somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেমিক্যাল রাজ্যের রূপকথা (নাটক)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(অনেকদিন আগে আমাদের বুয়েটের কেমিক্যাল ডে উপলক্ষ্যে একটি নাটক লিখেছিলাম, কিন্তু তা খরোখাতাতেই পড়ে ছিলো, ধুলা-ধুসরিত হয়ে। আজ অনেকদিন পর খাতাটি বের করে সবার সাথে নাটকটি শেয়ার করতে ইচ্ছে করল)

সূচনাঃ বহুদিন পূর্বের কথা। তখন চারটি রাজ্য বিশ্ব শাসন করত। উত্তর আর পূর্বে ছিলো কেমিক্যাল আর মেকানিক্যাল রাজ্য, দক্ষিনে আর পশ্চিমে ছিলো সিভিল আর ইলেক্ট্রিক্যাল রাজ্য, চার রাজ্যের মাঝে ছিলো গহীন এনভারনমেন্ট বন। রাজ্যগুলোর মধ্যছিলো বেজায় ভাব...শুধু ইলেক্ট্রিক্যাল রাজ্যের মহান রাজা কার্শফকে তার শঠ উজির বয়েলস্টিড মেরে ফেলে নিজের রাজা হবার ঘোষণা দেবার আগ পর্যন্ত।

১৮ বৎসর পর...

দৃশ্য-১

মহান রাজধিরাজ, শাহেনশাহে শাহেনশাহ, বাদশাহর বাদশাহ কেমিক্যাল রাজ্যের সুলতান-ই-আলম, জাহাঁপনা ফেল্ডার আসছেন...।
(মহারাজ ফেল্ডারের আগমন, হাতে একটি গোলাপ ফুল, সাথে উজির কেলভিন)
মহারাজ ফেল্ডারঃ গোলাপের সৌন্দর্য্য ও বাড়ছে, কিন্তু গন্ধ কমে যাচ্ছে কেন, উজিরে আজম?
উজির কেলভিনঃ জাহাঁপনা, অনিয়ন্ত্রিত এ্যামোনিয়া যুক্ত সার দেয়াই এর জন্য দায়ী বলে অনুমান। এছাড়া সারকারখানার ক্যাটালিস্ট গুলোর পারফরমেন্স কমে যাওয়াও এর অন্যতম কারন হতে পারে জাহাঁপনা।
ফেল্ডারঃ তোমাকে না বলেছি, হেবার প্রসেস বাদ দিয়ে হ্যাল্ডর-টপসে প্রসেস ব্যাবহার করতে? আর নতুন হেটারোজিনিয়াস ক্যাটালিস্ট আনার ব্যাবস্থা কর। মেটালার্জি বাগানে পিএইচ ৭ যুক্ত মাটি আনা হয়েছে?
উজিরঃ জ্বী জাহাঁপনা, কন্টিনিউয়াস প্রসেসে কনভেয়র বেল্ট দিয়ে জিওলাইট সমৃদ্ধ মাটি আনা হচ্ছে, সেচের জন্য পাম্প বসানোর কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
ফেল্ডারঃ দেখবেন, পাম্পের সিস্টেম লস যেন কম থাকে।
উজিরঃ জ্বী আজ্ঞে জাহাঁপনা, যথা হুকুম।

[দৃশ্যে হঠাৎ করে অতি আধুনিক রমণীর প্রবেশ]


ইলেক্ট্রিক্যাল রাজ্যের রাজকন্যা

ফেল্ডারঃ আরে কি সৌভাগ্য আমার! এ যে দেখছি ইলেক্ট্রিক্যাল রাজ্যের রাজকন্যা ‘সার্কিট’ ! তা হঠাৎ করে কি মনে করে আগমন রাজকন্যা?
সার্কিটঃ (অবজ্ঞা ও ঢং এর সুরে) জ্বী মহারাজ, এসেছিলাম আমার হবু স্বামী আর কেমিক্যাল রাজ্যের রাজপুত্তুর টার্বাইনকে দেখতে। কিন্তু শুনি সে নাকি ‘এনভারনমেন্ট’ জঙ্গলে শিকার করতে গিয়েছে। তা...কি শিকারে গিয়েছে তাও নিশ্চয়ই আপনি জানেন মহারাজ?
ফেল্ডারঃ কি বলতে চাও তুমি পরিস্কার করে বলো শাহজাদি সার্কিট।
সার্কিটঃ(তাচ্ছিল্যের সুরে) বলতে চাই, আপনার ছেলে, আপনার অগোচরে এনভারনমেন্ট জঙ্গলে এক নাম পরিচয়হীন মেয়ের সাথে হৃদয়ের ম্যাটেরিয়াল ব্যালেন্স করায় ব্যাস্ত, তা কি আপনার জানা নেই?
ফেল্ডারঃ কে বলেছে এসব কথা? তোমার অভিযোগ অতি গুরুতর শাহজাদি সার্কিট, যদি সত্যি হয় তবে তার জন্য শাহজাদা টার্বাইনকে ইউনিট অপারেশন ল্যাবে দস্তানা ছাড়া স্টিম কন্ট্রোলের দ্বায়িত্ব দেয়া হবে।
সার্কিটঃ তাই করুন, আমাদের রাজ্যে হলে তো তাকে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে বসতে হত।
[উচ্চস্বরে হেসে সার্কিটের প্রস্থান, রাজা চিন্তিত অবস্থায় বসে পড়ল, হাত থেকে খসে পড়ল গোলাপ ফুল]

ফেল্ডারঃ উজির, যেখান থেকে পার রাজপুত্রকে আমার সামনে নিয়ে এস। দাড়িয়ে থেক না, যাও যাও।
উজিরঃ যথা আজ্ঞা মহারাজ।
[উজিরের কুর্ণিশ করে প্রস্থান] [১ নং দৃশ্যের সমাপ্তি]


মহারাজা ফেল্ডার ও রাজকুমারী সার্কিটের বিতন্ডতা

দৃশ্য-২

[রাজকুমার টার্বাইন ও তার প্রেমিকা ফ্লুইড এনভারমেন্ট জঙ্গলে]



টার্বাইনঃ তোমাকে ছাড়া আমি আর কিছুই ভাবতে পারিনা ফ্লুইড। প্রথম যেদিন এনভারমেন্ট বনে শিকার করতে এসে তোমাকে দেখি, এর পর থেকে আমার অন্তরের টোটাল ফ্র্যাকশন জুড়ে আছ তুমি।
ফ্লুইডঃ সত্যি শাহজাদা? আমাকে দেখলে আর কি কি মনে হয় তোমার?
টার্বাইনঃ তোমার কথা মনে পড়লে সিআইপি ক্লাসের ম্যাটেরিয়াল ও এনার্জি ব্যালেন্স এর কঠিন সব প্রবলেম জলবৎ তরঙ্গম হয়ে যায়, তোমার কাছে আসলে হৃদয় নামের পজিটিভ ডিসপ্লেসমেন্ট পাম্পটি দ্রুত রক্ত সঞ্চালন করে। ফুসফুস নামের কম্বাশন চেম্বার এর এক্সস্ট বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। তুমি কাছে থাকলে ওএবি প্রাসাদের কাকের কর্কশ কন্ঠও কোকিলের সুমিষ্ট রব মনে হয় প্রিয়া।
ফ্লুইডঃ আর আমি যদি কাছে না থাকি তোমার তবে?
টার্বাইনঃ তুমি না থাকলে যেন মনে হয় বুস্টার ইজেকটর দিয়ে কেউ হৃদয়ের পাম্পিং মিডিয়ামকে ভ্যাক্যুম করে দিয়েছে, মনে হয় যেন এ্যাডিয়াবেটিক রোটারি ড্রাইয়ার দিয়ে হৃদয়টা শুকিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
ফ্লুইডঃ কেন তুমি আমার জন্য নিজের হৃদয়কে স্ট্রেস অ্যান্ড স্ট্রেইন দাও তুমি? কি হই আমি তোমার?
টার্বাইনঃ কি হও তুমি আমার? শুনতে চাও, তবে শোন...

[ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক চালু]

তুমি আমার রোটারি পাম্প
ডিসচার্জে আছি
তোমার জন্য ধরেছি আমার
সিংহাসন বাজি।।
প্রেসার গজের এদিক ওদিক
কনস্ট্যান্ট ফ্লো-রেইটে আছি।
আমরা দুজনে করব শাদী
পুড়বে আলোর বাজি।।


[সঙ্গীতের সমাপ্তি]

ফ্লুইডঃ কিন্তু টার্বাইন, তুমি হলে সুবিশাল কেমিক্যাল রাজ্যের শাহজাদা, আর আমি হলাম সাধারন ঘরের মেয়ে। এ হতে পারেনা টার্বাইন এ হতে পারেনা। কেন জানিনা আমার বাবা কখনোই তার আসল পরিচয় আমাকে জানায়নি। আমাদের ভালোবাসার বন্ডিং এনথালপি অনেক বেশী শাহজাদা, কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমার বাবা আমার সম্পর্কে জানতে পারে, তাহলে দুজনের জীবনেই নেমে আসবে ভয়ঙ্কর টার্বুলেন্স!
টার্বাইনঃ তুমি কিচ্ছু ভেবোনা ফ্লুইড, দরকার হলে আমি সিংহাসন ত্যাগ করব। আমরা দুজনে লোন পেয়ার ইলেকট্রন হয়ে আর্কির চিপা দিয়ে পাশের সিভিল রাজ্যে চলে যাব...

[হন্তদন্ত হয়ে উজিরের প্রবেশ...]

উজিরঃ শাহজাদা, আপনাকে এই মূহুর্তে আমার সাথে ওএবি প্রাসাদে যেতে হবে। এ মহারাজার হুকুম।
টার্বাইনঃ আর, যদি না যাই?
উজিরঃ তাহলে আমি এক্সটার্নাল ফোর্স এপ্ল্যাই করতে বাধ্য হব শাহজাদা।
টার্বাইনঃ ঠিক আছে উজির সাহেব, আমি যাচ্ছি আপনার সাথে। কিন্তু আমার আনুপস্থিতিতে আপনারা ফ্লুইডের কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করবেন না।
উজিরঃ জো হুকুম শাহজাদা।

[শাহজাদা ও উজিরের প্রস্থান, ফ্লুইডের কান্না জড়িত কন্ঠে মঞ্চ ত্যাগ...শাহজাদা...শাহজাদা...]


উজির কেলভিন শাহজাদা টার্বাইনকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাচ্ছে

দৃশ্য-৩

[মহারাজা ফেল্ডার ও শাহজাদা টার্বাইন মুখোমুখি]


ফেল্ডারঃ শাহজাদা, যা শুনলাম তা কি সত্যি?
টার্বাইনঃ জ্বী আব্বা হুজুর। সব সত্যি। আমি ফ্লুইডকে ভালবাসি।
ফেল্ডারঃ খামোশ! কে সেই মেয়ে? কি তার বংশপরিচয়? ভূলে যেওনা শাহজাদা তুমি কেমিক্যাল রাজ্যের একমাত্র উত্তরাধিকারী। ওই মেয়ের পরিবারের সাথে আমাদের বংশ মর্যাদা কখনোই ইক্যুলিব্রিয়ামে আসবেনা। ইলেক্ট্রিক্যাল রাজ্যের রাজকন্যাই হবে তোমার জন্য উপযুক্ত।
টার্বাইনঃ বিয়ে যদি করতে হয় তবে ফ্লুইডকেই করব।
ফেল্ডারঃ কমবখত! তোমার সাহস দিনে দিনে বেড়ে ডিউ পয়েন্ট অবধি চলে গেছে! তুমি আরেকবার ওই মেয়ের কথা মুখে আনলে জ ক্র্যাশার দিয়ে তোমার হাড় গুড়ো করে সিভ এনালাইসিস করেই তবে ছাড়ব।
টার্বাইনঃ সে আপনি করতে পারেন আব্বা হুজুর। কিন্তু আমার মত বদলাতে পারবেন না।
ফেল্ডারঃ বটে! আমার মুখের ওপর তর্ক! আমিও দেখে নেব কত ফিডে কত সলিড! বিয়ে তোমার বয়েলস্টিডের মেয়ে সার্কিটের সাথেই হবে।
টার্বাইনঃ এটাই যদি তোমার শেষ কথা হয় তবে আমি সিংহাসন ছেড়ে এক্ষুনি ট্র্যান্সপোর্ট হয়ে এনভারমেন্ট জঙ্গলে চলে যাচ্ছি।
ফেল্ডারঃ যাও, তবে মনে রেখ শাহজাদা, ওএবি প্রাসাদের দরজা চিরকালের জন্য তোমার জন্য বন্ধ।
[রাজকুমারের প্রস্থান – ৩য় দৃশ্যের সমাপ্তি]

দৃশ্য-৪

[ওএবি প্রাসাদে ইলেক্ট্রিক্যাল রাজ্যের রাজা বয়েলস্টিডের আগমন]


রাজ্যলোভি রাজা বয়েলস্টিডকে দেখে হচকিত রাজা ফেল্ডার

বয়েলস্টিডঃ জাঁকজমক পূর্ণ, উঠতি শক্তির অধিকারী কেমিক্যাল রাজ্যের মহারাজা ফেল্ডার! অনেকদিন পর তোমার সাথে দেখা।
ফেল্ডারঃ তুমিও তো বেশ পরে এলে বয়েলস্টিড।
বয়েলস্টিডঃ হ্যাঁ, এলাম একটি বিশেষ কাজে। কথাছিলো আমার একমাত্র কন্যার ১৮ বছর হলেই তোমার পুত্রের বিয়ে দেবে। আগামী হপ্তায় তো রাজকন্যা সার্কিট অষ্টাদশী হতে চলেছে। তাই এসো, ওদের বিয়ে দিয়ে আমাদের বন্ধুত্বের(!) এফিসিয়েন্সি কার্ভ আরও একধাপ বৃদ্ধি করি। মনে নিশ্চয়ই আছে তোমার, ঠিক আঠেরো বৎসর আগে এ চুক্তিতেই আমি তোমার রাজ্য আক্রমণ করিনি।
ফেল্ডারঃ আমারও একই ইচ্ছে ছিলো বয়েলস্টিড, কিন্তু রাজকুমার যেন কোথাকার কোন নামপরিচয়হীন মেয়ের জন্য রাজ্য ছেড়ে নির্বাসিত!
বয়েলস্টিডঃ কি? এত্ত বড় কথা? তুমি এখন সেই আঠারো বৎসর পূর্বের মৈত্রীচুক্তি অস্বীকার করছ?
ফেল্ডারঃ না বয়েলস্টিড না, আমি অস্বীকার করছিনা, কিন্তু আমি অপরাগ।
বয়েলস্টিডঃ অতশত কিছু বুঝিনা, এক হপ্তার মধ্যে তোমার ছেলেকে এ বিয়ের প্রস্তাবে রাজি করাও। নইলে তোমার রাজ্য রাজ্য তছনছ করে দেব আমি। প্রয়োজনে আমি কতটা নিষ্ঠুর হতে পারি, তা অবশ্যই জানা আছে তোমার। মনে থাকে যেন, এক সপ্তাহ।
[বয়েলস্টিডের প্রস্থান]
ফেল্ডারঃ উজির...বল এখন আমি কি করি? আমি সংকটের ডু-লুপের মধ্যে পড়ে গিয়েছি হে উজির কেলভিন।
উজিরঃ জাঁহাপনা, চলুন এনভারমেন্ট জঙ্গলে গিয়ে রাজকুমারকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফিরিয়ে আনি। এই গভীর সংকটে তিনি-ই একমাত্র আশার আলো। তিনি অন্তত ব্যাপারটি বুঝবেন।
ফেল্ডারঃ তাই চল উজির। আমার নিউমেটিক কনভেয়ার যানটি ঠিক করতে বল, এক্ষুনি রওনা হব আমরা।

[দৃশ্য ৪ এর সমাপ্তি]

দৃশ্য-৫

[মহারাজ ফেল্ডারের এনভারমেন্ট জঙ্গলে আগমন, সাথে উজির কেলভিন ও টার্বাইনের ছোট বোন জেনারেটর। মঞ্চে আছে শাহজাদা টার্বাইন ও ফ্লুইড]



টার্বাইনঃ আব্বা হুজুর আপনি?
ফেল্ডারঃ হ্যাঁ বাবা আমি...রাজ্য এখন গভীর সংকটে। একমাত্র তুমিই পার উদ্ধার করতে।
টার্বাইনঃ আমি??? কিন্তু কিভাবে?
ফেল্ডারঃ ইলেক্ট্রিক্যাল রাজ্যের রাজা বয়েলস্টিড বলেছে, তার মেয়েকে যদি তুমি বিয়ে না কর, তাহলে কেমিক্যাল রাজ্য আক্রমণ করবে সে। ধ্বংশ করে দেবে আমাদের এতদিনের সাধের সম্পদশীল কায়নেটিক্স শহর, মেটালার্জি বাগান, প্রসেস কন্ট্রোল ল্যাব, টক্সিক করে দেবে সুমিস্ট ফ্র্যানজিনি নদী, এ্যটমোস্ফিয়ারে সালফার আর কার্বনের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে, দখল করে নেবে সুদৃশ্য ওএবি প্রাসাদ...
টার্বাইনঃ আপনি শান্ত হোন আব্বা হুজুর, (সিপাহীদের তাকিয়ে দু হাত তালি দিয়ে) এই কে আছিস? আব্বা হুজুরের প্রেসিপিটেশান হচ্ছে, কুলিং ইউনিট চালু করে দে।

[এক সিপাহী হাত পাখা দিয়ে মহারাজাকে বাতাস করতে লাগল]

হঠাৎ মঞ্চে এক পক্ককেশী শশ্রুমন্ডিত বৃদ্ধ লোকের প্রবেশ



বৃদ্ধঃ কোথায়, কোথায় আমার তনয়া ফ্লুইড? বাইরে এত সৈন্য কেন? কোন বিপদ হয়নি তো?
ফ্লুইডঃ আমি ঠিক আছি আব্বাজান (বাবার কোলে ঝাপিয়ে পরে)।
[উজির কেলভিন অবাক দৃষ্টিতে বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে ছিলো, মহারাজা ফেল্ডারের কানেকানে কি যেন বলল]
উজিরঃ জাঁহাপনা ফেল্ডার, দেখুন তো ওনাকে চিনতে পারেন কিনা (বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে)?
ফেল্ডার তাকিয়ে রইল পক্ককেশী অতিপরিচিত মুখের সেই বৃদ্ধের দিকে...কোথায় যেন দেখেছি...অতিপরিচিত মুখ... মেকানিক্স!
উজির কেলভিনঃ জ্বী জাঁহাপনা, ইনি আপনার বাল্যবন্ধু মেকানিক্যাল রাজ্যের রাজা মেকানিক্স। দীর্ঘ্য আঠারো বৎসর পূর্বে ইলেক্ট্রিক্যাল রাজ্যের রাজা বয়েলস্টিড মেকানিক্যাল রাজ্য দখলের পর ইনি পরিবার ও বিশ্বস্ত অনুচর নিয়ে এই এনভারমেন্ট জঙ্গলে আত্মগোপন করে আছেন। ফ্লুইড ওনারই একমাত্র কন্যা।
ফেল্ডারঃ আমি স্বপ্ন দেখছি না তো? মেকানিক্স, বন্ধু আমার...তোমার কন্যাই ফ্লুইড?
মেকানিক্সঃ তোমার একটুও ফেইজ চেইঞ্চ হয়নি বন্ধু...হ্যাঁ ফ্লুইড আমারই একমাত্র কন্যা।
[দুই বন্ধু পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে গভীর আবেগে]
ফেল্ডার; এই কে কোথায় আছ? সেনাপতি ডায়নামিক্স, উজির কেলভিন, এক্ষুনি প্রাসাদে চল, রাজপুত্রের বিবাহের ব্যাবস্থা কর। মেকানিক্সের কন্য ফ্লুইডের সাথেই হবে রাজপুত্র টার্বাইনের বিয়ে।
সেনাপতি ডায়নামিক্সঃ কিন্তু জাঁহাপনা...ইলেকট্রিক্যাল রাজ্য যদি...
ফেল্ডারঃ এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারন নেই ডায়নামিক্স। আমাদের দু বন্ধুর মিলিত শক্তিতে বয়েলস্টিডের রাজ্য ফ্লুডাইজড বেডের মতন উড়ে যাবে।
[সকলে সমস্বরে হেসে উঠলো]



---------
সমাপ্ত
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০০
৩২টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×