খুব কম সময়ে অল্প খরচে ফরমালিন সনাক্ত করার উপায় উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) গবেষক ফারুক বিন হোসেন ইয়ামিন।
Published : 14 Aug 2013, 11:42 AM
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ইয়ামিন জানান, দুটি রাসায়নিক ব্যবহার করে তিনি একটি দ্রবণ তৈরি করেছেন। যে খাবার বা পণ্য পরীক্ষা করা হবে তা পরিষ্কার পানিতে রেখে ওই পানির এক ফোটা নিয়ে সেই বিশেষ দ্রবণে দিতে হবে।
ফরমালিন বা ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকলে দ্রবণের রং বিবর্ণ বা তামাটে হয়ে যাবে। আর তা না হলে দ্রবণ থাকে আগের মতেই গোলাপী।
প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণার বাইরে ব্যক্তিগতভাবে ছয়মাস চেষ্টা চালিয়ে এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন বলে জানান ইয়ামিন। তবে ওই দ্রবণ তৈরির রাসায়নিকের নাম তিনি প্রকাশ করতে রাজি হননি।
ইয়ামিন বলেন, “এটি প্রতিষ্ঠানের একটি ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি। তাই আপাতত নাম প্রকাশ করছি না।”
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, শুধু ফরমালিন নয়, অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিকও এ পদ্ধতিতে সনাক্ত করা যাবে।
“প্রতি টেস্টে মাত্র এক টাকা খরচ হবে। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেচাকেনার ক্ষেত্রে ফরমালিন পরীক্ষা করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।”
ইয়ামিন বলেন, বর্তমানে দেশে ফরমালিন সনাক্ত করার যে ‘কিট’ ও যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় সেগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এসব ‘কিট’ কতোটা নির্ভরযোগ্য তা নিয়েও বিতর্ক আছে।
বতর্মানে সারাদেশে বিভিন্ন বাজার ও প্রতিষ্ঠানে ৮৭টি ফরমালিন সনাক্তকরণ ‘কিটবক্স’ রয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। খাদ্য মন্ত্রণালয় এই কিটবক্স বিতরণ করে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত এই পদ্ধতি দেশের মানুষের ফরমালিন আতঙ্ক দূর করতে সহায়তা করবে।”
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল ইসলামও এ পদ্ধতির ব্যবহার ও কার্যকারিতা দেখেছেন বলে মহাপরিচালক জানান।
প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে শিগগিরই এ প্রযুক্তি সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।