somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহবু১৫৪
জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার আশা করাটা বোকামী। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়েই আসতে হয় কাংক্ষিত লক্ষে। এই পথ এত সোজা নয়। অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে সেই পথ চলায়। হয়তো আরো অনেক কোথিন হবে সামনের পথ টুকু। তারপর ও হার মেনে নেয়ার পক্ষে আমি নই। জয়ী যে আমাকে হতেই হবে।

সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে :D:)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হ্যা, এটা অবধারিত সত্য কথা। আর এটা মেনে চলেন এমন মানুষের সংখাও এ দেশে কিন্তু কম নয় । কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বিয়ের ২ কি ৩ বছর পর তাদের মধ্যে মিল নাই। সংসারে শান্তি নাই। এমন কি এও দেখা যায় যে ১০ বছর সংসার করার পর শান্তি নষ্ট হয় । এতে করে সন্তানের উপর যে পরিমাণ প্রভাব পরে তা অতুলনীয়। কারণ সে বাবা আর মা এর কাছ থেকেই সব কিছু শিখে। অনেকে আছেন সন্তান এর সামনেই ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে যান।

এমন অনেক হাজারো সমস্যার ভিড়ে আমাদের জীবন চালিয়ে নিতে হয়। এমন অনেক কেই বলতে শুনেছি স্ত্রী তার স্বামী এর জন্য অনেক কিছুই করেন। কিন্তু স্বামী মেজাজ খারাপ করতে থাকেন। এমন কি ঝগড়াও শুরু হয়ে যায় এ নিয়ে। পরে স্ত্রী কষ্ট পেতে থাকেন। এতে করে ২ জনের মধ্যে ক্ষোভ জন্ম নেয়। এই ক্ষোভ এক সময় প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

তাই ২ জনের মধ্যে ভালবাসা, সম্মান ধরে রাখা অবশ্যই দরকার। তাহলে আসুন জেনে নেই কে কি করে তাদের দাম্পত্য জীবনকে সুখী করতে পারেন।

স্ত্রীদের ক্ষেত্রে -

অনেক সময় দেখা যায় স্বামী অফিস করে সারাদিন পর বাসায় আসলে স্ত্রীরা তাদের সাথে সমানে কথা বলা, সংসার এর সমস্যা, চিল্লা পাল্লা করেন। কিন্তু এটা একদম উচিত না। যদিও সারাদিন না দেখে থাকেন কিন্তু তারপর ও কিছু করার থাকে না। যতটুকু দরকার ততটুকু করলেই ভাল। যেনে নিন -


• সারাদিন পর বাসায় আসলে কখনই সেই সময় তার কাছে বেশি যাবেন না।

• হাল্কা কথা বলতে পারেন।

• পরিবারের সমস্যা গুলো পরে বলার চেষ্টা করুন।

• তাকে আপন মনে নিজের কাজ করতে দিন।

• তাকে বার বার একই প্রশ্ন করে বিরক্ত করবেন না।

• কোন কাজ এ সন্দেহ করবেন না।

• খাবার চাইলে নিজের হাতে বেড়ে খাওয়াবেন। তার সাথে একসাথে বসে খেতে চেষ্টা করুন।

• মাঝে মাঝে হাল্কা হাসি ঠাট্টা করুন। মন ভাল থাকবে এতে।

• তাকে মাঝে মাঝে surprise দিতে চেষ্টা করুন।

• রাতে অফিস এর কাজ এ সে ব্যস্থ থাকলে তাকে শুধু বলতে পারেন কখন সে ঘুমাতে আসবে। কিন্তু তার কাজ এ ব্যঘাত ঘটাবেন না।

• ছুটির দিন গূলোতে একসাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।

• তার পরিবারের মানুষজনকে নিয়ে অন্যরকম মন্তব্য করবেন না।

• তার জন্মদিনে তাকে বিশেষ কিছু দিয়ে অবাক করে দিতে পারেন।

• সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও তার সাথে ফোন এ যোগাযোগ রাখতে পারেন।

এখন এতসব কিছু মেনে চলা আপনার পক্ষে হয়ত সম্ভব না। কিন্তু এটা করে দেখুন। আপনি যদি আপনার স্বামী কে ভালবেসে থাকেন তাহলে সেও তখন অনুভব করবে এই ব্যাপারটা । তখন সে নিজে থেকেই এসে কথা বলবে আপনার সাথে।


স্বামীদের ক্ষেত্রে -

সংসার এ ২ জনেরেই অনেক দ্বায়িত্ব থাকে। যা কেউ এড়িয়ে যেতে পারে না। কিছু কিছু কাজ আছে যা স্বামী এড়িয়ে যেতে পারেন না। আর এড়িয়ে গেলেই সমস্যা। যেমন ধরেন -

• সংসার এর সব কিছু আপনার না দেখলেও চলবে। কিছু কিছু ব্যাপার আপনার স্ত্রী এর উপর ছেড়ে দিন।

• সন্তানদের দেখভাল করার দ্বায়িত্ব ২ জন মিলে করুন।

• মাঝে মাঝে surprise দিতে চেষ্টা করুন।

• বিশেষ বিশেষ দিন গুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন।

• মাঝে মাঝে সন্তানদের বাসায় রেখে হুট করেই ঘুড়তে বের হয়ে যেতে পারেন।

• তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন।

• তাকে বিশ্বাস করুন।

• মাঝে মাঝে ২ জন মিলে রান্না করতে পারেন।

• তার কথাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন।

• সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও তার সাথে ফোন এ যোগাযোগ রাখতে পারেন। ফোন করে তাকে যেআপনি মিস করছেন জানিয়ে দিন।

• তার কাজের প্রশংসা করুন। এটা তারা সবসময় চান।

• তার পরিবারকে নিয়ে বাজে কোন মন্তব্য করতে যাবেন না।


এরকম অনেক ব্যপার আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। তবে একটা জিনিষ সেটা ২ জনের ই দরকার সেটা হল ২ জনকেই romantic হতে হবে।


আজকে আর না। বিদায় ।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×