somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্মকথা’২০১০

২০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তবু তাঁরা বেঁচে আছেন। নির্লজ্জ, বেহায়া কিংবা অভ্যাসের বসে! না....... তাঁরা বেঁচে আছেন, থাকবেন বাংলা মায়ের শির চির উন্নত রাখতে। প্রাপ্তির খাতাটি শূন্য হলেও আক্ষেপ নেই এতটুকুও। কত দিনই আর বাঁচবেন! ৫ বছর.... ১০ বছর....। তারপর.....
হু.... তাঁরা হারিয়ে যাবেন। আমরা ভুলে যাবো ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়টুকু। আর অন্যপ্রান্তে!... যারা ৭১ এ ধর্ষণকে করেছিল যায়েজ, যারা যুদ্ধকালীন ধর্ষণকে বলেছিল ধর্মীয় বিধান, গণিমতের মাল হিসেবে নারীকে ভোগের অধিকার.......। তারাও হয়ত থাকবে না। কিন্তু তাদের উত্তরসুরীরা সেদিন প্রতিষ্ঠা করবে- “এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। হয়েছিল গৃহযুদ্ধ। ছিলনা কোন যুদ্ধাপরাধী। শুধু কিছু কুচক্রীর ষড়যন্ত্রে বৃহত্তর একটি রাষ্ট্র ভেঙ্গে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছিল। তাই তো দেশে আজ এত অভাব, এত সমস্যা, অনিয়ম!”
আর এদিকে.... প্রজন্ম একদিন ডিজিটাল ইতিহাস পড়তে পড়তে বলবেঃ
বাবা, অনেক আগে কার সাথে যুদ্ধ হয়েছিল?
ভিনদেশী শত্র“দের সাথে।
ওরা এদেশের রাস্তা চিনত কিভাবে?
মানচিত্র দেখে।
কিন্তু মানুষের বাড়ী, হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান আর সুন্দরী যুবতী নারী কোথায় আছে, এসব কিভাবে জানত?
বাবা..... ওহী নাজিল হতো।
তাহলে বাবা রাজাকার কি?
বাবা.... ওটা হলো ডিকশনারী থেকে হারিয়ে যাওয়া একটা শব্দ।
বাবা, ডিকশনারী থেকে হারালো কেন?
বাবা, আমাদের তো ভুলে যাওয়ার এক আশ্চর্য ক্ষমতা আছে!
ও.... এদেশে তবে যুদ্ধাপরাধী ছিল না, তাই না বাবা?
বাবা কিছুক্ষন চুপ করে থাকেন। ভাবেন কোথায় মুখ লুকাবো। লজ্জায় চোখে জল আসার উপক্রম। কোন রকমে বলেন- বাবা... আমাদের সময় আর প্রজন্মকে ক্ষমা করে দে!
তোমরা যেমন ডধৎ পৎরসরহধষদের ক্ষমা করেছিলে, তেমন!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×