চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে মারামারিতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছে।
Published : 12 May 2013, 11:42 AM
রোববার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশন ও শহীদ মিনার এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং পাবর্ত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) নিয়ন্ত্রিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মধ্যে দুদফায় এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে আহতরা হরেন- দর্শন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী তরুণ চাকমা, সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সিমন চাকমা, অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের রুবেল চাকমা ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের শাইলা চাকমা। এরা সবাই ইউপিডিএফের কর্মী।
আর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের আহত দুজন হলেন- ইসলামের ইতিহাসের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী চাইলা মং মারমা এবং লোকপ্রশাসন ৩য় বর্ষের অন্তু মারমা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ-দৌল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২২ ও ২৩ মে খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠেয় ইউপিডিএফের কাউন্সিল উপলক্ষে পোস্টার সাঁটাতে গেলে ইউপিডিএফের কর্মীদের মারধর করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মীরা।
আহত ইউপিডিএফ কর্মীদের প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।
ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সদস্য শান্তিদেব চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংগঠনের দু্ই যুগপূর্তি ও কাউন্সিল উপলক্ষে সংগঠনের নেতাকর্মীরা পোস্টার সাঁটাতে রেল স্টেশনে যায়। এসময় পোস্টারকে ‘সরকারবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তা লাগাতে বাধা দেয় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মীরা।
তিনি বলেন, “এক পর্যায়ে তারা লোহার রড দিয়ে ইউপিডিএফকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।”
আহতদের মধ্যে সিমন চাকমার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়ে শান্তিদেব বলেন, “তার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।”
তবে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিমল চাকমা পাল্টা অভিযোগ করেন ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ইউপিডিএফ এর সদস্যরা তাদের ওপর হামলা করলে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা আক্রমণ করা হয়।
এতে আহত জেএসএসের দুই সদস্যকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে কোনো মামলা হয়নি বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।