somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার কষ্ট : সবার কষ্ট বিশ্বে আর কত মানুষের রক্ত তাদের প্রয়োজন?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীতে প্রত্যেকটি প্রাণীই আত্বকেন্দ্রীক এবং নিজের অস্তিত্বকের রার জন্য সর্বদা সচেষ্ট। এই একটি কারণ কে সামনে রেখেই পৃথিবীতে যত রকমের বিচিত্রতার সৃষ্টি। এত সব বিচিত্রতা শুধু মাত্র নিজের ভালোর জন্য। আর নিজের ভালো পাগলও বোঝে। বোঝে বলেই এই নশ্বর জায়গায় এক ধরনের সংগ্রাম প্রতিনিয়ত চলছে।
শুধু মাত্র এই জন্য এত কাঠ-খড়ি পুড়িয়ে মানুষের পথ চলা। ফলশ্র“তিতে একই ভূমিতে কোন অংশে রচিত হয়েছে, শান্তি ও সমৃদ্ধির লিলাভূমি আর ঠিক তার পার্শ্বেই গড়ে উঠেছে লাশ কাঁটা ঘর। একই জায়গায় আছে মানব ও মানব সভ্যতার মান উন্নয়নের সর্বোত্তম আয়োজন, সাথে সাথে আছে সেই মানুষকেই কচুকাটা করে বোমার ঝলসানিতে পুরিয়ে সেদ্ধ করে হত্যা করার আয়োজন। এ যেন একই মূদ্রার এপিঠ ও পিঠ ছাড়া আর ভিন্ন কোন কিছুই নয়। ঠিক যেমন ,বণ্য প্রণিরা পেটের ূধা নিভারনের জন্য নিজের ছোট্ট বাচ্চাকে আস্ত খেয়ে ফেলে আর তাদের সাথে একত্বতা জানিয়ে তথা কথিত সবচেয়ে সভ্য সমাজের মানুষরা তাদেরই প্রজাতির মানুষদের হত্যা করে চলছে নির্বিচারে। পুরো পৃথিবী নিবোধের মত তাকিয়ে রয়। ঘাতকের অস্ত্র আর থামে না। হাজার হাজার মানুষের লাশ ফেলে দিয়ে তার উপর তারা উল্লাস করে।
হ্যা এমনি এক বিভিষিকার নাম ফিলিস্তিনের গাজা। যেখানে আমিরিকার হিংস্র পোষা নেকড়ে ইসরাইল গনহত্যার নারকিয় দরজা খুলেদিয়েছে। যে সেনাবাহিনী নিজেদের ‘নৈতিক বাহিনী’ বলে আত্ব প্রচার করে,তারাই মানবতাকে বিপদর্যস্ত করছে। একজন আরব যখন সার্বণিক মৃত্যু, আক্রমন, নির্যাতনের মধ্যে থাকে, যখন চোখের সামনে তার স্বজাতির নিধন দেখে, তখন তার মধ্যে যে ঘৃণা জন্ম হয়, তার ল্য কিন্তু একা ইসরায়েল নয়, গোটা পাশ্চাত্য।
লাশ দাফনের জায়গাও পাচ্ছে না গাজার মানুষ। এই গনহত্যায় দাদার কবর খুঁড়ে তাতে নাতিকে কবর দেওয়া হয়েছে। বহু বছর আগে মারা যাওয়া খালার কবরের হাড়গোড় সড়িয়ে তাতে শোয়ানো হয়েছে তিন শিশুর লাশ। ভাইয়ের গোড় উন্মুক্ত করে তাতে কবর দেওয়া হয়েছে আরেক সহোদর কে। বলতে গেলে পুরো গাজাই এখন একটি কবর স্থান। একই সঙ্গে আকাশ এবং স্থল পথে অব্যাহত ইসরায়েলী হামলার কারনে বিপর্যস্ত মানুষ বিকল্প কোন ব্যাবস্থাও করতে পারছেনা। হায়রে সর্ব শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ, বেচে থাকার অধিকার হতে বঞ্চিত হবার পরও শেষ ঠিকানা এর কোন নিশ্চয়তা নেই। তাহলে কেনই বা সৃষ্টি কর্তা’ তোমায় সৃষ্টি করল। অথচ সৃষ্টি কর্তা বলেছেন, আসমান ও জমীনের মাঝে কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি।
আর আধুনিক অস্তে সজ্জিত তথাকথিত শোষকদের নেকড়ে বাহিনীদের গোলাবারুদ দিয়ে মানুষ মারার কাহিনী ও চিত্র গ্রহন করে চলছে, তাদেরই সেন্সর করা মিডিয়ার মানুষরা। তারা সাংবাদিকতার লেবাস পড়ে রক্তের হোলি খেলার মহোৎসবের কাহিনীতে যুগযুগ ধরে অংশ গ্রহন করে মজা পায়। সেই কাহিনী ম্যানিপুলেট (নিজেদের স্বার্থে প্রকৃত সংবাদকে বিকৃত করা) করে সারা বিশ্বময় অবলিলায় প্রচার করে। এতে আশ্চর্য হবার তেমন কিছুই নেই। পাশ্চাত্যের সব নেতা, অনেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধান মন্ত্রীদের ন্যায় তথা কথিত সম্পাদক ও সাংবাদিকরা ইসরায়েল এর মিথ্যাচারের কাছে নিজের আত্মাকে বিক্র করে বসে আছে।
যারা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয় তাদের কোন ওয়াল্ড ওয়াইড মিডিয়া নেই। নেই বলেই তো এদের প্রচার করা সন্ত্রাসী অপবাদ কাধে নিয়েই তাদের হাজার হাজার কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিতে হয়। আর সেই তাদের ওপর আবারো মানুষ শুন্য আঁকাশ যান হতে ভারি ভারি বোমা মেরে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের প্রকৃত কথা আমরা কোন দিনই জানতে পারি না।
আর আমরা যা স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল কিংবা ইন্টারনেট এ দেখে নিজেকে আপডেট ভাবছি তা নিছক আত্বতৃপ্তি নিয়ে পথ চলা মাত্র। নিরাপদ কনভয় এ থেকে যে সংবাদ তা তার কোন পরে কথা বলবে তা একটা বাচ্চাও বলতে পারবে। জীবনের কোন এক পর্যায়ে সাংবাদিকতা করার কারণে এই সূ রাজনীতিটা বুঝতে আমার বেগ পেতে হচ্ছে না।
সত্যি কথা বলতে কি, এই মানুষ হত্য সেটা যে পরেই হোক তার জন্য আমি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। আমার কষ্ট আমার যন্ত্রনা। আমাকে অস্তির করে তলে। আমি ভেবে পাই না একটি লাশ কাঁটা ঘরের মধ্যে থেকেই জল্লাদ দের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান কি হওয়া উচিত। আমাদের প্রতিবাদ এর ভাষাই বা কি হবে? মধ্য প্রাচ্যের তথা কথিত দূর্বল ইমানের মুসলিম দেশ গুলোর মত বৃথা বিােভই করে যাবো না কি আরো ভালো কোন উৎকৃষ্ট পথ আছে? আর ঠুটো জগৎনাথ জাতি সংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এর সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এই ইসরাইল যে গনহত্যা করে চলছে

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×