বিঃ দ্রঃ- এই পোস্ট ছিলা কলা নারীর স্বামী, বাপ, চাচা, ভাই, ছেলে নাস্তিক ইত্যাদি জাতীয় লোকদের জন্য নয়।
এক লোক জীবীকার তাগিদে ব্যবসা করতে মনস্থির করলেন। তিনি অল্প পুঁজিতে বেশী লাভ করতে চাইলেন। কী ব্যবসা করা যায় মনে মনে চিন্তা করতে লাগলেন। অনেক চিন্তাভাবনার পর তিনি ঠিক করলেন যে, কলার ব্যবসা শুরু করবেন। কলা নিয়ে রাস্তায় বসে পড়লেন। অল্পক্ষনের মধ্যেই তার সমস্ত কলা বিক্রী হয়ে গেল। তিনি খুব খুশী হলেন। পরবর্তীতে আবার বেজারও হলেন। কারণ বহু লোক কলা খেয়ে রাস্তার মধ্যে যেখানে সেখানে কলার খোসা ফেলছে। এতে পরিবেশ যেমন নোংরা হচ্ছে, তেমনি কলার খোসায় পা পিছলে যে কেউ যে কোন সময় আঘাৎ পেতে পারে। তখন তিনি মনে মনে এ বিষয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। ঠিক করলেন কলা ছিলে বিক্রী করবেন এবং কলার খোসা ছাগলের প্রিয় বলে একটি ছাগল কিনলেন। তাহলে লোকজনের কষ্ট করে আর কলা ছিলে খেতে হবে না এবং ছাগল পুষে আরও অধিক লাভবান হবেন। যেমন চিন্তা তেমন কাজ। তিনি সমস্ত কলা ছিলে একটি ঝুঁড়ির মধ্যে রাখলেন এবং কলার খোসা ছাগলকে খেতে দিলেন। ছাগল খুব মজা করে কলার খোসা খেলেও একজন লোকও তার ছিলা কলা কিনলোনা। দীর্ঘক্ষণ এভাবে থাকার পর কলাগুলো নষ্ট হয়ে গেল। তখন তিনি রাগে ও মনের দুঃখে কলাগুলো রাস্তায় ফেলেই চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পরেই কতগুলো টোকাই এসে কলাগুলো খেতে শুরু করলো। পাঠকগণ খেয়াল করুন, যখন তিনি আছোলা কলা বিক্রী করেছিলেন, তার কলা গুলো মানুষ খেয়েছে। কিন্তু যখন ছিলা কলা বিক্রী শুরু করলেন, তখন তার কলা কেউ কিনলোনা। ছিলা কলার যেমন কোন মূল্য নাই, তেমনি বেপর্দা মুসলিম নারীর কোন মূল্য নাই। আমি আমার ধর্মপ্রাণ মুসলিম মা বোনদের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনারা যেমন আল্লাহ্র নির্দেশে পথ চলতেছেন, সেই পথেই অটুট থাকুন। কেননা পর্দাশীল মুসলিম নারী সৃষ্টিকর্তার কাছে অধিক সম্মানীয় এবং দেশ ও সমাজের জন্যও গর্ব বটে।
উল্লেখ্য, এখানে ছিলা কলা বলতে অশালীন ড্রেস, শর্ট ড্রেসের নামে অর্ধ নগ্ন হওয়া, শরীর দেখিয়ে চলা ইত্যাদি জাতীয় নারীদের বোঝানো হয়েছে। অপর পক্ষে যারা আছে, তাদের জন্য রইল ভক্তিপূর্ণ শ্রদ্ধা । পুরুষদেরও উগ্র ড্রেসে চলাফেরা না করে ভদ্র মার্জিত ড্রেস পড়ে বাহিরে চলাফেরা করা উচিত।
“ছিলা কলা এবং বেপর্দা মুসলিম নারী ও পুরুষ ”
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩১টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হার জিত চ্যাপ্টার ৩০
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনাস্ত
ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে
প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?
আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন