তোমাদের এই দিবসের আমি নিকুচি করি
মুখে আক্সিজেন মাক্স,হাতে পালস অক্সিমিটার লাগানো অবস্থায় কার্ডিও মনিটর এর টু টু শব্দ কানে ভেসে আসতে লাগলো। আমি বুঝতে পারছিলাম আজ আর ফিরে আসতে পারবোনা। আমি কল্পনা করতে লাগলাম আমার বাড়ির পাশের সরিষা ক্ষেত,আমার খেলার মাঠ আর আমাদের ডাকাতিয়া নদীর কথা। আমি হারিয়ে যাচ্ছি অনন্ত নক্ষত্রবীথির জগতে। যে জগত থেকে আর কেউ কখনো ফিরে আসেনা। মনে করতে লাগলাম আমার মায়ের মধুর মুখখানি। মনে মনে বলতে লাগলাম হে পরোয়ার দিগার আমি চলে গেলে আমার মাকে দেখে রেখো।
পরদিন খুব ভোরে আমার ঘুম ভাঙলো। দেখি বিছানার পাশে ফ্লোরে আমার মা জায়নামাজ বিছিয়ে মোনাজাত করছেন আর বলছেন হে পরয়য়ার দিগার আমি তো অনেক দিন তোমার দুনিয়া দেখেছি আমার আর এ দুনিয়া দেখার ইচ্ছা নেই। আমার জীবনের বিনিময়ে আমার সন্তানের জীবন ফিরিয়ে দাও। দয়ার সাগর আল্লাহ আমার মায়ের কথা শুনেছেন তিনি আমাকে ঐবারের জন্য বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
আমি মনে করি আমার এ ২য় বার বেঁচে থাকা শুধু আমার মায়ের বদৌলতে। সেই ঘটনার পর থেকে আমি দেখেছি আমাদের ২ভাই এর মধ্যে আম্মা আমার জন্য এক ধরনের দূর্বলতা অনুভব করেন। আমি ১ ঘন্টার জন্য বাইরে গেলে আম্মা ৩বার ফোন দিবে। আমি মাঝে মাঝে রাগ হই। কারন প্রতিবার ফোন করে তিনি নানান ধরনের আলাপ করে যে আলাপ বাসায় এসে বললেও চলে। একবার রাগ করে বললাম মা তুমি বড্ড ডিস্টার্বিং। মা বললো একদিন বুঝবি। আসলে আমার বুঝতেও বেশী সময় লাগলোনা। মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। আমি বাইরে নানা কাজে যাই কিন্তু কেউ ফোন করেনা আমি বার বার মোবাইলের দিকে তাকাই কিন্তু কোন ফোন আসেনা আমার মায়ের। মনটা হু হু করে উঠলো। সেদিন আসলেই বুঝলাম মা কি জিনিস
শুনো রাখো পশ্চিমা দুনিয়ার মানুষেরা মা বাবাকে ওল্ড হোমে রেখে বছরের একদিন মা দিবস,বাপ দিবস নাম দিয়ে তাদের দেখতে যাও। আর সারা বছর কোন খবর রাখনা তোমাদের এই দিবসের আমি নিকুচি করি।
আমরা ভাটির দেশের মানুষ আমাদের মন নদীর কাদার মত নরম। আর বন্ধন ইস্পাতের চেয়ে শক্ত। তোমাদের এই সব দিবসের আমাদের দরকার নাই।
কারন তোমাদের বাবা মা তোমাদেরকে ১৮ বছর পরে ছেড়ে চলে যায় আর আমাদের বাবা মা শরীরের শেষ ফোটা রক্ত দিয়ে হলেও সন্তানকে আগলে রাখে।
আজ মা দিবস নামক তোমাদের এই নাটকে আমরা অংশ নেইনা। আমাদের মা আজ ও সকাল সকাল আমাদের সাথে হম্বি তম্বি করে ঘুম থেইকা উঠাইছে। আমাদের ওই গালাগালি বেশি ভালো লাগে।
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা
গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন