somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহবু১৫৪
জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার আশা করাটা বোকামী। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়েই আসতে হয় কাংক্ষিত লক্ষে। এই পথ এত সোজা নয়। অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে সেই পথ চলায়। হয়তো আরো অনেক কোথিন হবে সামনের পথ টুকু। তারপর ও হার মেনে নেয়ার পক্ষে আমি নই। জয়ী যে আমাকে হতেই হবে।

প্রতিবারের মত এবারও আইন করা হলেও.....

০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পহেলা নভেম্বর থেকে যে নতুন ট্রাফিক আইন চালু হয়েছে সেখানে আছে গাড়ির চালক কে সিট বেল্ট বেধে রাখতে এবং মোবাইল এ কথা না বলতে। আর এদিকে মোটরবাইক চালানোর সময় অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার বাধতামূলক। ট্রাফিক বিভাগকে এটা দেখার দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বেশ শক্ত আইন। আর এ আইন অমান্য কারীকে জরিমানা নয়ত জেল নয়ত ২ টাই ভোগ করতে হবে।

প্রথম দিন অনেক আইন অমান্যকারী কে ধরা হলেও পরে শুনেছি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এটা আসলেই একটা অবাক করা ব্যপার। আসলে পুলিশ বাহিনী কে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করেই তারপর এমন বড় কোন অভিযান এর জন্য নামাতে হয়। কোন কিছুর জন্য আগে থেকে প্ল্যান করা, প্রস্তুতি নেয়া, জনবল বাড়ানো এসব অনেক জরুরি।

এদেশে একটা কথা প্রচলিত আছে । তা হল - আইন করাই হয় তা ভাঙ্গার জন্য। এটা একটা সাধারণ কথে হলেও এর আড়ালে লুকিয়ে আছে অনেক কথা। যা একটা দেশের জন্য কখনই মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। বরং এভাবে চলতে থাকলে আইন শৃংখলা চরম অবনতির দিকে চলে যায়। আর তার নজির এখন এই দেশে আছে অনেক।

মুলত অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে সরকার এত আইন করে কিন্তু তা মানা হয় না কেন? আমি মনে করি শুধু সরকার কে দোষ দিয়ে কোন লাভ হবে না। এতে যে আমাদের এও দোষ আছে তা কিন্তু আমরা বুঝেও মেনে নিতে পারি না। আইন এর প্রতি যদি দেশের মানুষ শ্রদ্ধাশীল হত তাহলে দেশ এ আজ তেমন কোন অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্ঠি হত না। কিন্তু হায়!! যুগ যুগ ধরে সেই প্রথা চলে এসেছেট। আর তাকে বদলানোর সুযোগ থাকলেও আমরা তা করি না।

দেখা যায়, রাত যখন বাড়তে থাকে তখন রাস্তায় যানবাহন এর সংখ্যা কমলেও অনেকে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হন। আবার ট্রাক গুলো রাত থেকেই চলতে থাকে। সেই সময় সিগনাল পড়লেও তার তোয়াক্কা কেউ করে না। যে যার ইচ্ছা মত গাড়ি চালাতে থাকেন। হাইওয়ে রোড হলে তো এটা খুব বেশি হয় আরো। আর এতে দুর্ঘটনা সহসাই ঘটতে থাকে। এমনকি ফুট ওভারব্রিজ থাকতেও আমরা দৌড়িয়ে রাস্তা পার হই সবসময়। আর এ কারণেই দুর্ঘটনা আমাদের নিত্ত সঙ্গি হয়ে আছে সবসময়।

আপনারা জেনে অবাক হবেন যে ভারতে রাত ১২ টায় যদি কোন গাড়ি চলতে দেখা যায় তখনও তারা ট্রাফিক সিগানাল মান্য করে চলেন। রাস্তায় সবুজ বাতি পেলেই তারা চলতে থাকেন আর লাল বাতি পেলে তারা থেমে যান। আশেপাশে কোন গাড়ি থাকুক আর না থাকুক। রাস্তা খালি থাকলেও। ভাবতেও অবাক লাগে তাদের এই আইন এর সম্মান দেখানোতে। কিন্তু আমরা এর ঠিক বিপরীত অবস্থানে আছি।

এর জন্য দায়ী আসলে আমরাই। আমাদের আইন প্রতি সম্মান দেখানোটা দ্বায়িত্ব এর পর্যায় পরে। কিন্তু সেটা খুব কমই দেখা যায়। মুখ চোখ বাকিয়ে অনেকে কে বলতে শোনা যায় ধুর কিসের আইন ফাইন। এসব কিছু না। পুলিশ কে কিছু মালপানি দিলেই সব ঠিক। আর কিছু লাগবে না !!! এ দেশে আইন বলে কিছু নাই।

আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনি যদি তাদের কাজটাকে গুরুত্ব এর সাথে বিবেচনা করত তাহলে এমনটি ঘটত না। মুলুত তাদের আইন এর প্রতি সম্মান না থাকা, উদাসিনতা, অজ্ঞতা, দক্ষ লোকাবল ইত্তাদি অনেকাংশে দায়ী বলে আমার মনে হয়। আর তার সাথে আমাদের আছে উদাসিনতা আর অসম্মান করা দেশের আইনকে।

আসুন, আইন এর প্রতি সকলেই শ্রদ্ধাশীল হই।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭



অনেক দিন পর আমি আজ এই হোটেলে নাস্তা করেছি। খুব তৃপ্তি করে নাস্তা করেছি। এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা। ঠিকনা: ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডম ভবেরচর, গজারিয়া, মন্সীগঞ্জ। দুইটি তুন্দুল রুটি আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×