somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুরু জন কহে , ইহা ভালবসা নহে (সম্পুর্ণ গল্প)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেঘলা আকাশের নিচে রিকশা চড়ে কল্পনায় বিভর হয়ে আছে নিয়ন । তার সামনে এখন অনেক গুলো রাস্তা কিন্তু সে জায়গা টা ঠিক ভাবে চিনে না তাই রিকশা ওয়ালা কে রিকশা পিছন দিকে ঘোড়াতে বললো ।



নিয়নের মনে চলমান কথা : যে দিক দিয়ে এসেছি সেদিক দিয়েই যাওয়া যাক । আজকে সারাদিনের জন্য যেরিকশা টা ঠিক করলাম এটা কি উচিত হলো ? না ঠিক ই করসি । রিকশায় বসে চিন্তা করতে ভালোই লাগে । আমকে চিন্তা করতে হবে । আমি কি চাই । আমার কি করা উচিত সব স্বিদ্ধান্ত আজকে নিবোই নিব । আর দ্বিধা না । আমি আজ প্রিয়তী কে জানাবোই আমার মনের কথা । জানাবোই । হুম এতে অবশ্য তার ভাব বেড়েই যাবে । মেয়েদের এই অহংকার টা আমার একদম ভালো লাগে না। কিন্তু কি করবো ? কিভাবে জানাবো ? আমার প্রতিটা নির্ঘুম রাতের কারণ যে সে তাকে তা কিভাবে বলি ? সে যদি রেগে যায় ? মেয়েটা এতো সুন্দর কেন ? এতো মায়া কোথায় পেল । কি ইনোসেন্ট দেখতে... ইচ্ছা করে পৃথিবীর সব সুখ তাকে দেই ।

আমার কি চুপ চাপ বসে থাকা উচিত ?? রিকশা চলছে এ গলি থেকে ও গলিতে ... রিকশা চলছেই ... আজ সারাদিন চলবে...





একই মেঘলা আকাশের নিচে প্রিয়তী তার রূমে জানালার পাশে বসে আছে ... অর্ণবের সে যে বসে আছে গান টা শুণতে শুনতে আকাশ দেখছে ... গান টা তার খুব একটা ভালোও লাগে না আবার খারাপ ও লাগে না । কিন্তু নিয়নের প্রিয় গান এটা । তাই সে শুনছে এই গানটা । নিয়ন কে তার অনেক ভালো লাগে । কিন্তু সব সময় সে নিয়ন কে অপমান করে । তার নিজেরো ভালো লাগে না । কিন্তু কেন করে তাও বুঝে না । সে প্রথম দেখা থেকেই নিয়নকে সে পছন্দ করে কিন্তু কখোনই কিছু বলেনি ।



প্রিয়তীর মনের কথা বার্তা : কত ছেলে আমার জন্য পাগল! আমি কেন নিয়ন কে বলবো আমার মনের কথা ?? আর ছেলেটার যে ভাব! কিছু বললেই পার্ট এ উঠে যাবে !! আর নামানো যাবে না । আজকে নীল শারি টা পড়বো । না থাক ঐ টার সাথে ম্যাচিং করা জুতাটা ছিড়ে গেসে ... উম হলুদ টা পড়লে কেমন হয়!!না না অরকম একই শারি রিনা ঢংগী টার কাছেও আছে ... মেয়ে টা কে দেখলেই থাপ্পর দিতে ইচ্ছা করে ...হাহ ... বক বক বক ব্ক...







পরবর্তী ঘটনা : নিয়নের রিকশা টা ট্রাকের নিচে পড়েছে । সে মনে হয় আর বাঁচবেনা

প্রিয়তী অনেক কান্না করেছে তার চোখের কাজল মুখে এসে মুখ কালো হয়ে গেছে । তবে এই কাজল ভরা চোখ রিনির বয়ফফ্রন্ডের খুব ভালো লাগসিল ... কয়েকবার প্রোপোজ করার পর প্রি্যতী তাকে এক্সেপ্ট করে ফেলছে । এখন রিনি একা কিন্তু তার বয়ফ্রেন্ড তার বান্ধবী প্রিয়তীর সাথে রিলেশন শিপে । রিনির দিন কাটে এখন প্রিয়তীকে অভিশাপ দিয়ে আর আধুনিকতাকেঊ অভিশাপ দিতে ভুলে না সে ...



প্রিয়তীও খুব একটা খুশী যে তা না । তবে রিনিকে ছেকা খেতে দেখে তার ভালোই লাগে । ...



এর পরের ঘটনা গুলো পরে বলবো ... না বললেও চলে কারণ এসব ঘটনা অহরহ আপনাদের সামনে ঘটছে ...





( # বয়সের হিসেব কষে, জীবনের হিসেব কষে যারা ভালবাসা বাসি তে যোগ দেয়। তারা আসলে ভালো থাকার জন্য কোন এক প্রহসন এ যোগ দেয়। সেটা ভালবাসা না। ভালবাসা অনেক আনপ্রেডিক্ট্যাবল বিষয় একটা যা ইদানীং প্রেডিক্ট্যবল করে ফেলছে এই সব প্রহসন কারীরা। তাই true love এখন বিলুপ্তপ্রায়। প্রহসন এর মত যা চলছে তা আসলে সুখের খোঁজে অন্ধ কিছু মানুষের মিথ্যা প্রয়াস । কারণ প্রকৃত সুখ তারা কখনোই খুঁজে পাবে না । সুখ ও তাদের সাথে করবে অভিনয় । যেমন অভিনয় তারা করছে ভালবাসার সাথে ।



# আর সেইম এইজ সমস্যা সমাধানের জন্য আমার মনে হয় এই দেশে বালক শিশু দের আট বছর বয়সে এবং বালিকাদের চার বছরে স্কুলে দেওয়া উচিত। তাহলে বয়সের ব্যবধান থাকলো কিছু । কারণ একই শ্রেনীতে এক সাথে এতোদিন থাকলে ভালোবাসা ভাল লাগা এসবের উদয় তো হবেই । এটাই স্বাভাবিক । যাদের কাছে এটা স্বাভাবিক মনে হবেনা তাদের বলছি "ভাই মুড়ির কেজি চল্লিশ টাকা মনে হয় মুড়ি খান ।"যাই হোক যা বলছিলাম ভালোবাসা একই বয়সের কারো সাথে আর কয়েক বছর পর ইস্টাব্লিশড বূড়া কারো সথে বিয়ে । এসব আসলেই পীড়াদায়ক । যা রীতিমত নিয়মে পরিনত হয়েছে ।আমি নিজে ভালবাসির সাথে কখনই সম্পৃক্ত হতে না পারলেও । বন্ধু বান্ধব পরিচিতদের দুর্দশা , বেদনা দেখতে ভালো লাগে না । )
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×