শিল্পকলা একাডেমীতে আয়োজিত ‘স্বপ্ন ও দ্রোহের জাতীয় নাট্যোৎসব’-এ ১৪ মে প্রদর্শিত হবে লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ ও স্থানীয় নাট্যদল লক্ষ্মীপুর থিয়েটারের সহযোগিতায় নির্মিত নাটক ‘১৯৪৬’। এর রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মাইন উদ্দিন পাঠান।
Published : 12 May 2013, 05:24 PM
শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চায়িত হবে।
মাইন উদ্দিন পাঠান এ বিষয়ে গ্লিটজকে বলেন, “১৯৪৬ সালে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলায় ঘটে যায় এক মানবিক বিপর্যয়। রাজনৈতিক এক সুবিধাভোগী উগ্র ধর্মান্ধ ব্যক্তি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে সৃষ্টি করে এই কলংকিত অধ্যায়। এতে যুক্ত হয় দীর্ঘ শোষিত-বঞ্চিত সাধারণ মানুষ, যাদের বঞ্চনার সঙ্গে পুঁজি করা হয় ধর্মীয় অনুভূতিকে। কু-সংস্কার, অপপ্রচারের উপর ভর করে চোর-ডাকাত, চরের লাঠিয়াল, লুটেরা এমনকি দুর্বৃত্ত শ্রেণির লোকদেরও যুক্ত করা হয় এ সহিংসতায়। লোমহর্ষক ওই দাঙ্গায় কুমিল্লা, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, তৎকালীন লক্ষ্মীপুর, রামগঞ্জ ও রায়পুর থানার হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ খুন, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরসহ নানা নির্যাতনের শিকার হন। কলকাতা রায়টের সুযোগে ১০ দিনে বিধ্বস্ত হয় এ অঞ্চল। ওই ঘটনার পটভূমিতে তুলে ধরা হয়েছে বিপর্যয় সত্ত্বেও থেমে নেই মানুষ, মনোবল নিয়ে দ্রোহ করে অনবদ্য স্বপ্ন দেখে মানুষ পরিচয় উদ্ধারে।”
রিয়াজুল ইসলাম জাকিরের মঞ্চ পরিকল্পনায় নাটকে রূপসজ্জা করছেন নাট্যজন শহীদউল্লাহ খন্দকার। মোস্তফা ফারুক বাবুলের আলোক পরিকল্পনায় এ প্রযোজনায় সংগীত পরিচালনা করেছেন শান্তনু দাস এবং এর পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নুপুর দেবনাথ।
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহতাব উদ্দিন আরজু, ডালিমকুমার দাস টিটু, শান্তনু দাস, শুভ কুমার শুর, মো. ইমাম হোসেন, সুষমা সরকার সুমি, মো. মামুন হোসাইন, মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া, তোফায়েল আহমেদ শাহিন, জয় ভৌমিক, জাবেদ হোসাইন, ফারজানা ইসলাম সোনিয়া, আফসানা মিমি এবং মো. হাসান মিয়া।