আমার সুইসাইড দরখাস্ত
সবার সাথে পুরানো অনেক বিষয়ে কথা হচ্ছিল।
এর মধ্যে একজনের বোন বলতেছে 'আপু তুমি কি সে যে তার মাকে সুইসাইড দরখাস্ত লিখেছিল?'
আমি অবাক হলাম কি বলে এ মেয়ে?
আমার দোস্তদের মধ্যে ততখনে হাসির রোল পরে গেছে।একেক জন হাসতেছে আর বলতেছে 'ওই তুই এত আজিব ছিলি কেন? মাকে কেউ সুইসাইড দরখাস্ত লেখে?'
আরেকজন বলতেছে 'ঐ দরখাস্ত একজন সিরিয়াস হয়ে মেডামকে দেখাতে নিয়ে গেছিল?'
তখন আমার মনে হয় সেই বান্দরামীর কথা
কাহিনী ছিল এমন
আমি তখন ৭ম শ্রেণীর বান্দরদের লিডার ছাত্রী।স্যার মেডামরা আমাকে অনেক নিরীহ টাইপ মনে করত।
কারন তাদের সামনে আমি অনেক ভদ্র।
যাই হোক, আমি ২য় পার্বিক পরীক্ষা দিয়ে আল্লাবিল্লা শুরু করছি।এর মধ্যে চরম অবস্থা আব্বা আম্মা পিটায় লাশ বানায় ফেলবে যদি রেজাল্ট ভালো না হয় এমন আল্টিমেটাম দেয়া হইছে।
চিন্তায় দুস্টুমি করা যাচ্ছিল না।উফ!
তখন মাথায় কাজ করল রেজাল্ট খারাপ করলে মাইর একটাও মাটিতে পরবে না তার থেকে আমি সুইসাইড দরখাস্ত মাম কে লিখে রাখি সামনে কাজে দিবে।যখন চিন্তা তখনই কাজ
বরাবর,
মা-বাবা
আমাদের বাসা,
ঢাকা।
বিষয়:সুইসাইডের জন্য আবেদন।
যথাযথ সম্মানপূর্বক সবিনয় নিবেদন এই যে,আমি আপনার বাসার একজন নিয়মিত সদস্য।
আমি আপনার বাসার কণিষ্ঠ ব্যক্তি।কিন্ত আমার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় আমি আপনার কাছে দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আমি সুইসাইড করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আপনার কাছে বিণীত নিবেদন এই যে,আমি সুইসাইড করব যদি আমার রেজাল্ট খারাপ হয় আর আমি বাসায় জায়গা না পাই (and i mean it mam)।আমার এই দরখাস্ত মন্জুর করে আমাকে কৃতার্থ আর বাধিত করবেন।
আপনারই অনুগত,
.......................
তাং:............... আমাদের বাসা,
ঢাকা।
এই দরখাস্ত দেখে আমার দোস্তরা হাসতে হাসতে শেষ।একেক জন একেক কথা বলা শুরু করল।
এই ঘটনা দ্রুত ভাইরাসের মত ষ্কুলে ছড়ায় পড়ল।
ছ্যার মেডামরা পর্যন্ত হাসতেছে।এর মধ্যে ক্লাস শুরুর ঘন্টা পরল।
আমাদের ক্লাশে মেডাম ঢুকেই জিঞ্জেস করতেছে 'কই রে ঐ প্রতিভাবান ছাত্রী?'
সবাই আমার দিকে ইশারা করার জন্য বসে ছিল।বলতেই আমাকে দেখায় দিল।
আমার আত্নার পাখি ততখনে উড়াল লইছে।উফ!
মেডাম আইসা যে কানটা ধরল। উফ!
আর বলতেছে 'এত বান্দরামী না করে ভালো করে পড়লেই তো পারোস।বায়াদোব।'
আর সবাই হাইসা গড়াগড়ি।
যাই হোক,আমি ষ্কুলে সবসময় বিখ্যাত থাকতাম আমার ইতরামীর জন্য।সবসময় আমি আড়ালে আবডালে থেকে নেত্রীত্ব দিতাম।তাই স্যার মেডামরা জানলেও তেমন কিছু বলতে পারত না।প্রমানের অভাবে।
পুনশ্চ: ও আরেকটা কথা এই দরখাস্ত একজন বাসায় নিয়ে তার বাবা মাকে দেখাইছে।
যার জন্য ঐ বাসায় আমার দাওয়াত পরে।আমি অবশ্য যাই নি।
আর আমার মাম ও এই ব্যাপারটা এখনও জানে না।
যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে
ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন