বিখ্যাত বিজ্ঞানী জন বার্নাল এর বোন জেরালডিনের ডাইরি থেকে ......
বাড়িতে বার্নাল একটি বই খুজেঁ পেল ।বিজ্ঞানী ফ্যারাডের রয়েল ইনস্টিটিউশনের বক্তৃতা। বক্তৃতার বিষয় খুবই আকর্ষনীয়-' মোমবাতির রসায়ন'।বইটা পড়ে দুটো নতুন কথা জীবনে প্রথম জানল বার্নাল-হাউড্রোজেন আর অক্সিজেন ।এই গ্যাস দুটোকে কী করে তৈরী করতে হয় সেও জেনে গেলেন এই বই পড়ে।
এবার বার্নালের কাজের পালা । অক্সিজেন তিনি তৈরি করবেন না, কারন বকযন্ত্র চাই ।আরও কী সব চাই । হাইড্রোজেন তৈরি করাই বরং সোজা।
একটা ফ্লাস্কে দস্তার দানা নিযে লঘু সালফিউরিক এসিড দিলেই নাকি হাইড্রোজেন তৈরি হয়।
মাকে গিয়ে ধরলেন বার্নাল ।মা এনে দিলেন ।কিন্তু বোতলের গায়ে লেখা ঘন সালফিউরিক এসিড ।
তিনি পানি ঢেলে লঘু করেত চাইলেন ।এমনি এসিড টগবগ করে ফুটতে শুরু করল।যদিও দূর্ঘটনা থেকে বেচেঁ গেলেন তবুও তার নেশা কাটল না।
মা সাবধান করে দিলেন ঘরের ভিতর কোন পরীক্ষা চলবে না।অগত্যা বাড়ির পেছনে চলে গেলেন বার্নাল।
একটা গাছতলায় পরীক্ষা শুরু করবেন। অন্ধকার নেমে আসেছে ।তবু বেপোয়ারা বার্নাল । ফ্লোরেন্স বোতলে দস্তার দানা দিয়ে নতুন সংগ্রহ লঘু এসিড দিলেন ।কোথায় কী !কিছুই তো দেখা যাচ্ছে না।হতাশ বার্নাল নিজেকে সান্তনা দিলেন ,লোকেরা তো কত গল্পই ফাঁদে ,রুপকথার কাহিনী লেখে ,লেখে হাসির গল্প !হয়তো তেমনই কিছু একটা হবে ফ্যারাডের এই গল্প।
রাতের খাওয়া শেষ । ঘুমোতে যাবেন । মনটা তখনও খচখচ করছে ।
নিছক গল্প লেখছেন ফ্যারাডে !!
একটা দিয়েশলাই নিয়ে ঘুট ঘুটে অন্ধকারে বাড়ির পেছনেটায় চলে গেলেন ।
দেখতে পাচ্ছেন না কিছুই ।
মোমবাতি জ্বালাবেন বলে দেশলাই ধরালেন ।
দুম শব্দে চারদিকে আগুন জ্বলে উঠল ।
ভয় পেলেন খুব ,তবে আনন্দও পেলেন এটা জেনে যে , বিজ্ঞান কখনও মিথ্যে হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫২