যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে খালেদা জিয়ার সভাস্থলের পাশে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রায় ২০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতার পিটুনিতে নিহত হয়েছেন ট্রেনচালক। ট্রেনটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে জনতা।
বিকেল তিনটার দিকে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী একটি দ্রুতযান আন্তঃনগর ট্রেনটি ওই এলাকা পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার আগে ট্রেনের যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার সুযোগ দেয় জনতা।
ট্রেনের একজন যাত্রী মনোজ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, তিনি নিজের চোখেই অন্তত ১২টি লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন।
পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা কোনোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতের পারছেন না। পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো থেকে হাজার হাজার মারমুখি মানুষ দুর্ঘনাস্থলের দিকে ছুটে আসছেন।
পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে।
বিক্ষুব্ধ জনতা শতাধিক গাড়ি ভাংচুর করেছে। সেখানে এক ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তবে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর এখনো সমাবেশস্থলে পৌঁছেনি।
এদিকে যমুনা সেতুর পরে সড়কে দুই দিকে পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রেনটি আটকে পড়ায় উত্তর বঙ্গের সঙ্গে গোটা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে রয়েছে।
মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ মুলিবাড়িতে পূর্ব নির্ধারিত ছাত্র গণজমায়েতে অংশ নেওয়ার কথা। দুর্ঘটনাস্থল এর পাশেই অনুষ্ঠেয় ওই জনসভাকে কেন্দ্র ওই এলাকায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটে।
সূত্র বাংলানিউজ২৪