somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শয়তান ( ১৮ বছর ৬ মাস প্লাস)

২১ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যৎসামান্য অচলিল।

শয়তান হল একটি চরিত্র যা বিভিন্ন ধর্মে একে দুষ্ট বা খারাপ প্রকৃতিক, একই সাথে ক্ষমতাশালী, স্রষ্টার এবং মানবজাতির শত্রু বলে চিহ্নিত করেছে। সাধারণভাবে ধরা হয় যে শয়তান উৎপথগামী, অবিশ্বাসী এবং অন্যান্যদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। শয়তান শব্দটি গ্রিক ভাষার, Διάβολος, Diábolos, থেকে এসেছে। শব্দিক যার অর্থ হল অপবাদদানকারী ব্যক্তি অথবা অভিযোক্তা।


উপরের লাইনগুলা আমার না। এত ভারিক্কী লাইন লেখা আমার জন্য বেশ কঠিন ব্যাপার। শয়তান বলতে ছোটবেলা থেকে যেটা জানি সেটা হল শয়তান মানে ইবলিশ। বিদ্রোহকারী ফেরেশতা। আল্লাহ মানুষ বানিয়েছিলেন। কিন্তু মানুষ বানানোর আগে ফেরেশতা বানিয়েছিলেন। সকল ফেরেশতা কে বল হল আদম কে সম্মান করতে। ইবলিশ করেনি। কোথায় আগুন আর কোথায় মাটি!! আদম কে মাটি থেকে বানানো হয়েছে। আমি তাকে সম্মান করবনা। তার পরিনতি হল ইবলিশ হয়ে গেল শয়তান। মানুষ কে বিপথে পরিচালনা করা যার কাজ। ইবলিশ এর কারনেই বিবি হাওয়া কুমন্ত্রনা দিয়েছিল চলেন আদম গিয়ে ফল খাই। ফল খাওয়ার ফল (পরিনাম) হল ভয়াবহ। স্বর্গ থেকে মর্ত্যে ডিমোশন। আমরা সবাই আজ পৃথিবীতে।


শয়তান শব্দটা এর পর থেকে জাতীয় জীবনে ওতপ্রোতগোত ভাবে জড়িত।ছোট বাচ্চারা দুষ্টামী করলে মা রা শাসন করেন, আই শয়তানী করিস ক্যান!! আল্লাহ ভাবী জানেন ওই বাসার বাচ্চাটা যা শয়তানশুধু বাচ্চারা না। ঐ বাসার লোকটাও খুব শুয়তান। মেয়ে মানুষ দেখলেই মাথা ঠিক থাকেনা। এরকম নানাবিধ শয়তান আছে। প্রকাশ্য শয়তান। গোপনীয় শয়তান। ভদ্রবেশী শয়তান আর অভদ্র শয়তান।

কারন ইবলিশ শয়তানের কাজই হল তার দল ভারী করা। জামাতে নামাজ পড়ার সময় কাতার খালি রাখতে হয়না কারন শয়তান ঢুকে যায়। ইবলিশ তার দল ভারী করে ফেলে। ইবলিশের দলে চলে গেলে সেও শয়তান। কারন ইবলিশ গান গায়, আমরা সবাই শয়তান। আমরা সবাই শয়তান আমাদের এই শয়তানের রাজত্বে! নইলে মোরা শয়তানের সাথে মিলব কি শর্তে আমরা সবাই শয়তান।

শয়তান শব্দটা নাটক সিনেমায় বেশ গুরুত্ব বহন করে। বাংলাসিনেমার কথটা আগেই এক পোস্ট এ দিয়ে ছিলাম। চম্পা জাম্বু কে বলে, “ছেড়ে দে শয়তান। দেহ পাবি কিন্তু মন পাবিনা”। জাম্বুর স্মার্ট জবাব (নিজের টাকে হাত বুলিয়ে), “ওতেই চলবে”। শয়তান যে খালি সিনেমার ভিলেনরা হয় এমন না। ইলিয়াস কাঞ্চন আর অঞ্জু ঘোষ এর কোন এক বাংলা সিনেমায় বাসর রাতের সিন। অঞ্জু ঘোষ এর হাতে গ্লাস ভরা দুধ। নাকি দুধ ভরা গ্লাস! যাই হোক না কেন, ইলিয়াস কাঞ্চন ঘোমটা উঠিয়ে বলে, তোমায় আজ পুর্নিমার চাঁদের মত লাগছে। অঞ্জু ঘোষ বলে, যাহ শয়তান।

শয়তানের ফেমিনিন জেন্ডার কি সেটা অবশ্য জানা নেই। কারন ধোপা থেকে ধোপানি, মামা থেকে মামানি যেরকম হয় শয়তান থেকে শয়তানি সেরকম হয়না। শয়তান বিশেষ্য শয়তানি বিশেষন। তাহলে মেয়ে শয়তানদের মনে হয় মহিলা শয়তান বলে।



যাই হোক শয়তান বনাম মানুষের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত মানুষই জিতে। সেরকম একটা ঘটনা দিয়ে এই হাবিজাবি লেখা শেষ করি।

একজন আমার থেকেও খারাপ চরিত্রের লোক ছিল। সরাসরি বলা যায় বিকৃত রুচি। সে খালি মেয়ে মানুষ না, ছেলে, বৃদ্ধা, পশু, পাখি, গরু, ছাগল, কুকুর, বিড়াল, মশা, মাছি যা পাইত তার সাথেই আকাম কুকাম করত। জীবনের প্রথম ২২ টা বছর তার এভাবে গেল। বলাই বাহুল্য সব শয়তানের কু-মন্ত্রনা। এর পর জানি তার কি হল সে একদিন হটাৎ ভাল হয়ে গেল। সে বলল আগামী ২২ বছর আমি খালি ধ্যান করব এরপর সে ধ্যান করা শুরু করল। কঠিন সাধনা এবং তপস্যা। সে ভাল হয়ে গেল। শয়তান তো চিন্তায় পড়ে গেল! যেভাবেই হোক ২২ বছরের আগে তার বিচ্যুতি ঘটাতেই হবে। ধ্যান করার বয়স যখন ৫ বছর তখন শয়তান তার সামনে মুনমুন আর ময়ুরী কে আনল। নাহ খারাপ চরিত্রের লোকটার তারপরেও ধ্যান ভাঙ্গলনা। ১০ বছর পর তার থেকে বেটার কোয়ালিটি বাংলাদেশের সুউন্দর ফিগারের মডেল গুলাকে আনা হল। নাহ এখনও ধ্যান ভাঙ্গেনা। আরি কি আজব ব্যাপার!! ১৫ বছর পর ক্যাটরিন জিটা জোন্স, কেট উইন্সলেট এইসবও চলে আসল নাহ কিছুই হইলনা। ২০ বছররে সময় শয়তান একেবারে বেহেশতের হুরপরীগুলাকে আনল। নাহ তাও ঐ লকের ধ্যান ভাঙ্গেনা। শয়তান তো চিন্তায় পড়ে গেল! শেষ পর্যন্ত মানুষের কাছে হার!! এরপর শয়তান নিজেই মেয়ে সাজল। মেয়ে সেজে ঐ লোকের কাছে গেল। লোকের চোখ খুলল। দেখে সামনে অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে। সে তারপর তার ধ্যান ভেঙ্গে আকাম কুকাম শুরু করল। সব শেষ হওয়ার পর শয়তান নিজের বেশ এ ফিরে আসল। শয়তানের ট্রেড মার্ক অট্টহাসি শুরু হুল। মুহাহাহাহাহাহাহাহা, ভাংসি তোর ধ্যান ভাংসি। মানুষ কখনও শয়তানকে হার মানাইতে পারবেনা। লোকটাও অট্টহাসি শুরু করল। হুহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহ। শয়তান অবাক!! কিরে তুই হাসস ক্যান? লোক বলে, ২২ বছর আগে তো সবগুলারে লাগাইসি। এরপর খালি বাকি ছিল শয়তান। ২২ বছর সাধনা কইরা আইজ শয়তান লাগাইলাম। হুহাহাহহাহাহাহ।

অচলিল পোস্টের জন্য দুঃখিত।

আসেন আমরা শয়তান থেকে দূরে থাকি। আর ভাল তপস্যা সাধনা করি। যাতে শয়তান আমাদের কোন ক্ষতি করতে না পারে।

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১০:৪৩
৩৭টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×