বিডিনিউজে প্রকাশিত, বিস্তারিতর জন্য লিঙ্ক
রাষ্ট্র নিজেই এক ধর্মব্যবস্থা প্রস্তাব করে এবং ধর্মব্যবস্থা হিসেবে সক্রিয় থাকে। পরকালীন শাস্তি ও মোক্ষের বদলে ইহ-জগতেই শাস্তি ও মোক্ষলাভের আইন-কানুন-আদালত প্রতিষ্ঠাপূর্বক অপরাধ, শাস্তি ও পুরস্কারের যজ্ঞ এই ধর্মব্যবস্থার বিভিন্ন প্রকাশ। ভূখণ্ড, নাগরিকের শরীর ও ইচ্ছের উপর অবাধ সার্বভৌমত্বের ঘোষণা এই ধর্মব্যবস্থার ভিত্তি। এ এমনই এক সার্বভৌমত্ব যে, ব্যক্তির নিজের শরীরের উপর নিজের অধিকারের বদলে রাষ্ট্রের দেয়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। এই সার্বভৌমত্বের প্রশ্নহীন আনুগত্য রাষ্ট্রের ভিতরে বসবাসকারীদের উপর ফরজ। যারা অস্বীকারকারী বা ঈমান আনবে না তাদের দ্রোহিতার জন্য কারাগার, শাস্তি, মৃত্যুদণ্ড বা নির্বাসন আছে। আছে রাষ্ট্রবন্দনার বিবিধ তরিকা—যথা: লেফট রাইট, জাতীয় সঙ্গীত, শহীদ মিনার, আইন-আদালত, সংসদ এবং মহাপবিত্র গ্রন্থ সংবিধান—যার প্রতিটা ছত্র আসমানি কেতাবের আদলেই পরাকাষ্ঠা ঘোষণা করে রাষ্ট্রের এবং রাষ্ট্রের হয়ে নিজের। এমনকি এই কেতাবেই লেখা থাকে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব কখন প্রয়োজনে নিজের গ্রহণ করা সংবিধান নামের সেই মহাকেতাবও রদ করার ক্ষমতা রাখে। যেমন জরুরী অবস্থা। এইসবই রাষ্ট্র নামের যে ধর্মব্যবস্থা বিদ্যমান তাকে তার চিহ্নব্যবস্থাসহ বোঝার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।...
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২৯