somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অতিরিক্ত তৈল মর্দনে তেল এর দাম বৃদ্ধি । একটি শিক্ষক এর লাশ , একটি মুক্তিযোদ্ধার ভিক্ষা চাওয়ার দৃশ্য

২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি লেখক নই । আমি সাংবাদিকও নই আমি পাঠক বরাবরি আমি পাঠ করি , কিছুদিন লেখার চেষ্টা করেছি , বাংলা বেশ কঠিন মনে হয় , ভাষার সাবলিলতা বজায় রাখতে পারিনা বলে লিখিনা । কিন্তু কমেণ্ট করি , ইদানিং আবার কমেন্ট ও করি না কি থেকে কি লিখবো কে আবার ছাগু বা ভাদা বলে ফেলবে । এই দেশে যে সত্য বলা পাপ , ব্রম্যচারি নেতারা আমাদের যা শিখিয়ে দিচ্ছে আমরা তাই বুলি আওরাই । আর তা দিয়ে ছাগু আর ভাদা নির্বাচন করি । যত পারি একে অপর এর ১৪ গুষ্ঠি উদ্ধার করি । যুক্তির ধার ধারি না । তাই লিখতে বসলাম কিন্তু শেষ করতে পারবো কিনা তা জানি না ।
শেষ তো করতেই হবে তেলের দাম যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে , কিছু দিন পর তো নিজের শরির এর তেল বের করে মাখতে হবে যেখানে যাই খালি তেল আর তেল । তেল এর চোটে রাস্তায় হাটাও কষ্ট হয়ে পরেছে । দুর্গা পুজার সময় বাড়িতে ছিলাম , আমার বাড়ি আবার হিন্দু পাড়াতে সবে ৩ ঘর আমরা মুস্লিম র পুরটাই হিন্দু । ওদের দেবি কে ডুবাতে আবার আমার বাড়ির পাশে নদিতে আস্তে হয় । দুর্গা পুজাতে বাড়িতে থাকার আর একটা কারন হল নারু ,মুয়া । আমাদের বাড়িতেও বানায় পুরো পাড়ার টাও পাই পাড়ার প্রতিটা ঘরে আমার বেশ উঠা বসা সেই ছোট বেলা থেকে । কিন্তু এইবার পুরো চেহারাই চেঞ্জ , যা দেখে মাথা ঘুরে পরে যাবার যো । আমি কোথায় আছি তা বুঝে উঠতে আমার সময় লেগেছে কয়েক মিনিট । কারন এইবার প্রতিটা নৌকাতে দেবি দুর্গার সাথে শেখ হাসিনার ছবি ছিল । কারন হিসাবে মাসিরা যা বলল , এইবার পুজার কয়টা দিন নাকি কারেন্ট যায় নাই । পুজাতে বড় রকমের সাহায্য করেছে এলাকার মন্ত্রি , এবং সব গুলো পুজাতে তার লোক জন দিয়ে নাকি পাহারার বেবস্থা করেছিল( আমাদের এলাকার মন্ত্রির দের কাহিনি পরে একসময় বলব) তার জন্য তারা এতো তেল , তাদের আরেক দেবির ভোগে দিচ্ছে । আর যে যে দেবি যে ভোগ চায় তার ভোগ দেয়াই উচিত , তাতে নাকি শান্তি থাকে । আমার প্রশ্ন এখানে নয় , আমার প্রশ্ন তাদের , যারা আদর্শ এর কথা বলে তারা কি সে আদর্শ নিজেদের মধ্যে রাখতে পারে এই কি ধর্ম নিরেপক্ষতার নমুনা । নাকি তাদের সব আদর্শ শুধু ভোট এর বাক্স ভরার আদর্শ ( তোরা যে যা বলিস ভাই আমার ভোটের বেঙ্ক ঠীক থাকা চাই ) । আমার স্পষ্ট মনে আছে আমার ৯৫ বছর এর দাদি এইবার ২৬ তম রোজা রেখেছে পানি খেয়ে শুধু কারেন্ট না থাকার কারনে , আর আমরা ঐ রোজা রাখতে পারি নাই । আমার তো প্রশ্ন জাগতেই পারে ৯৫% মুস্লিম এর দেশে আমরা রমজান মাসে কারেন্ট পাই না কেনো । হিন্দুরা কেনো কারেন্ট পেলো । তাহলে কি আওয়ামিলিগ দেশের মানুষদের কে ২ ভাগে বিভিক্ত করে ফেল্লো না হিন্দু মুস্লিম নামে । যদিও এম্নিতেই বিভক্ত হয়ে আছি আমরা , আমার কি প্রশ্ন জাগতে পারেনা রমজান মাসে বিদ্যুত কই ছিল , যে বিদ্যুত রমজান মাসে উতপাদন নেই সেই বিদ্যুত পুজার সময় উতপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে । আমার এত সব বলার খারাপ কোন উদ্দেশ্য নেই বা বা হিন্দু মুসলিম এর মধ্যে বিভক্তি করার ও কোন উদ্দেশ্য নেই , আমার বলার উদ্দেশ্য নাগরিক সুবিধা নিয়ে । রাজনৈতিক হিন সার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্য নিয়ে যে বিভিক্তির স্রিষ্টি , সেটাই আমার বলার উদ্দেশ্য ।ইদানিং কিছু লিখলেই ছাগু বিশেষনে ভুষিত করা হয় । আর যারা সমকামিতা , অবাধ মেলা মেশা , অবাধ সেক্স কে ফেস্যান হিসাবে ভাবেন তাদের সমর্থন করলে প্রগতিশিল হিসাবে ধরা হয় । কিন্তু আমি বুঝে উঠতে পারিনা প্রগতিশিল এর সংগা কি ? আর যদিও বুঝি তার যুক্তি দিয়ে বুঝাতে গেলে ছাগু হয়ে যেতে হয় । দুনিয়ার তাবত সমকামিরা প্রগতিশিল আর দুনিয়ার তাবত রক্ষন শিল রা ছাগু । কুয়োড় ব্যাং যেমন বাইরে আসলে বেশি লাফা লাফা করে ঠিক তেমন । যেখান থেকে প্রগতিশিল নামক শব্দ এর আমদানি তারাও এখন ছাগু হয়ে গেছে বাংলাদেশ এর রোদেলাদের কাছে ।
গতকাল অনেকদিন পর আমার গ্রামের কলেজ এ গিয়েছিলাম । এখন আর আমার সেই আগের স্যার রা নেই , এখন যারা আছে তারা অধিকাংশ আমার বন্ধু বা ছোট ভাই এর মত । গত কাল এর আলোচ্য বিষয় ছিল নাটোর এ শিক্ষক হত্যা । আমার এক বন্ধু তো বলেই উঠলো , চোখের সামনে যা খুশি হোক আর কিছু বলা যাবেনা , নিজের ও বউ বাচ্চা আছে , বলতে গিয়ে কিছু হলে বিচার তো হবেই না বরং বউ বাচ্চার দেখার মত কেও থাকবেনা । এখন কে যে মন্ত্রির লোক কে বলবে । শুনে আমার ১৮ বছর আগের কথা মনে পড়ে গেলো , তখন আমি এইচ-এস-সি পরিক্ষা দিব তার আগে আমি আর ঐ বন্ধু এক স্যার এর সাথে বেয়াদপি করেছিলাম বলে আমার মা কলেজ মাঠেই আমাকে আর বন্ধুকে গোলা বেত দিয়ে পিটাইছিল ( আমার মা হেড মিস্ট্রেস ) এখন ও চোখের নচে দাগ আছে । আমার বন্ধুর কথা শুনে আমি পুরো হতাশ , তুমরা শিক্ষক রাই তো প্রগতিশিল এর নামে ধুয়া তুলো । কলেজ এ ছাত্রি রা বোড়কা পরে আস্তে পারবেনা ( রায় একভাবে হয়েছে তার প্রয়োগ আর একভাবে হচ্ছে ইচ্ছা অনিচ্ছাকৃত ভাবে ) আবার কেও কিছু বললে এগিয়ে যাবেনা । তাহলে আমার মেয়েরা কোথায় যাবে ।নিজের আব্রু তুকু বাচানোর অধিকার কি নেই এই মানুষ্য সমাজে । নাকি তোরা যে যা করিস ভাই আমার বলার কিছু নাই , বলে প্রগতিশিল দের কাতারে নাম লিখাবে । এই পরিস্থিতির জন দায়ি কে ? বোরকা নিষিদ্ধ নাকি সমাজ বেবস্থা ।
আমরা যুদ্ধঅপরাধির বিচার করবো আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসাবে এটাই আমার প্রত্যাশা । কিন্তু তার আগে আমার প্রশ্ন যুদ্ধ অপরাধির সংগা কি ?
তা জানার অধিকার আমার আছে , এই দেশের একজন নাগরিক হিসাবে । আমি যা জানি তা হলো যুদ্ধে যারা ক্ষমাহিন অপরাধ করেছে তারাই হলো যুদ্ধপরাধি । আর যুদ্ধপরাধির সংগা যদি তাই হয় তাহলে একজন যুদ্ধ অপরাধি কিভাবে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হতে পারে কিভাবে মন্ত্রি হতে পারে ।মুক্তিযুদ্ধের সময় কি খালি রাজাকার রাই ঘর বাড়ি পুরিয়েছে নাকি মুক্তিযোদ্ধারাও করেছে , মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধা ডাকাতি করেছে হিন্দুদের বাড়ি দখল করেছে তাদের সম্পদ লুন্ঠন করেছে । যে অপরাধে তাদের মুক্তি যুদ্ধ থেকে বহিস্কার ও করা হয়েছিল । যাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বহিস্কার করা হয়ে ছিল , যারা ইন্ডিয়াতে গিয়ে সুখের সাগরে ভেসে ছিলো তারাই আজকে মুক্তি যুদ্ধের ধারক বাহক । আর আজ পঙ্গু মুক্তি যোদ্ধা গাড়িতে গাড়ীতে ভিক্ষে করা ফকির । লজ্জা লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে, গলায় ঝুলানো তার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট । আমি তাকে ভিক্ষে দিতে পারিনি । একজন মুক্তিযোদ্ধা কে ভিক্ষে দেয়ার মত ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দেয় নি ।সে সাহস আমার নেই ভিক্ষে করার জন্য উনি মুক্তি যুদ্ধ করেনি । যাকে সন্মান টুকু দিতে পারলাম না তাকে ভিক্ষে দিয়ে অসন্মান করি কি ভাবে এই দুর্ভাগ্য তো আমাদের , এই দেশের এই জাতির । আমি মরে গেলে আমার কফিন এর উপর জাতীয় পতাকা থাকবেনা কিন্তু উনি মরে গেলে জাতিয় পতাকা থাকবে উনার কফিন এর উপর । কিন্তু মরে যাওয়ার পর সন্মান দিয়ে কি লাভ । তাকে যে প্রতিদিন বেচে থেকে হাজার বার করে মরতে হচ্ছে । একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রাপ্য সন্মান টুকু আমরা দিতে পারলাম না অথচ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেব্যসা করতে পারলাম কি নির্ম্ম পরিহাস । মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য শুধু অসন্মান লাঞ্ছনা আর যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আর ভারতে কাটিয়ে দিল তাদের জন্য পুরো দেশ টাই দিয়ে দিলাম । আর আমাদের জন্য রাখলাম রক্তাত্ত ধর্ষিত দেশ , যে দেশ কে রাজনিতিক রা বার বার ধর্ষন করে যাচ্ছে প্রতিকার করার কেও নেই ।
প্রশ্ন গুলো রেখে দিলাম …………………।। কথা শেষ হয় নি আরো অনেক অনেক প্রশ্ন জাগে কিন্তু করতে পারি না । ভয় হয় X((
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×