somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুরবানী ও হজ্জঃ ত্যাগের ফতোয়া মতান্তরে ভাবনা

০৫ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কুরবানী ঈদ আসন্ন।পশুবলির এই মহোসবের পরে পশু মাংস ভক্ষণের যে কার্ণিভাল আসছে তার মূল স্পিরিট ধরে রাখতে সক্ষম কী আমরা।

যারা ঘুষের পয়সায় গরু কিনবেন,টেন্ডার সন্ত্রাসী বা রাজনৈতিক চাঁদায় দুম্বা কিনবেন তাদের এই কুরবানী বৃথা যাবে। ঘুষের পয়সার গরুর মাংস সিদ্ধ হয়না। এই ঈদে এলাকার নব্যধণিক দুর্নীতিবাজের বাসায় গিয়ে প্লেটে গোমাংস নিয়ে ধস্তাধস্তি করে পরীক্ষা করতে পারেন।
এই ধরণের দুর্নীতির পয়সায় কেনা গোমাংস আয়ত্ত করতে গিয়ে অনেক নিরাপরাধ মানুষ বাঁধানো দাঁত হারিয়েছেন। প্রকৃতি শিক্ষাদেয়,এতোগুলো বন্ধুর পরিমিত দাওয়াত থাকতে চাঁদাবাজের বাসার ঘুষের জলসাঘরে কেন।

এই ঈদে দুর্নীতি মামুদের এড়িয়ে চলা জরুরী। কারণ কোলাকুলির মধ্যে দিয়ে দুর্নীতির ভাইরাস সংক্রমণের আশংকা থাকে। কোলাকুলির সময় দুর্নীতিবাজ চিহ্নিত করণের সুযোগ থাকে।ঢাকার দুর্নীতিপ্রবণ আবাসিক এলাকার মসজিদে দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু ভিজে বেড়াল জাতীয় পরিদর্শক পাঠিয়ে পরীক্ষা প্রার্থনীয়।

যাদের চেহারা টিভিতে দেখছেন দুর্নীতিবাজ হিসেবে তাদের নিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। ভিজে বেড়াল জাতীয় অসেলিব্রেটি দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে কোলাকুলি করা জরুরী, অবশ্যই ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন থেকে। মামু সৎ হলে তাকে কোলাকুলির সময় টেনশন তৈরী হবে না, মামুর শাসপ্রশাস ঠিক থাকবে। মামু দুর্নীতিগ্রস্ত হলে তার বুক হাপরের মতো ওঠানামা করবে। দুর্নীতির বাতাসে মামুদের বুক হাপরের মতো ওঠানামা করে। দুর্নীতিগ্রস্তদের পাঞ্জাবীতে আতরের গন্ধ শরীরের করাপশন চিকন ঘামের সঙ্গে বিক্রিয়া করে মৃতদেহের নির্যাস তৈরী করে।
একটি উতসবের দিনে এসব পরীক্ষা নিরীক্ষার কী দরকার? উতসবে আয়োজনে ঘুষ খোর চাঁদাবাজদের সাথে ডাল-ভাত,দুধভাত,মদভাত হয়ে আমরা অর্থলোভে নষ্ট মানুষদের রিকগনিশন দিই। যে কারণে আমাদের মদত পেয়ে তারা আমজনতার রক্তঘাম চুষে কুমীর হতে থাকে।

তাই এই ঈদে ঘুষজীবী বন্ধুদের না বলুন।একটা কুমীরের বাসায় ক্যানিবাল উতসবে যোগ দিয়ে লাভকি। ঘুষখোরদের বাসায় আপনি না গেলে ঋণখেলাপী বা ঘুষজীবী ঈদ পুণর্মিলণী আড্ডায় সরকার মামুর দেয়া বিনাশুল্কের হাতি নিয়ে হাজির হবে। আমরা ফ্রি লোডার জাত। হাতির বনেট থেকে শিভাস বেরুতে দেখলেই আল্লাদে আটখানা হয়ে যাবো।গরীব মানুষের লিভার সিরোসিসের কারণ ঘুষজীবী বন্ধুরা। ফলাফল উপভোগ করে গরীব ফৃলোডাররা।

অথবা ঘুষজীবীর তদীয় পত্নী গয়নার শোরুম স্টারপ্লাস ভাবী হয়ে কলিংবেল কাঁপালে আপনি পারফিউমের ঝাঁঝে হিপনোটাইজড হয়ে যাবেন।ভাবী ফিরে যাবার সময় বাসার নিরীহ ভাবীর মনে ভাইরাস দিয়ে যাবে। ঘুষজীবীসহধর্মিনীরা এই ভাইরাস সংক্রমণে গত তিন দশক বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।

ঘুষজীবীর পিতারা পাড়ার মসজিদে হজে যাবার আগে ও পরে প্রেস কনফারেন্স করে এই ভাইরাসের একটি প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণ যোগ্যতা তৈরী করে।মক্কার আসওয়াদে চুমু দেবার পর ঘুষজীবীর আব্বাহুজুরের ঠোটাবয়ব চুমু আকৃতি ধারণ করে। বিমান হইতে নামিবার পর হইতে ওই স্পিরিচুয়াল মুখাবয়ব থেকে ফুঁ আসিতে থাকে।ইহা ভয়ংকর সংক্রমণ ঘটায়। পাড়ার টেন্ডারবাজ মস্তকে আলহাজ চাচাজানের ফুঁপড়িবার পর পাপ কিছু কমিয়াছে ভাবিয়া নাটকুরা ইভ টিজিং এ মনোযোগী হয়।মসজিদে পূণ্যভূমির যাত্রা পালার ন্যায় কাহিনীর বয়ান শুনিয়া সসশ্রু কম্যুনিস্ট আংকেল সৎ পুত্রকে হজ্জের টিকেটের চাপ দেয়। তীর্থ যাত্রার অভিপ্রায়ে পিতা ভাইরাস সংক্রমণ করে পুত্রের মনে।

যে দেশের মানুষ খেতে পায়না,জীবন কুশলতা নেই যে জনপদে,সেইখানে প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে কোন ধর্মীয় আইনে আমরা বাঙ্গালী মুসলমান হজ্জে যাই। হজ্জের একটিও পূর্বশর্ত পূরণ না করে পৃথিবীর শীর্ষ ধনী দেশের পর্যটন খাতে ভিখিরীদেশের মানুষেরা পয়সা ঢালবে কেন? আত্মার কোন শান্তির জন্য।কতো শান্তি প্রয়োজন দুর্নীতিগ্রস্ত আত্মাসমূহের। তুরাগের পাশে টঙ্গীতো আছেই।ইজতেমার মতো মানব সন্মেলনে মন ভরে না কেন? ভিখিরীর দেশের হজ্জপ্রবণ মানুষ হজ্জের টিকেটের পয়সাটা এতিমখানায় দিলেইতো মনে হয় আল্লাহ বেশী খুশী হবেন ।

নাকি ফিরে এসে হাজী পরিচয় দিয়ে সমাজে সম্মান বাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা এটা।কেউ আরবে বেড়াতে গেলে যাক,সেটা ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আলহাজ টাইটেল লাগিয়ে নানা রকম দুর্নীতির মুখোশ পরেন যারা তাদের এই হজ্জ নাটকটি যে আমরা ধরে ফেলেছি সেটা জানাতেই এই লেখার আয়োজন।

এই ঈদে কিছু ব্যর্থ পিতা তার টেন্ডার সন্ত্রাসী বা ঈভটিজার পুত্রকে কুরবানী দিলে প্রকৃতির কিছু আনুকূল্য হয়তো বাংলাদেশ রাষ্ট্র পাবে। ক্রিকেট ছাড়া আর কিছুতেই লাক ফেভার করেনা দেশটির। কারণ ওই দুর্নীতিগ্রস্ত দুই শতাংশ মানুষ।

তরুণ দুর্নীতিবাজদের সংশোধনের সম্ভাবনা থাকে। পরিবারে তাকে একঘরে বা এক্সকম্যুনিকেটেড করলে সে আর বাবর হবেনা। কুরবানী দেয়া যায় এক্সকম্যুনিকেটেড করে যে কোন টেন্ডারজীবী রাজনৈতিক ক্যাডার,ঘুষখোর আমলা,ভুমিখোর সেনা কর্মকর্তাকে। ঋণখেলাপী ব্যবসায়ী,কালো পয়সার নষ্ট মানুষদের সামাজিকভাবে শালীনভাবে বয়কট করেও সামনেবার ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনালের পরীক্ষায় পাশ্ মার্ক তিন দশমিক তিন পাওয়া সম্ভব।

আশা করছি ঠক বাছতে গাঁ উজাড় হবে না। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের আটানব্বুই শতাংশ মানুষ সৎ জীবন যাপন করে।
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×