মাঠে গিয়ে প্রথমেই মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল,টসে জিতে বোলিং নেয়ায়। কিন্তু এই ডিসিশনটা যে কতটা সঠিক সেটা তিন নাম্বার বলেই প্রমান পেলাম। শফিউলের বলে ম্যাককালাম কট-বিহাইন্ড! এরপর পুরা ম্যাচে কখনই বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে মনে হয়নি। সোহরাওয়ার্দী শুভর অসাধারন বোলিং য়ের সাক্ষী হলাম। ১০ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ মেডেন সহ ৩ উইকেট-এমন বোলিং বিশ্লেষন আগে কোন বাংলাদেশী বোলারের আছে কিনা জানিনা। প্রত্তেকটা বল মিডল-অফে ফেলেছেন। নিখুত লাইন ও লেম্থে। গত ম্যাচে ২ উইকেট পাওয়া নাঈমকে বাদ দিয়ে সোহরওয়ার্দীকে নেয়া ঠিক হল কিনা -ম্যাচের প্রথমে ভাবছিলাম।ম্যাচ শেষে আর কোন সংশয় রইল না। সোহরাওয়ার্দী ঘরোয়াতে ভাল ব্যাটিংও করেন যত দূর জানি। নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে অনুরোধ তারা যেন সোহরাওয়ার্দীকে অন্তত কয়েক ম্যাচে সুযোগ দেয়। ২-৩ ম্যাচ খারাপ খেললেই যেন ছুড়ে ফেলে দেয়া না হয়।
মাঝকানে রস টেইলর আর কাইল মিলস চরম হিটিং শুরু করলেন-মনে ভয় ধরে গিয়েছিল। কিন্তু সাকিব যথারীতি ব্রেক থ্রু এনে দিলেন আর মাহমুদুল্লাহ বাকি কাজ সেরে ফেলতে সময় নিলেন না।
গ্রাউন্ড ফিল্ডিং অসাধারন হয়েছে। চমতকার ফিল্ডিং হয়েছে ম্যাচ জুড়ে-মানতেই হবে এই বিভাগে অনেক উন্নতি হয়েছে আমাদের।
ব্যাটিং-এ শাহরিয়ার নাফিসের চোখ ধাধানো একটা ইনিংস দেখলাম। তামিমের অভাবে আমরা দর্শকরা যারা হা-পিত্যেস করছিলাম তাদের মনের দুঃখ মিটে গেছে নাফিসের ব্যাটিং দেখে। তার ৭৩ রানের ইনিংসএর পর ম্যাচে আর কিছু ছিলো না। সহজ জয় তখনি নিশ্চিত হয়ে গেছে।
তবে শেষের দিকে রাকিবুলের বিরক্তিকর ব্যাটিংটা ছিল অসহ্য। ২৭ তম এভারে সে যখন নামে তখন মাত্র ৪০ রান লাগে। কিন্তু তার ৫৩ বলে ১৮ রানের যন্ত্রনাদায়ক ইনিংসের জন্য ম্যাচ জিততে ১৩ ওভার লেগেছে।সাকিব নেমেই ৩ টা চার মেরে না দিলে হয়ত আরো সময় লাগত!
যাইহোক অসাধারন একটা ম্যাচ দেখলাম।আমাদের টাইগাররা প্রায় নিখুঁত খেলেছে। কিন্তু এতে খুশি হয়ে বসে থাকলে হবে না। প্রতি ম্যাচেই খেলায় উন্নতি দেখতে চাই। আমরা এখন দাবি করতেই পারি- "ব্ল্যাক ক্যাপসদের সাদা ধোলাই চাই"!!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৩:৩৯