চেচনিয়ার পার্লামেন্ট ভবন দখলে নিয়েছে বন্দুকধারীরা
মঙ্গলবার, 19 অক্টোবর 2010 15:13
আমাদের প্রতিদিন সংবাদ চেচনিয়ার পার্লামেন্ট ভবন দখলে নিয়েছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলে অবস্থিত চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনিতে ওই পার্লামেন্ট ভবনে মঙ্গলবার সকালে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা আক্রমন চালায়। এ সময় তারা গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পার্লামেন্ট ভবন দখলে নেয়। স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে রাশিয়াস ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানায়।
বন্দুকধারীরা পার্লামেন্ট ভবন দখলে নেওয়ার পর কয়েকজনকে জিম্মি হিসাবে আটক করেছে। তবে এ সংখ্যা কত-তা নিশ্চিত করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন।
রাশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি-রিয়া জানায়, এক বোমাবাজ ও দুজন বন্দুকধারী গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অতর্কিতভাবে পার্লামেন্ট ভবন দখলে নেয়।
এখন ওই ভবন থেকে গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে বলে রিয়া জানায়।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের সৈন্য, দাঙ্গা পুলিশের বিশেষ দল এবং চেচেন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল ফোর্সের সৈন্যরা ঘটনাস্থলের পথে রয়েছে বলে বার্তাসংস্থাগুলো জানায়।
দেশটির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অতর্কিত ওই হামলার ঘটনায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে তাদের কোন ধারণা নেই।
উল্লেখ্য, রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের মুসলিম বিদ্রোহীরা স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বেশ কিছুদিন ধরে।
১৯৯১ সালে তারা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। বিদ্রোহী চেচেনরা তখন জানায়, তারা কখনোই স্বেচ্ছায় রাশিয়ার সঙ্গে থাকবে না। প্রথমে রুশ সরকার বিদ্রোহীদের এই ঘোষণাকে ততটা গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু বিদ্রোহীদের কয়েক দফা হামলার পর রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলিসন ১৯৯৪ সালে বিদ্রোহীদের দমনে চেচনিয়ায় ৪০ হাজার সেনা পাঠান। দুই বছর পর চেচনিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হয়। এরপর একপর্যায়ে একটি অস্ত্রবিরতি ঘোষণা হয়। কিন্তু এর পরও চেচেন বিদ্রোহীরা থেমে থাকেনি। হামলা বাড়তে থাকলে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চেচেন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একটি কঠোর সেনা অভিযান চালান। ওই রক্তক্ষয়ী সেনা অভিযানের ফলে চেচেন বিদ্রোহীরা আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২০