হ্যালো ...
হ্যা শুনছি।
চুপ করে আছ যে?
না, কিছু না। এই তো শুনছি তোমার কথা। মনে হচ্ছে কত শত বছর পর তোমার কণ্ঠস্বর শুনলাম। ঠিক আগের মতই। কিন্তু কী যেন একটা নেই।
------------------------------
কী হল? আবার নিশ্চুপ হলে যে।
হু ! বলবার মত কিছু পাচ্ছি না । কোথায় যেন সব হারিয়ে ফেলেছি। তবুও মাঝে মাঝে মনে হয় কি জানো, এ মনটা এখনও ময়ূরী-ই রয়ে গেছে। আগে ভাবতাম, বেঁচে থাকাটা কঠিন, বেচেঁ থাকলে ক্ষণে ক্ষণে বদলাতে হয়। কিন্তু এখন? এখন তো আমার ভেতরে সেই আমাকেই খুঁজে পাই। এতটুকু বদলায়নি - কেন বলতে পার? আচ্ছা আমার কথা না হয় বাদ দিলাম, তুমি কেমন আছ ডলি?
---------------------------------------------
--------------------------------------------------
জানতাম নীরবতা তোমার প্রত্যুত্তর হবে। আচ্ছা এই তুমি, তোমার জানতে ইচ্ছে করে না, কেন এতদিন তোমাকে ফোন করিনি, এই কাপাকাপা ঠোটে বলিনি, ’ডলি’।
ইচ্ছের সাগর শুকিয়ে গেছে ,এখনও মরে যায়নি জেম। খুব ইচ্ছে করে, খু.....ব। কিন্তু কিভাবে? একে তো যোগাযোগ করতে পারি না, তার উপর ভয় হয়, যদি তোমার সাথে আমার ভাবনাগুলো না মেলে? আমার শান্ত মনটা যদি আবার অশান্ত হয়ে ওঠে? তখন –?
ঠিক আছে বাবা বলব না । সেই ভাল।
গাছে চড়িয়ে মই টানছ। কেন এই ছেলে খেলা, আমাকে জানতে হবে জেমস। সত্য এরকমই হয়। তুমি তোমার জন্যে না হোক আমার জন্যে বলবে।
জান না, কী ভয়ঙ্কর একাকীত্ব, তার মাঝে এই একটা প্রশ্নই আমি বারবার লিখেছি প্রতিটি পূর্ণিমাতে। মনে মনে কত স্বপ্ন গড়েছি, চাঁদের হলুদ খামে পোষ্ট করেছি সন্ধ্যায়;ভোর পর্যন্ত স্থির বসে থেকেছি, তুমি পাবে বলে। তুমি আমাকে বলবে। বল জেমস্, থেমে থেকো না। প্লিজ......?
তোমার গলা কাঁপছে ডলি। তুমি থাম। আমি ভাবতেও পারছি না, তোমার ব্যথার সাগর এতটা নীল, এতটা গভীর।
যতটা বুঝতে পারছ, তার চেয়ে বেশি। অ-নেক বেশি। তোমরা ছেলেরা বোঝ না, হয়ত বুঝতেই চাও না। কিন্তু তুমি আমাকে বল কেন? কেন তুমি---------
(চলবে)