somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এত মেধা অপকর্মে! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় 'ডিজিটাল নকল' সরবরাহ ছিল ওদের ব্যবসা

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কালের কণ্ঠ ৩১/১০/২০১০
'দু-একজনের পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে কম টাকা পাওয়া যেত। তাই গত ফেব্রুয়ারি থেকে মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে উত্তর পাঠানোর কাজ শুরু করি। এতে একসঙ্গে অনেক পরীক্ষার্থীর প্রক্সি দেওয়া যায়। এই পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করে সোহেল। আমার কাজ লেখাপড়া করা আর হলে ঢুকে প্রশ্নের সঠিক উত্তর মোবাইলে এসএমএস করে পাঠানো। সব দিক দেখাশোনা করে নজরুল।' মাথা নিচু করে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অপকর্মের অভিনব কৌশলের কথা জানাচ্ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই মেধাবী ছাত্র আমিনুল ইসলাম। তিনি গত বৃহস্পতিবার মোশাররফ নাম ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিটের পরীক্ষা দিতে গিয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন।
র‌্যাব ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযানে ওই দিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার মেধাবী ছাত্রসহ আটজনের একটি চক্র ধরা পড়ে। এ চক্রটি আগে প্রক্সি পরীক্ষার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এবার নেমেছিল নতুন কৌশলে। মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে উত্তর পাঠিয়ে ইতিমধ্যেই ১০ লাখ টাকা কামিয়ে নিয়েছে এ চক্রটি। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, অপরাধ গোপন রাখার জন্য অনেক মেধা ও কৌশল কাজে লাগিয়েছিল তারা। অসাধু চক্রটির বিরুদ্ধে রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় গতকাল শনিবার একটি মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গোপনে কার্যক্রম চালানো এ চক্রের আরো তিন সদস্যকে খুঁজছে র‌্যাব।
র‌্যাব-৩-এর সহকারী পরিচালক লে. কমান্ডার মোহাম্মদ জাররার হোসেন খান গতকাল শনিবার কালের কণ্ঠকে জানান, আমিনুল ইসলাম ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ঘ' ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেন। কিন্তু ওই ইউনিটের কোনো বিভাগে ভর্তি হননি তিনি। কারণ 'গ' ইউনিটের বিবিএ (অ্যাকাউন্টিং) বিষয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর। 'গ' ইউনিট থেকেও ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন আমিনুল। তাই বিবিএ-ই বেছে নেন। এরপর থেকেই মেধাবী আমিনুলের প্রক্সি পরীক্ষার মাধ্যমে অপকর্মের কাজ শুরু। গত পাঁচ বছরে আমিনুল ১৫টি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াও ব্যাংকসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষায়ও প্রক্সিতে অংশ নেন তিনি। গত পাঁচ বছরে নিজের খরচ পুষিয়ে এভাবে ১৫ লাখ টাকা আয় ছিল তাঁর। এ আয় দিয়ে নিজের এলাকা কিশোরগঞ্জে জমিও কিনেছেন আমিনুল। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর মেধাবী ছাত্র আমিনুলের মুখে তাঁর মেধার এই অপব্যবহারের বর্ণনা শুনে বিস্মিত হন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও র‌্যাব কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় 'ডিজিটাল নকল' সরবরাহের সঙ্গে জড়িত আটজনের মধ্যে চারজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্র। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, নজরুল ইসলাম, সোহেল রানা ও আনোয়ার হোসেন জনি নামে তিনজনই চক্রটির হোতা। চলতি বছর থেকে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের ছাত্র সোহেল রানা মোবাইল ফোনে ভর্তি পরীক্ষার জালিয়াতির কৌশলটি উদ্ভাবন করেন। ২২ আই, পলাশী ঢাকেশ্বরী ঠিকানায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করেছেন সোহেলের সহপাঠী নজরুল ইসলাম। আর ভর্তি পরীক্ষার সময় দ্রুত মেসেজ সরবরাহ ও যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করতেন মার্কেটিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র জনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী এ চার ছাত্রের সঙ্গে যুক্ত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি শেষ বর্ষের ছাত্র শাহাদাৎ হোসেন লিটন, বরিশাল বিএম কলেজের স্নাতক শ্রেণীর ছাত্র শাহাজাদা ও কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বাচ্চু মিয়া। দলের অপর সহযোগী জামালউদ্দিন।
ওরা চারজন : র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, আমিনুলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য তিন ছাত্র একই ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত ছিলেন। এসব ঘটনার তদন্ত চলছে। আমিনুলের বাবার নাম নুরুল ইসলাম। তিনি একজন স্কুলশিক্ষক। কিশোরগঞ্জের নগুয়া গ্রামে তাঁদের বাড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই আমিনুল প্রঙ্ িপরীক্ষা দিয়ে আসছেন। 'গ' ইউনিটের ছাত্র হয়ে তিনি অন্য ইউনিটের পরীক্ষায় কিভাবে প্রঙ্ িদিতেন_এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'আমি অনেক পড়ালেখা করি। সাধারণ জ্ঞান, বাংলা ও ইংরেজিতে পুরো নম্বরই তুলে নিতে পারি।'
র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে অপকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আমিনুল বলছিলেন, 'হলে মোবাইল ফোন নিতে না দিলে এ ধরনের অপরাধ সম্ভব নয়।' তিনি গোপী ভাই নামে এক সহযোগীর নাম প্রকাশ করে দাবি করেন, তাঁদের দলে আর কেউ নেই। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, আমিনুল অতি দ্রুত মোবাইলে সাংকেতিক মেসেজ পাঠিয়ে দিতে পারেন, যা অন্য সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে সম্ভব নয়।
নজরুল ইসলামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ভাংরা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মৃত আবুল কাসেম হাওলাদার। নজরুল জানান, আমিনুলের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর থেকে তাঁরা বড় একটি কাজের কৌশল খুঁজছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পলাশীর বাসায় কার্যক্রমের মহড়া শুরু করেন তাঁরা।
নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবক সোহেল রানার বাড়ি খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার গোবরচাতা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মৃত আবুল বাসার। সোহেল বলেন, 'আমার ইচ্ছা ছিল প্রকৌশলী হব। কিন্তু চান্স না পাওয়ার কারণে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়তে হচ্ছে। অনেক ভেবে মোবাইলের মাধ্যমে নকল সরবরাহের কৌলশটি উদ্ভাবন করি।' সোহেল রানা আরো জানান, আমিনুল ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে হলে ঢুকে মোবাইল ফোনের ছোট হেড ফোনের মাধ্যমে সাংকেতিকভাবে উত্তরগুলো পাঠিয়ে দেয়। মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে বিভিন্ন হলে অবস্থানকারী পরীক্ষার্থীদের কাছে এ মেসেজ মুহূর্তের মধ্যে চলে যায়।
জনিও একজন আইটি বিশেষজ্ঞ। দ্রুত মোবাইলে মেসেজ সরবরাহ করতে তিনি সবচেয়ে এগিয়ে। জনির বাড়ি কিশোরগঞ্জের খলাপাড়ায়। তাঁর বাবার নাম সিরাজউদ্দিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ চার মেধাবী শিক্ষার্থীর অপকর্মের বিষয়ে প্রক্টর ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, 'নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে এসব শিক্ষার্থী মেধার অপব্যবহার করেছে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
অপকর্ম হয় যেভাবে : র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, আমিনুল পরীক্ষার্থী হয়ে হলে ঢুকে তাঁকে সরবরাহ করা প্রশ্নপত্রের সেট অনুযায়ী উত্তর তৈরি করে তা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠায়। ওই সাংকেতিক মেসেজ অন্যরা দ্রুত চুক্তি অনুযায়ী সব পরীক্ষর্থীকে সরবরাহ করে। যেসব পরীক্ষার্থী অনৈতিক চুক্তি করেন, তাঁরাও বিভিন্নভাবে জালিয়াতির আশ্রয় নেন। হলে সরবরাহ করা প্রশ্নপত্রের সেট অনুযায়ী তাঁরা উত্তরপত্র পূরণ না করে সাদা একটি বিশেষ কাগজ বসিয়ে দেন সেট ভরাট করার ঘরে। সেখানে কালি দিয়ে পূরণ করেন। পরে এসএমএস অনুযায়ী নির্দিষ্ট সেটের উত্তরপত্র পূরণ করে ওই কাগজটি তুলে সেট ঘরটি পূরণ করেন।
কোটি টাকার চুক্তি, আমিনুলের ৪০ হাজার : আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আমিনুল একাই প্রতি পরীক্ষার জন্য ৪০ হাজার টাকা করে পান। আর প্রতি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে চক্রটির দুই লাখ টাকা করে চুক্তি হয়। অগ্রিম হিসেবে ৪০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন অনেক পরীক্ষার্থী। র‌্যাব ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্তে বৃহস্পতিবার 'খ' ইউনিটের পরীক্ষায়-ই ৪০ জন পরীক্ষার্থীর এ রকম জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারলে গড়ে দুই লাখ টাকা দেবে বলে চুক্তি করেন। তবে তাঁদের মধ্যে কজন ৪০ হাজার টাকা করে অগ্রিম দিয়েছেন, সে তথ্য জানায়নি চক্রটি। তথ্য অনুযায়ী, ৪০ জনের সঙ্গে ৮০ লাখ টাকার চুক্তি হয়। এ ছাড়া জগন্নাথসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও চাকরির পরীক্ষার জন্য এ চক্রটি কোটি টাকার চুক্তি করেছে বলে র‌্যাবকে জানিয়েছে।
সফল অপকর্ম : আমিনুলসহ আটককৃত শিক্ষার্থীরা স্বীকার করেন, এবারই তাঁরা ব্যাপক আকারে কার্যক্রম শুরু করলেও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইভিনিং এমবিএর ভর্তি পরীক্ষায় পাঁচজনের পক্ষে কাজ করেন। ওইসব পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে এমবিএতে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তারা। তখন তাঁদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
জগন্নাথেও কার্যক্রম ছিল : র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, চক্রটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও একইভাবে জালিয়াতির প্রস্তুতি নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের হল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে বিকেলে আবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কথা ছিল আমিনুলের। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো চক্র এর সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে র‌্যাব।
মক্কেল সংগ্রহ কৌশল : র‌্যাব সদস্যরা পরীক্ষার হলে মোবাইল মেসেজ পাঠানোর সময় আমিনুলকে হাতেনাতে ধরলেও নজরদারিতে রেখেছিলেন এক সপ্তাহ ধরে। গোয়েন্দা তৎপরতায় জানা যায়, পলাশীর বাসায় তাদের ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছিল। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবসায় প্রশাসন ভবন, ঢাকা কলেজ ও নটর ডেম কলেজের কেন্দ্রে তিনজনকে শনাক্ত করে র‌্যাব। পরে পলাশীর ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে চুক্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের পুরো তথ্য পায় তারা। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, গত ফেব্রুয়ারি থেকে তিন রুমের ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকত ওই আটজন। আমিনুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ এবং নজরুলের বাড়ি পটুয়াখালী। তাই কিশোরগঞ্জ ও বরিশাল এলাকার শিক্ষার্থীরাই তাদের মক্কেল হয়েছে। চক্রের সঙ্গে যুক্ত করেছে নিজ এলাকার ছাত্রদের। পরীক্ষার্থী সংগ্রহের দায়িত্বটা পালন করত নজরুল। ওই বাসা থেকে জব্দ করা একটি ডায়েরিতে চুক্তি হওয়া পরীক্ষার্থীদের নাম, মোবাইল ফোন ও রোল নম্বর পেয়েছে র‌্যাব ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে দেখা গেছে, নজরুল একাই ২০ শিক্ষার্থীর সঙ্গে চুক্তি করেছে। জনি ও জামাল সংগ্রহ করেছে সাত-আটজন করে। সোহেল সংগ্রহ করেছে চারজন এবং আমিনুল একজন।
পরিকল্পনা বড়, নতুন চিন্তা ঘড়ি মোবাইল : র‌্যাবের একাধিক সূত্র জানায়, চক্রটি মোবাইল ফোনে উত্তর তৈরির পর অন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে চিন্তা করছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, পরবর্তী সময়ে ঘড়ির মধ্যে মোবাইল ফোন সেট করে উত্তরপত্র নকল করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
যেভাবে ধরা হলো : র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, জালিয়াতচক্রের সদস্যরা যেমন মেধাবী, তেমনি ধূর্ত। ফাঁদে ফেলতে র‌্যাবের দুই সদস্যকে ভর্তীচ্ছু সাজিয়ে পাঠানো হয় নজরুল-আমিনুলদের ফ্ল্যাটে। তবে ওয়েবসাইটে প্রবেশপত্র যাচাই করে ওই সব ছদ্মবেশী র‌্যাব সদস্যকে ভুয়া বলে শনাক্ত করে তারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় প্রবেশপত্র বানিয়ে আবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এভাবে যোগাযোগ ও চুক্তি করে পুরো নেটওয়ার্কটিকে শনাক্ত করে র‌্যাব।
মামলা, তদন্ত : পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গতকাল শনিবার নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করেছে। নিউমার্কেট থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, পরীক্ষা অধ্যাদেশে দায়ের হওয়া মামলায় আটজনকেই চালান দেওয়া হয়েছে।
র‌্যাব-৩-এর পরিচালক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'চক্রটির বর্ণনা অনুযায়ী আরো একজনের নাম এবং তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ধরনের চক্রের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও তৎপরতার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি আমরা।'

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৪
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×