আমরা কেউ ডেনমার্কের সেই কার্টানিস্টের কথা ভুলে যাই নি ,যে আমাদের প্রিয় নবী, মানব জাতির মুক্তির অগ্রদুত মহানবী(স) কে অবমাননা করে কর্টুন ছেপেছিল। যার কুকর্মে সমগ্র বিশ্বের মুসলিম জনতা ফুসে উঠেছিল(যদিও পশ্চিমা বিশ্ব আর সম্ভবত মুসলিম নেতারা(??) তাকে protection দিয়েছিল।) কিন্তু সর্বশক্তিমান আল্লাহ যদি কাউকে শাস্তি দিতে চান তবে গোটা দুনিয়া মিলে তাকে রক্ষা করতে পারে না। অতীতে অসংখ্যা বার মানব জাতি এ প্রমান পেয়েছে। আদ-সামুদ জাতির পাপাচার, নমরুদের কুকৃতি, ফেরাউনের কুকর্ম, শাদ্দাদের অহংকার ইত্যাদি ঘটনার পরিনতি আমরা সবাই জানি।
হুজুরে পাক(স) কে কষ্ঠ দেওয়া আবু লাহাব, আবু জেহেল, বা তায়েফের পাথর হয়ে যাওয়া সেই মহিলার ঘটনাও আমদের অজানা নয়। অতি সম্প্রতি আল্লাহ তার প্রিয় হাবীবকে অবমাননা কারি সেই কুলাঙ্গার কর্টুনিস্টকে শাস্তি দিয়ে মানব জাতির চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালেন অবাধ্যতার পরিনাম কত ভয়ঙ্কর। ঘটনাটা মুটামুটি এ রকম যে, কিছুদিন আগে সেই কুলাঙ্গারটাকে তার ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার দেহটা পুড়ে কয়লা হয়ে গিয়েছিল ।কিন্তু ঘরের কোথাও আগুনের বিন্দুমাত্র চিহ্ন ছিল না।* ডেনমার্কের সরকার এ তথ্য গোপন করতে চাইলেও তা ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়ে পরে।
[ব্লগ সাইটের ইসলাম বিদ্বেষী ভাইদের প্রতি অনুরোধ করব এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিন। আমি অনেকগুলো ব্লগ সাইটে কিছু লেখা দেখেছি যেগুলোতে হুজুরে পাক(স)কে প্রচন্ড রকম ভাবে অবমাননা করা হয়েছে।এ সকল নাস্তিক( তথাকথিত প্রগতিশীল(!!)) একবারের জন্য চিন্তাকরে না তাদের এই পান্ডত্যপূর্ন(????) লেখা বাংলাদেশের ধর্মপ্রান মুসলমানদের ধর্মানুভুতিতে কত প্রচন্ড আঘাত দেয়।এক্ষেত্রে অনেকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ধোয়া তোলে কিন্তু গন মানুষের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেওয়ার নাম কি মত প্রকাশের স্বাধীনতা?]
আমাদের অনেক বড় সৌভাগ্য যে আমরা সেই মহামানবের উম্মত যার কারনে আমাদের উপর আল্লাহর গজব পড়ে না যতক্ষন আমরা সহ্যের সীমা অতিক্রম না করি।আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন।
*(তথ্যটি ডেনমার্ক প্রবাসি এক ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া এছাড়াও মাসিক আল কাঊসার –অক্টোবর ২০১০ সংখায় পৃষ্টা ০৪ এ ঘটনার উল্লেখ আছে।)