somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুমি আমাকে রেস্পেক্ট কর নাই

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশে দেখবেন অনেক ছোট খাটো প্রতিষ্ঠান আছে এবং এদের মধ্যে সফ্টওয়্যার প্রতিষ্ঠান গুলো বেশি। এই সফ্টওয়্যার প্রতিষ্ঠান গুলোর দেখবেন ঘাড়ের উপরে লিখা আসে ইউএসএ/ইউকে/ব্লা ব্লা ব্লা...নামিদামি দেশের নাম। আর ওই সব প্রতিষ্ঠান মালিক তথা "সিইও" বেশির ভাগই বাঙালি এবং তারা কপাল গুনে/যোগ্যতায় অথবা অন্য কোন ভাবে ওই সব দেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে আসেন এবং তারা বাংলাদেশ এ এসে ঘাটি গাড়েন। কারন ? হা...হা... আমরা সবাই জানি কম টাকায় কাম করানো যবে। আর আমরা প্রোগ্রামার রা একটু সুযোগ এর আশায় ওই সব প্রতিষ্ঠানে গতর দেয়া শুরু করি :)

এখান কথা হচ্ছে সম্যসা কোথায় ? কোনো সম্যসা নাই, আমরা টাকা পাচ্ছি আর ওরা কাম করিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু এর মাঝে যদি চাপাবাজি চলে, প্রলভন দেখানো হয় তাহলে তথা কথিত প্রোগ্রামার, মানে আমরা খুবি সহজে পইটা থাকি। আর মনে মনে আশার বুক বাধি ... হেহেহে হাসি পাইতাসে। মানে তো বুঝছেন ই মুলা :D

তো এখন আসেন, সত্য ঘটনায় আসি। আমি ও বছর খানেক আগে চাকরি করতাম এখন আবার ছাত্র হয়ে গেছি :D। তো সেই রকম মুলা আমরা ও পাইতে শুরু করলাম। আমদের বুকে আশা, বছর শেষ হচ্ছে মুলা আর মাটির উপরে উটছেনা। এর মাঝে আমার এক বন্ধুর বাহিরে মাস্টার্স করার এর একটি সুযোগ এল, এবং সে অনেক ফরমালিটিস পালন করে বস রে বলে দিল সে বাহিরে চলে যাবে। পরিপ্রেক্ষেত এ একদিন মিটিং ডাকা হল এবং মিটিং এর সার সংক্ষেপ হল "তুমি ওই দেশে(XXX) যাইবা কেন ? ওই খানে কেউ পড়তে যায় ? দরকার হলে তুমি যাবা ওই(YYY) খানে । আর তুমি ডিগ্রী নিয়ে কি করবা ? এর চেয়ে ভাল সুযোগ তুমি এইখানে পাইবা। আর কিছুদিন অপেক্ষা কর তুমি নিজের চোখেই দেখবা।" বলে রাখি XXX= সুইডেন এর একটি ভাল বিশ্ববিদ্যালয় আর YYY=ইউএসএ এর নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়। তো কোন না কোন কারনে আমার বন্ধুটি সুইডেন চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার ফলাফল এক মাস আগে চাকরি থেকে ছাটাই আর সব দোষ নন্দঘোষ এর মতন তার উপরে চাপানো।

কি আর করা আমি ও মুলা খেতে থাকলাম... কিছুদিন পরে আমার ও একটি সুযোগ এল, হিহিহি আমি তো মামা আগের থেকে শিক্ষা নিছি, কিছুই কই নাই কারন ২ মাস এর বেতন এখন পাই নাই।কিছু দিন পরে টাকা এর চেক পাইলাম ব্যাংক এ জমা দিলাম। তো প্রতিবারে মতন মনে করলাম ৩ দিন পরে অ্যাকাউন্টে টাকা চইলা আসব। সুতরাং ৩ দিন পরে একটা ইমেল কইরা দিছিযে আমি আর থাকমুা না। তখন আমার হাতে সময় বাংলাদেশে ২০ দিন, সব কাজ কাম চুপি সারে সারতাছি। পরিপ্রেক্ষিত কি হইল... আমার দুই মাস এর বেতন আটকিয়ে দেয়া হল (ব্যাংক দেরি করছে টাকা তুলতে) কি আর করা গেলাম ম্যনেজার এর কাছে ১০ দিন পরে চেক নিয়ে, "টাকা আসে নাই কেন ভাই ?" বলে "দেখি মনে হয় কোথাও সমস্যা হইছে", সাথে সাথে বসস এর লগে মিটিং আমাদের সবাইকে ডাকা হল। তো সবাই বসা আমারে এই প্রশ্ন সেই প্রশ্ন আগের বারের মতন। তার পরে তার ভাষ্য "তোমার কামে গাফিলতি আসে, তুমি অন্য দের চেয়ে এক্সক্সক্স ঘন্টা কম কাম করছ, তোমার থেকে কিছুই পাই নাই আমরা, আর কোম্পানির নিয়ম অনুসারে তোমার বেতন আটকানো হইছে।" সবার সামনে আমারে একটা দৃষ্টান্ত হিসাবে দেখান হইল এবং অন্যদের বলা হল "তোমরা দেখে রাখ আমি ওকে ২ মাস এর বেতন দিয়ে দিচ্ছি। আর ও(আমি) অনেক কিছু হারাচ্ছে, তোমার যা কিনা পেতে যাচ্ছ।" তো বুঝেন আমার কি অবস্থা, বন্ধু দের মাঝে আমারে এই ভাবে ডেকে নিয়ে অপমান।

তো তার শেষ বাক্য ছিল এই রকম

"তুমি আমাকে রেস্পেক্ট কর নাই।"

এখন কথা হচ্ছে আমি তার কি রেস্পেক্ট করি নাই ? তার কথা মতন উচ্চতর ডিগ্রী না নেয়া, নাকি অফিস কে ১ মাস আগে না জনানো ? আর অফিস এর নিয়ম এর কথা না হয় নাই বল্লাম। আমরা সবাই জানি, ওইটা লিখতে গেলে তো ব্লগ এর ওভারফ্লো করান লাগবে :D

তো সার-সংক্ষেপ হচ্ছে, বাহিরে কি ধোকাবাজির পথ শিখান হয় ? নাকি আমরা নিজেরাই ধোকাবাজির খেলায় মেতে উঠি ?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৫৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×