বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএলে ম্যাচ পাতানো ও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার বা কর্মকতা আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন।
Published : 13 Aug 2013, 04:12 PM
মঙ্গলবার বিকালে হোটেল রেডিসন ওয়াটার গার্ডেনে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ পাতানো সংক্রান্ত আইসিসির তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন।
সংবাদ সম্মেলনে মোট নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ও নিরাপত্তা ইউনিট (আকসু)।
এদের মধ্যে সাত জনের বিরুদ্ধে বিপিএলে ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
রিচার্ডসন বলেন, “আইসিসির আইন অনুযায়ী ফিক্সিংয়ের অভিযোগে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাকে পাঁচ বছর থেকে সর্বোচ্চ আজীবন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।”
বাকি দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফিক্সিংয়ের ষড়যন্ত্রের কথা জেনেও কর্তৃপক্ষকে জানায়নি তারা।
এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর আইসিসি ও বিসিবির সব ধরনের প্রতিযোগিতায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।
অভিযুক্তদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আইসিসির প্রধান নির্বাহী বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি গঠিত ট্রাইব্যুনালে শুনানি হবে। ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অভিযুক্তদের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।”
বিদেশের কেউ অভিযুক্ত হলেও তাকে আইনের আওতায় আনতে কোনো সমস্যা না হওয়ার কথা জানিয়েছেন রিচার্ডসন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আইসিসি সদস্যভুক্ত দেশগুলো একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিদেশ থেকে কোনো ক্রিকেটার খেলতে আসার সময় তিনি একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে আসেন। ঐ চুক্তির জন্যই কোনো বিদেশি ক্রিকেটার দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত তার ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। এ ব্যাপারে আইসিসির সদস্য দেশগুলো একমত।”
অভিযুক্তদের মধ্যে কোনো ক্রিকেটার জাতীয় পর্যায়ে কোনো দলের হয়ে বর্তমানে খেললে তার বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে রিচার্ডসন বলেন, “সেক্ষেত্রে ঐ ক্রিকেটারকেও পুরো তদন্ত এবং ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।”
ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দেয়া মোহাম্মদ আশরাফুলকে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে কিনা তা জানতে চাইলে দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাবেক উইকেটরক্ষক বলেন, “আমরা কেউই তার (আশরাফুল) কথা উল্লেখ করিনি। তিনি নিজেই গণমাধ্যমের সামনে দোষ স্বীকার করেছেন। নিয়মানুযায়ী ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তই তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে তিনি যেহেতু দোষ স্বীকার করেছেন, তদন্তে সহায়তা করেছেন, তাই ট্রাইব্যুনাল নিশ্চয়ই সে সব বিবেচনায় রাখবে।”