সেদিন পূর্ণিমার রাত । আকাশে মেঘ ছিল না। তারপরেও চাঁদটা যে খুব উজ্জ্বল তা নয়। এক ঠান্ডা নিস্তব্ধ পরিবেশে যেখানে সময় কচ্ছপের পিঠে চড়া সেখানে জীবন যে কতটা বৈচিত্রময় তা ভাবা প্রশ্নাতীত । হয়ত সেজন্যে জীবন, জীবন কাব্যে এক ছত্রে গাঁথা সত্ত্বা, একঘেয়েমি জীবনানুভূতির শুকিয়ে যাওয়া বিনিসূতার মালা । আকাশের ঐ দূর পথে চাঁদের যেমন পথ চলা, ঠিক সে রকম এক নির্মম পথচলা। ভাবাবেগের এই আবহ সঙ্গীতের মাঝে বেসুরে বেজে ওঠে ফোন। অলস সময়ের নিষ্ঠুর পেষনে ফোন রিসিভ করার ব্যাপারটিও যে ডলির অগ্রাহ্যের তালিকায় আছে তা একবার পূর্ণ রিং কেটে যাওযা থেকে আঁচ পাওয়া যায়। ২য় বারের মত ফোন হচ্ছিল........
জেম্স: হ্যালো। ... ... ... এটা কি ০৮২৭৬#### ?
হ্যালো ......... হ্যালো ? ... ... ...
যদি সেরকম না হয়, আমার ধারণা, তুমি ডলি।
... ... হ্যালো ডলি। হ্যালো কথা বলছ না কেন?
ডলি: হ্যাঁ শুনতে পাচ্ছি। তুমি বল।
জেম্স: চিনতে পেরেছ ?
ডলি: না চিনতে পাবার কী আছে ?
জেম্স: হ্যাঁ, না চিনতে পাবার কী আছে ? এই তো মাঝখানে মাত্র একটি বছর- খুব কম সময়; যে সময়ে সাত সমুদ্র তের নদী শত সহস্রবার পাড়ি দেয়া যায়। ... ... এতো দেরীতে ফোন রিসিভ করলে যে? --
ডলি: ... ... ... ... ...
একটু ব্যস্ত ছিলাম।
এখনো সেই ব্যস্ততা। অবিশ্বাস্য!
তোমাকে বিশ্বাস করানোর ব্যাপারে আমার কোন আগ্রহ নেই।
হবে হয়ত। এটাও হতে পারে আমি কখনও তোমাকে চিনতে পারিনি। এখনো নিজেকে নিজে সঙ্গ দিয়ে চলেছ? অদ্ভূত মেয়ে তুমি। আর কত দিন? ... ... ছাদে গিয়েছিলে?
... ... ...
-------------------------------
কথা বল না কেন?
এত দিন পর ফোন করেছ, নিশ্চয় কথা বলার আগ্রহটা তোমারই বেশি। তুমি বলতে থাক আমি শুনছি।
কিন্তু আমাকে ডানে বামে যাবার অধিকার না দিলে আমি কথা বলব কীভাবে? আমি কি নাটকের স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসেছি যে আয়নার সামনে দাড়িয়ে শুধু নিজের মুখস্ত ডায়ালগ বলে যাব?
-------------------------------------
------------------------------------
এক মূহুর্তের জন্যে অতীতে ফিরে গিয়েছিলাম। মাঝখানে যে এতগুলো দিন পার হয়ে গেছে মনে ছিল না।
(চলবে)