বিকেলের নাস্তাটা যদি হয় ধোঁয়া উঠানো চায়ের সাথে গরম আলুপুরি, তাহলে কেমন হয়? জ্বীভে জলও চলে আসতে পারে মনে হতেই। ঢাকায় এটি ছিল প্রিয় একটি বিকেলের নাস্তা। বাসায় করলে মা সাথে বানাতেন তেঁতুলের চাটনী, এখনও মনে হলে মুখে আসে জল। শুধু আলুপুরি না, ডালপুরিও অসম্ভব প্রিয় একটি খাবার।
এই পরবাসে প্রথম আলুপুরির সন্ধান পেলাম কিছুদিন আগে একটি ভারতীয় দোকানে। হীমায়িত, কিন্তু তারপরও কিনে ফেললাম। বাসায় এসে গরম তেলে ছেড়ে দিতেই কিছুক্ষণের মধ্যেই ফুলে উঠলো। দেখে বোঝার উপায় নেই যে জিনিষটা মোটেই টাটকা না। অন্য চুলায় বসালাম চায়ের পানি।
পুরিতে কামড় পড়তেই টের পেলাম অসাধারণ স্বাদ। অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল চায়ের কাপে চুমুক পড়তেই – কত ফেলে আসা মুহুর্ত; মা, ভাইয়ের সাথে আড্ডা; মায়ের বানানো পুরি নিয়ে খাবার টেবিলে দু’ভাইবোনের কাড়াকাড়ি।
দেশ থেকে এত হাজার হাজার মাইল দূরে আলুপুরি জুটবে কপালে আসলেই ভাবিনি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:২৯