somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিশুদের দিকে তাকান

২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশে দারিদ্র্যের হার ক্রমশ কমছে_ এটি অবশ্যই আমাদের জন্য শুভ সংবাদ। কিন্তু সেই অনুপাতে দারিদ্র্যের সংখ্যা কমছে না। পরিসংখ্যানগত হিসাবে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতি সত্ত্বেও শিশু-দারিদ্র্য ও বৈষম্য এখনো বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বৃহস্পতিবার ইউনিসেফের শিশুবিষয়ক এক রিপোর্ট এ উদ্বেগকে আরো জোরালো করে তুলেছে। রিপোর্টের তথ্যমতে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৫ ভাগই শিশু। শিশুদের এই মোট সংখ্যার ৪৬ ভাগ অর্থাৎ ৩ কোটিরও বেশি শিশুই বসবাস করে দারিদ্র্যসীমার নিচে। নিরঙ্কুশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ শিশু চরম দরিদ্র। এ শিশুদের অনেকেই আশ্রয়, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পানি সংকট, স্যানিটেশন ও তথ্য পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। শহরের কর্মজীবী শিশু, পথে বসবাসকারী শিশু এবং অনাথ শিশুরা রয়েছে সর্বাধিক ঝুঁকির মধ্যে। অথচ এই দরিদ্র শিশুদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অধীনে বরাদ্দের পরিমাণ মাত্র ৯.৮ ভাগ, যা ২০১০-১১-এর জাতীয় বাজেটের ১.৪৪ শতাংশ মাত্র। এর মধ্যে সুবিধাবঞ্চিত শহরের কর্মজীবী শিশু, রাস্তায় বসবাসকারী শিশু ও এতিম শিশুদের সাময়িকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বাজেটে ০.৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ বছর শেষে বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শহরের কর্মজীবী শিশুর সংখ্যা সাড়ে ৯ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। আর্থ-সামাজিক অসমতা এবং বৈষম্য দূরীকরণে নজর না দিলে দারিদ্র্যহ্রাস ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে না। আর এটা অর্জনে বাংলাদেশের জন্য কার্যকরী কৌশল হলো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনিয়োগ করা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত সহস াব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এসব বিষয়ে অবশ্যই নজর দিতে হবে। বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। তবে বাংলাদেশের আয় বৈষম্যের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেশ থেকে দারিদ্র্যবিমোচন করতে হলে যে করেই এ হোক বৈষম্যমূলক অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। আমরা মনে করি, সমতাভিত্তিক একটি কৌশল নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু এটি অধিকারই নয়, এটি সহস াব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কার্যকরও বটে। এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দিকে নজর দেওয়া। এর মাধ্যমে বংশপরম্পরায় চলমান দারিদ্র্যচক্রকে ভাঙার পাশাপাশি দারিদ্র্যহ্রাস ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখবে। এ জন্য শিশুদের পিছনে রাষ্ট্রের বিনিয়োগ যেমন বাড়াতে হবে তেমন তাদের কল্যাণে সমাজের সম্পন্ন মানুষ যাতে এগিয়ে আসে সে উদ্যোগও নিতে হবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×