somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান
চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। তারপর গল্প, উপন্যাস। এ যাবত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা-২১ টি।

দাগ-১৩ (এই দাগ হৃদয়ের, এই দাগ সমাজের)

১০ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন চলে গেলেও কয়েকদিন পর রেহানা আবার এসেছিল। আবার সেই একই সুরে কথা তবে পরের বার শুধু মাত্র রেহানাই নয় তার শ্বাশুড়ীও রেহানার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল।
সেদিন রাতে মায়া রাসেলের কাছে অনুনয় বিনয় করেছিল, রাসেল তুমি তো আমাদের বাড়ীর অবস্থা জানো, মা বেঁচে নাই, সৎ মায়ের সংসারে আমি আর লতা একরকম উচ্ছিষ্ট হয়ে বেঁচে আছি। বাবা সৎ মায়ের আঁচলে বন্দি, সবকিছু মিলিয়ে বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসা আমার পক্ষে সম্ভব না রাসেল। তুমি বুঝতে চেষ্টা কর প্লিজ।
রাসেলও তার মা-বোনের পক্ষ নিয়েছিল, মায়া তুমি তো আমার অবস্থা দেখছ, আপা আর মা যা বলছে তা তো আমাদের ভাল’র জন্য বলছে, আসলে আমাদের জমিজমা কমতে কমতে এমন পর্যায়ে পৌঁচেছে যে শুধু কৃষিকাজের টাকা দিয়ে সংসার চালাতে গেলে খুব গরীবহালে চলতে হবে। তাই ব্যবসা ছাড়া উপায় কি বল?
তারমানে তুমিও তোমার মা-বোনের সাথে সুর মিলিয়েছ। আমার সমস্যাটা তুমি একবারও বুঝলে না। আমি কিভাবে বাবাকে বলব, তুমিই বল রাসেল? বলতে বলতে মায়ার কণ্ঠস্বরবুজে এসেছিল।
রাসেল মায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিল, তুমি কাল একবার যাও মায়া আব্বাকে বুঝিয়ে বল, আব্বা নিশ্চয়ই তোমার কথা না করবে না।
মায়া অবাক দৃষ্টিতে রাসেলের দিকে তাকিয়েছিল, রাসেল তুমিও?
হ্যাঁ মায়া তুমি যদি তোমাদের বাড়ী থেকে লাখ পাঁচেক টাকা নিয়ে আসতে পার তবে আমার ব্যবসাটা জমে উঠবে, খুব ভালভাবে আমাদের দিন কেটে যাবে।
মায়ার দু’চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়েছিল। সে আর রাসেলকে আর কিছু বোঝাতে চেষ্টা করেনি।
পরদিন বিকেলবেলা মায়া তার বাবার বাড়ী গিয়েছিল।
মোস্তাফিজ সাহেব বাড়ীতে ছিলেন না।
সন্ধ্যায় বাড়ীতে ফিরে মায়াকে দেখে জিজ্ঞেস করেছিলেন, মায়া তুই হঠাৎ করে?
মায়া কিছু বলেনি।
মোস্তাফিজ সাহেব জিজ্ঞেস করেছিলেন, জামাই আসেনি?
না বাবা।
কোন সমস্যা?
বাবা তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে?
বল্।
মিথিলা মায়া আর তার বাবার গল্প করার কথা শুনে বারান্দা থেকে ঘরে দরজার আড়ালে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
মোস্তাফিজ সাহেব জিজ্ঞেস করেছিলেন, বল্, কি হয়েছে?
বাবা কয়েকদিন থেকে রেহানা আপা, আমার শ্বাশুড়ী, তোমার জামাই আমাকে আসতে বলছে কিন্তু আমি আসতে চাইনি বাবা কারণ ওরা যা বলছে আমি তা তোমাকে বলতে চাইনি।
কি কথা বল্?
বাবা ওরা তোমার কাছে টাকা চাচ্ছে।
জামাইর ব্যবসা ভাল চলছে না?
বাবা আমিও শুনেছিলাম তোমার জামাই ব্যবসা করে কিন্তু কোনদিন আমি তোমার জামাইর ব্যবসা করতে দেখিনি।
তবে।
বাবা তুমি আমাকে একটা বেকার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছ, বলতে বলতে মায়া তার বাবার বুকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল।
মোস্তাফিজ সাহেব মায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন, তুই আর কাঁদিস্ না মা, আমি দেখছি কি করা যায়?
ঘরের ভিতর থেকে মিথিলা বের হয়ে এসেছিল, তুমি আর কি দেখবে? মেয়ে বড় হয়েছে, অনেক টাকা ডিমান্ড দিয়ে বিয়ে দিয়েছ, বার বার কি কেউ ডিমান্ড দেয়?
মায়া তার মা বেঁচে থাকতে দেখেছিল এমনিভাবে তার মা তার বাবার কথার মাঝে কথা বললে মোস্তাফিজ সাহেব ধমক দিতেন কিন্তু সেদিন তিনি কিছু বলেননি।
মায়া তার বাবার কাছ থেকে ফিরে এসেছিল।
মায়াকে তার বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে রেহানা তার মা আর রাসেল মায়ার জন্য অপেক্ষা করছিল।
মায়া শ্বশুরবাড়ী থেকে ফেরার দিন রাতেই রেহানা এসেছিল।
রাতে খাবার পর রেহানা মায়ার ঘরে ঢুকেছিল, মায়া কি ব্যাপার কিছু বললে না যে?
মায়া কিছু বলেনি।
মায়া তাহই কি বলল?
মায়া তবুও কিছু বলেনি।
কবে টাকা দিবে কিছু বলেছে?
না আপা।
তবে কি বলেছে?
বলেছে বার বার করে কি কেউ মেয়েকে ডিমান্ড দেয়?
তাহলে টাকা দিবে না?
এমনসময় রাসেল ঘরে ঢুকেছিল।
রেহানা বলেছিল, এই রাসেল তোর বউ কি বলছে শুনেছিস্?
রাসেল গম্ভীরকণ্ঠেবলেছিল, শুনেছি।
বিয়ের আগে তো শুনেছিলাম তো শ্বশুর খুব ধনী মানুষ, খুব বড় মনের মানুষ, বংশের ঐতিহ্য আছে এখন তো দেখছি মেয়ের সুখের জন্য সামান্য ক’টা টাকার মায়া কাটাতে পারছে না।
মায়া বলেছিল, পাঁচ লাখ টাকা সামান্য ক’টাকা না আপা অনেক টাকা।
দেখছিস্ রাসেল, দেখছিস্, কতবড় কথা, টাকা দিতে পারবে না আবার মুখে মুখে কথা।
রাসেল চুপ করে ছিল।
রাসেল তুই তোর বউকে বুঝিয়ে দেখ, সহজে টাকা আদায় না হলে কিভাবে টাকা আদায় করতে হয় তা আমি জানি। খুব সহজে আমি বাঁকা আঙ্গুলে ঘি তুলতে চাই না, বলে রেহানা চলে গিয়েছিল।
রাতে বিছানায় রাসেল মায়াকে অনেক বুঝিয়েছিল, মায়া তুমি ভেবে দেখ, আপা খুব সিরিয়াস, আব্বা টাকা না দিলে আপা যে কি করবে তা আমি কল্পনাই করতে পারছি না।
রাসেলের কথা শুনে মায়া রেগে গিয়েছিল, রাসেল আমি তোমার বউ, তুমি আমাকে সত্যি করে বলতো তুমি কি বাবার কাছ থেকে আরো যৌতুক চাও?
রাসেল কিছু বলেনি।
আমি তোমাকে সত্যি কথা বলছি। তুমি তো জানো আমাদের সংসারের হাল এখন সৎ মায়ের হাতে। বাবা সৎ মায়ের ওপর কোন কথা বলে না। আমার সামনে সৎ মা বলেছে মেয়েকে কি কেউ বার বার করে যৌতুক দেয়? জানি না আড়ালে আরো কত কি বলেছে? যদি আমার মা বেঁচে থাকত তবে হয়ত বাবাকে রাজি করা যেত। তুমি সবকিছু বুঝতে চেষ্টা কর, বলতে বলতে মায়ার কণ্ঠস্বররুদ্ধ হয়ে এসেছিল।
পরদিন থেকে মায়ার ওপর শুরু হয়েছিল নির্যাতন। যে রেহানা আগে সব সময় তার প্রশংসা করতো সে সব সময় মায়ার সামান্য দোষত্রুটিগুলোকে বড় করে দেখতে শুরু করেছিল। যে শ্বাশুড়ী মায়াকে সব সময় মা বলে সম্বোধনকরতো সেই শ্বাশুড়ী তার সম্বোধনপরিবর্তন করেছিল। কথায় কথায় ছোট লোকের বাচ্চা বলে গালি দিতে শুরু করেছিল। মায়া নীরবে ঘরে বসে কাঁদত। তখন মায়ার খুব মায়ের কথা মনে পড়ত তার মা বেঁচে থাকলে হয়ত বাবাকে রাজি করে রাসেলকে কিছু টাকা দিয়ে তাকে এই অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা করতো। শ্বাশুড়ী ননদের অত্যাচার, স্বামীরনীরব সম্মতি মায়াকে মামুনের কথা স্মরণ করিয়ে দিত। একদিন ঘুমের ঘরে মায়া স্বপ্নেমামুন দেখতে পেয়ে তাকে সবকথা খুলে বলছিল কিন্তু মামুন কিছু বলেনি। মায়া অবাক হয়ে গিয়েছিল অন্য সময় হলে মামুন রেগে যেত যে তার মায়াকে নির্যাতন করতে পারে মামুন তাকে খুন করে ফেলত। কিন্তু মামুন চুপ করে থাকায় মায়া অবাক হয়েছিল, মায়া চিৎকার করে বলেছিল, মামুন তুই কিছু বল্, ওরা আমাকে সব সময় আতংকের মধ্যে রেখেছে, ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে, তুই আমাকে নিয়ে যা মামুন, আমি তোর সঙ্গে যাব, বলতে বলতে মায়া চিৎকার করে উঠেছিল।
মায়ার চিৎকার শুনে রাসেল ঘুম থেকে বিছানায় উঠে বসেছিল, মায়া কি হয়েছে?
না একটা স্বপ্নদেখছিলাম।
রাসেল চিৎকার করে উঠেছিল, মায়া তুমি কার সঙ্গে যেতে চাচ্ছিলে।
মায়া বলেছিল, কি যে দেখেছি মনে নাই।
মায়া এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েছিল।
সেদিন বিকেলবেলা মায়া তার ঘর থেকে বের হতেই তার চোখে পড়েছিল রাসেল, রেহানা আর তার শ্বাশুড়ী বারান্দায় বসে তার দিকে তাকিয়ে ফিস্ফিস করে গল্প করছে। মায়া আবার তার ঘরে ঢুকে তাদের কথা শোনার চেষ্টা করেছিল। না সে কিছু শুনতে পায়নি তবে কথা যে তাকে নিয়ে হচ্ছিল সে বিষয়ে মায়া নিশ্চিত হয়েছিল। মায়ার বুক যেন এক নতুন আশংকায় কেঁপে উঠেছিল।
রাতে খাবারের পর রেহানা আর তার মা মায়াকে ডেকে বসিয়েছিল সঙ্গে রাসেলও ছিল, বউ মা এভাবে তো আর চলছে না।
কিভাবে মা?
এই যে রাসেল সারাদিন ঘুরে বেড়াচ্ছে?
আমি কি করব মা?
রেহানা বলেছিল, কি করবে মানে? এত করে তোমাকে বুঝালাম তারপরও তুমি বুঝনি?
আমি তো বাবার বাড়ী গিয়েছিলাম আপা।
গিয়েছিলে কিন্তু টাকা আনতে পারলে কই, আসলে তো খালি হাতে।
মায়ার শ্বাশুড়ী বলেছিল, বউ মা বিয়ের পর মেয়েদের শ্বশুরবাড়ীর দিকে খেয়াল রাখতে হয়, কিসে স্বামীর উন্নতি হয় সেদিকে দেখতে হয়, তুমি তো দেখছি এখনো বাপের বাড়ীর মায়া কাটাতে পারছ না, এভাবে হয় না বউ মা।
আমিও তো চেষ্টা করেছি মা, বাবা টাকা না দিলে আমি কি করব? আর এমন তো না যে বাবা যে টাকা দিতে চেয়েছিল সে টাকা বাকী রেখেছে, আমি বাবার ওপর জোর করব কি করে?
রেহানা মায়ার কথায় প্রচন্ড রেগে গিয়েছিল, তুমি বাবার ওপর জোর করবে কি করে? আমরা তোমার ওপর জোর করছি না তো তাই তুমি বাবার ওপর জোর করতে পারছ না, যখন আমরা তোমার ওপর জোর করব তখন ঠিকই তুমি তোমার বাবার ওপর জোর করতে পারবে।
রেহানা রাসেলকে বলেছিল, রাসেল তোর বউকে আমি সময় দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম সবকিছু খুব সহজে সমাধান হবে, এখন শুনে দেখ তো বউ কি বলছে?
রাসেল জিজ্ঞেস করেছিল, কি বলছে?
বলছে ও ওর বাবার ওপর জোর করতে পারবে না। আমার প্রশ্ন হলো জোর করতে হবে কেন? বিয়ের আগে তো শুনছিলাম বিরাট ধনী মানুষ, এখন মেয়ে-জামাইয়ের সুখের জন্য তারা এটুকু করতে পারবে না?
মায়া বলেছিল, বিয়ের আগে তো আমিও শুনেছিলাম বনেদী পরিবারের ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে হচ্ছে, ছেলের বড় ব্যবসা আছে, ভেবেছিলাম বাবা মোটর সাইকেল ডিমান্ড দিবে, আমি স্বামীরমোটর সাইকেলে চড়ে বাবার বাড়ী যেতে পারব। ঐতিহ্যবাহী পরিবারের বউ হিসেবে সবার কাছে মুল্যায়ন পাব। এখন তো দেখি, সব মিথ্যা। ছেলের বংশের ঐতিহ্য যা ছিল তা এখন অতীত, ঐহিত্যগত কারণে নামের শেষে একটা টাইটেল আছে মাত্র, বংশের অহংকার আছে আর কিছু নাই। জামাইয়ের ব্যবসার সুবিধার জন্য বাবা মোটর সাইকেল ডিমান্ড দিতে চেয়েছিল, আপনারা মোটর সাইকেল না নিয়ে টাকা নিলেন। একদিক দিয়ে ভালই হয়েছে ছেলের ব্যবসাই নাই তবে আবার ব্যবসার সুবিধার জন্য মোটর সাইকেল কেন? এখন তো দেখি ছেলে বেকার।
রেহানা গর্জে উঠেছিল, মায়া অনেক হয়েছে, আমাদের বংশ বুনিয়াদ নিয়ে তোমার কথা বলার কোন অধিকার নাই, তোমার বাবা-মা মনে হয় বড়দের মুখে মুখে কথা বলা শিখিয়েছে? সামান্য ভদ্রতাটুকুও শিখায়নি? এখন দেখছি আমরা একটা অভদ্র ঘরে আত্মীয়তা করেছি। রাসেল তুই কি দেখছিস্? তুই সামনে থাকতেই আমাদের মুখের ওপর তোর বউ এমন কথা বলবে আর তুই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবি? বউয়ের কাছে মাথা বিক্রি করেছিস্ নাকি?
রাসেল দাঁত কড়মড় করেছিল মুখে কিছু বলেনি।
রাসেল আমি তোর মা হিসেবে বলছি, তুই আগামীকাল বউকে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দে, যেদিন পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আসতে পারবে সেদিন যেন আসে তার আগে ওর জন্য এ বাড়ীর দরজা বন্ধ।
মায়া কান্ন্ায় ভেঙ্গে পড়েছিল।
রাসেল জোর করে মায়াকে হাত ধরে ঘরে নিয়ে গিয়েছিল।
মায়া রাসেলকে অনেক অনুনয় বিনয় করেছিল, প্লিজ রাসেল তুমি আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দিও না। আমি বাবাকে গিয়ে কি বলব? আবার আমাদের বাড়ীতে আছে দাজ্জালের মতো সৎ মা। আমি কোথায় যাব রাসেল? তুমি আমার স্বামী, তুমি ছাড়া আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নাই। তুমি আমার ওপর এমন অবিচার কর না, প্লিজ।
রাসেল সেদিন রাতে মায়ার সঙ্গে কোন কথা বলেনি।
পরদিন সকালবেলা রাসেল বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর রেহানা আর তার মা এক রকম জোর করে মায়াকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।
উর্মীর গন্ডদেশ বেয়ে কয়েকফোটা পানি এ্যালবামের উপর পড়ল।
হঠাৎ করে হেমা রুমে ঢুকল, কি রে তোর চোখে পানি কেন?
উর্মী এ্যালবামটা লুকানোর চেষ্টা করল কিন্তু পারল না।
হেমা এ্যালবামটা উর্মীর হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বলল, উর্মী তুই আমার রুমমেট, আমি এভাবে তিলে তিলে তোকে মরতে দিতে পারি না।
প্লিজ হেমা এ্যালবামটা আমাকে দে, আমার আর কি আছে বল? এই যে এ্যালবামের ছবিগুলো আর মনের মধ্যে স্মৃতিগুলো এই তো সব, এটুকু আমার কাছ থেকে কেড়ে নিস্ না।
কে বলে তোর কিছু নাই, জীবিকার জন্য তোর একটা ভাল চাকরি আছে, আশা আপার মতো একজন নিবেদিত প্রাণ বোন আছে, আমি আছি, শুভ্রর মতো তোর একজন খুব ভাল বন্ধু আছে, আর কি চাই বল?
উর্মী কেঁদে ফেলল, তুই ঠিকই বলেছিস্ হেমা আমার সব আছে।
চলবে....
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×