভুলে অর্থাৎ মুসলিমের দায়ীত্ব ভুলে গিয়েছিলাম। আর এখন সেই দায়ীত্ব পালন করতে গেলে মায়ের মৃত্যু অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাঞ্চাল অবধারিত। তাদের বিচারের সুযোগ সব সময় আসে না, ভেবে দেখুন ৪২ বছর পর এসেছে। কাজেই একে বাঞ্চাল হতে দিবেন না।
আল্লাহর রহমতে আর নাস্তিকের বিচার যেকোন দিন করা যাবে। কারন নাস্তিকের পক্ষে কেউ থাকবে না। কিন্তু এই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে লোকের অভাব নেই। তারা ইসলামের অঘোষিত শত্রু। চিহ্নিত শত্রু নাস্তিকদের বিচার করা সব সময়ই সম্ভব। কিন্তু ধর্মের লেবাজ পড়াদের বিচার করার সুযোগ সব সময় আসে না।X((X((
নাস্তিকের শাস্তি অবশ্যই চাই। আল্লাহর ও তার প্রিয় রাসুলের(সঃ) অবমাননা কোন মুসলিম মেনে নেবে না। ইনশা-আল্লাহ তাদের বিচার এই মাটিতেই হবে। এই মাটিতেই ইসলামের ঝান্ডা উড়বে।:)
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবিতে যে আন্দোলন চলছিল তা কে এখন নাস্তিকের আন্দোলন নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অথচ সেখানে অনেক মুসলিম রয়েছে। তাদেরকে এভাবে নাস্তিক বানাবেন না। কারন দ্বীন ও ঈমানের ব্যাপারে আল্লাহ ব্যতিত কেউ সঠিক বিচার করতে পারবে না।কারন মানুষের অন্তরের খবর সেই মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তালা ছাড়া আর কেউ জানেন না।


গল্প ২

দুই বন্ধু বনের মধ্যে বাস করে। তারা একটি জায়গা পরিস্কার করে সেখানে ফসল ফলায়। ফসল ফলানোর জন্য তাদের আত্মীয় স্বজনও তাদের সাহায্য করল। দুইবন্ধু তাদের আত্মীয় স্বজনকে খাওয়াবে বলে প্রতিশ্রুতি দিল। তারা ফসল কেটে যখন ভাগ করতে গেল তখন দু’বন্ধুর মাঝে ঝগড়া শুরু হয়। ;)একজন বলে আমি বেশি পরিশ্রম করেছি সুতরাং আমি বেশি ফসল নেব। অন্যজনও একই রকম দাবি করে। ফলে সেই ফসল আর কারও ঘরে নেয়া হয় না।
তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকেও খাওয়ানো হল না। ঐ ফসল ৪২বছর সেখানেই পড়ে রইল।

মূলকথাঃ
বাংলা মাকে স্বাধীন করতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যুদ্ধ করেছে(জামাত বাদে কারন তাদের বাবা মওদুদী অখন্ড পাকিস্তান চেয়েছিল)। যখন দেশ স্বাধীন হল তারা ক্ষমতা নিয়ে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়ল যে কে বেশি নিবে এই নিয়ে তুমুল দ্বন্ধ শুরু করল ফলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার আর করা হল না। ৪০ বছর পার হয়ে গেল।
আর আমরা আমজনতা বিচার পেলাম না।এভাবেই ৪২বছর কেটে গেল।


গল্প ৩

দ্বিতীয় গল্প শুনার পরও অন্যদু’বন্ধু ভাগে বাগান চাষ করবে বলে ঠিক করল। বাগানের ফসল নিয়ে ঝগড়া হবে ভেবে এক বন্ধু বলল, এইবার আমি সকল চাষবাস করব। পরেরবার করবি তুই। অন্য বন্ধু বলল, না, এইবার আমি করব , পরেরবার তুই। কেউ কারো দাবি মানল না।
এ নিয়ে ঝগড়া হল। ঝগড়া এতই প্রচন্ড আকার ধারন করল যে ৪২ বছর কেউ বাগানে গেল না। কিন্তু বাগানের সুবিধা অর্থাৎ বাগানের লাকড়ী-পাতা ইত্যাদি দুই বন্ধু ই ভাগ করে ভোগ করল। এভাবেই চলছিল…
কিন্তু ৪২ বছর পর প্রথম বন্ধু প্রথমবারের মত চাষ করল:)
স্বভাবতই দ্বিতীয়বার করল দ্বিতীয় বন্ধু। আর এভাবেই তাদের চাষ চলতে থাকল। অতঃপর তারা সুখে বসবাস করতে লাগল।

মূলকথাঃ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে দু’পক্ষই রাজনোতি করেছে। তারা সুবিধাও নিয়েছে , ৯৬তে আওয়ামীলীগ আর ০১তে বিএনপি। তাদের গাফিলতিরকারনেই ৪২বছরেও বিচার হয়নি।
আজ আওয়ামী লীগ যখন এই চাষবাস অর্থাৎ বিচার শুরু করেছে তখন বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও করবে। অনেকেই বলছেন আওয়ামী লীগের ভেতর অনেক যুদ্ধাপরাধী রয়ছে, তাদের বিচার করতে হবে। আমিও তাই চাই।
আপনিই বলুন, আপনার হাতে ক্ষমতা থাকলে আপনার পরিবারকে আপনি বাচাতে চাইবেন কি না?:P আওয়ামী লীগও তাই করছে। এখন দায়ীত্ব থাকবে বিএনপি এর উপর। এখন যাদের বিচার হচ্ছে না তাদের বিচার করবে বিএনপি।
হিসাব পরিস্কার। দুইয়ে দুইয়ের ময়লা পরিস্কার করবে।:P
অনেকেই বলছে যদি বিএনপি ক্ষমতায় না আসে তবে??? আমি বলব, ভাই আওয়ামী লীগ যদি ভাল কাজ না করে, বিচারে কারচুপি করে, তাহলে জনগন তাদের ভোট দিবে কেন?? আর যদি জনগনের চাহিদামত কাজ করে তবে সরকার বদলের দরকার কি?? আপনি নিশ্চয় জনতার রায়কে অমান্য করতে পারেন না… :|
তবে আমার ধারনা, বাংলাদেশে এক সরকার দু’বার নির্বাচিত হতে পারে না । কারন কোন সরকারই জনগনের চাহিদা মেটাতে পারে না।

অতএব , আপনিই সিদ্ধান্ত নিন,
১ আপনি কি চান? বিচার নাকি তাদের মুক্তি??
২ রাস্তার বর্জ্য সাথে নিয়ে যাবেন নাকি বাংলা মায়ের হত্যাকারীর বিচার চাইবেন সেটা আপনাদের ইচ্ছা
৩ দলবাজী করে বিচার বাঞ্চাল করবেন নাকি করবেন না??
৪ সকল আন্দোলন কারীদের নাস্তিক বলবেন নাকি বলবেন না??
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×